![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শব্দের রহস্যময় বিশ্বে, আমি অহং নামক এক সৃষ্টিতত্ত্বে সঞ্চারিত হয়েছি। আমি ভাসমান চাঁদনির স্পর্শে হুমায়ূন আহমেদের বিশেষ ভাষায় রচনা করতে পছন্দ করি, সেই ভাষায় যে প্রেমের রঙ ছড়িয়ে দেয় শব্দের জগতে। কাব্যে আমার আবেগ তার সহজ সঙ্গী হয়ে বসে থাকে জীবনের রঙিন চিত্রে। জীবনের জটিলতায় আমি আত্মবিশ্লেষণে ডুবে থাকি জীবনানন্দ দাশের মতো আত্মপ্রবাহে নেমে আসি। আমার চিন্তা একটি বৃহত্তর অধ্যায়, যেটি শব্দের মহাকাব্যে রূপান্তর পায়। এই চিন্তায় আমি বিশেষ এক বৃহত্তর সত্তা খুঁজে পাই যা শব্দের কোমল সৃষ্টির মধ্যে অবস্থিত। এই সত্তার মধ্যে থাকা আমার ভবিষ্যৎ রহস্য হোক, আমার কথার আভাস হোক, শব্দের পাখি হোক আমার চিন্তার পাখির মতো মুক্তচিত্ত।
আমার পড়া সাদাত হোসাইনের ২য় উপন্যাস। জীবনধর্মী ড্রামা জনরার বাইরেও যে উনি লিখতে পারেন সেটা এই উপন্যাসে ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন উনি। 'ছদ্মবেশ' গতানুগতিক ফাস্ট পেসড থ্রিলার নয়, এখানে নেই কোন ক্যারিশমাটিক হিরো কিংবা কোন কন্সপিরেসী। বরং আমাদের আশেপাশের অতি সাধারণ সমাজের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ক্রাইমকে খুব সুন্দরভাবে উপন্যাসের পাতায় থ্রিলার জনরায় বেঁধেছেন। লেখনী বা প্লট নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই, তবে একটা ব্যাপার আমার একটু দৃষ্টিকটু লেগেছে। সেটা হলো, গল্পকারের ইন্সপেক্টর রেজাকে প্রথম পুরুষের বর্ণনায় আপনি ব্যবহার করা। 'ইন্সপেক্টর রেজা গেলেন' ব্যবহার না করে আমার মতে 'ইন্সপেক্টর রেজা গেল' ব্যবহার করলে শ্রুতিমধুর হতো।
কাহিনী সংক্ষেপঃ
শেষ বয়সে এসে কষ্টের টাকায় বাড়ি করেছেন কলেজের বাংলার অধ্যাপক লতিফুর রহমান। তিনতলা বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা বলতে এখন তিনি, তার স্ত্রী নাসিমা ও একজন গৃহ পরিচারিকা। ছেলে সৈকত অনেক বছর ধরে দেশের বাইরে। বহুদিন ধরে ছেলের শোকে নাসিমা পাগলপ্রায়।
প্রতিদিন বাড়ি দেখতে অনেক লোকজন আসে, লতিফুর রহমান তাদেরকে যত্ন করে বাড়ি দেখান। একদিন এরকম একজনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাড়ি দেখানোর সময় তিনতলার এক বাথরুমে বহুদিনের পচাগলা লাশ পড়ে থাকতে দেখলেন। দ্রুত নতুন আগন্তুককে সরিয়ে অন্য রুমে নিয়ে যান তিনি।
পুরো শহর জুড়ে আলোড়ন। সামনে নির্বাচন, কিন্তু এক প্রার্থী চুন্নু মিয়ার ভাগ্নেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর রেজা হক লতিফুর রহমানের বাড়ির কাছে আসতেই কিসের যেন একটা আভাস পেলেন। তার অবচেতন মন কোন একটা ইঙ্গিত দিচ্ছে হয়তো। কিন্তু তিনি ধরতে পারছেন না কিছুতেই।
নির্বাচন উপলক্ষে পুরো মফস্বল জুড়ে চাপা উত্তেজনা। তবে কিছু একটা ঘটতে চলেছে হয়তো।
রেজা হক যতবার ঘটনার দ্বারপ্রান্তে এসে সমস্যার সমাধান প্রায় করে ফেলছেন, ততবার যেন নতুন আরেকটা ঝামেলা এসে ঢুকে যাচ্ছে। তিনি কি শেষ পর্যন্ত পারবেন সমস্যার সমাধান করতে নাকি আবারও দেখা দেবে নতুন সমস্যা?
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সাদাত হোসাইনের প্রথম রহস্যোপন্যাস "ছদ্মবেশ"। এই লেখকের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ পাঠকের অভিযোগ হল, তিনি অনেক বড় কলেবরে লিখেন। তাই হয়তো লেখক এই বইটি লিখতে গিয়ে দেড়শ পৃষ্ঠাও নেন নি। ১৪৪ পেইজেই শেষ করেছেন বইটি।আরেকটু বড় করতে পারতেন বইটি।ঘটনা বাড়াতে পারতেন।আমার পড়া সাদাত হোসাইনের ২য় উপন্যাস। জীবনধর্মী ড্রামা জনরার বাইরেও যে উনি লিখতে পারেন সেটা এই উপন্যাসে ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন উনি। 'ছদ্মবেশ' গতানুগতিক ফাস্ট পেসড থ্রিলার নয়, এখানে নেই কোন ক্যারিশমাটিক হিরো কিংবা কোন কন্সপিরেসী। বরং আমাদের আশেপাশের অতি সাধারণ সমাজের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ক্রাইমকে খুব সুন্দরভাবে উপন্যাসের পাতায় থ্রিলার জনরায় বেঁধেছেন। লেখনী বা প্লট নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই, তবে একটা ব্যাপার আমার একটু দৃষ্টিকটু লেগেছে। সেটা হলো, গল্পকারের ইন্সপেক্টর রেজাকে প্রথম পুরুষের বর্ণনায় আপনি ব্যবহার করা। 'ইন্সপেক্টর রেজা গেলেন' ব্যবহার না করে আমার মতে 'ইন্সপেক্টর রেজা গেল' ব্যবহার করলে শ্রুতিমধুর হতো।
০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২০
তাসমিমা ইসলাম প্রতিভা বলেছেন: দুঃখিত খেয়াল করি নি।এখনই ঠিক করে দিচ্ছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।ভালোবাসা নিবেন ভাই।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৫১
এম ডি মুসা বলেছেন: নতুন ব্লগে স্বাগত
০৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৭
তাসমিমা ইসলাম প্রতিভা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩
ANIKAT KAMAL বলেছেন: আস সালামু আলাই কুম
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯
মিথমেকার বলেছেন: বেশ গুছিয়ে লিখেছেন, ভুল করে স্পয়লার দিয়ে দেন নাই। সুন্দর।
লেখা রিপিট হয়েছে ঠিক করে দিবেন।
ধন্যবাদ!