![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাতত অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তাতে ভলোবাসা ছাড়া উপায় দেখি না। -নির্মলেন্দু গুণ। থাকি রাজশাহীতে। ফেসবুক: www.facebook.com/ajom4u
খাজুরাহো গ্রামটি মধ্যপ্রদেশের চত্তরপুর জেলায় অবস্থিত। এই স্থানটি খ্রিষ্টীয় নবম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী সময়কালের মধ্যে চান্দেলা রাজাদের রাজধানী ছিল। এই চান্দেলা রাজারা খ্রিষ্টীয় ৭৫০ থেকে ১০৫০ এর মধ্যে ৪৫টি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। ধ্বংসের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পেয়ে এর মধ্যে মাত্র ২০টি মন্দির এখনো বর্তমান রয়েছে। মন্দিরগুলো শিব, বিষ্ণু, ব্রাহ্ম এবং জৈন ধর্মের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছিল। এই সময়কালের মধ্যে ভারতবর্ষ এশিয়ার সোনার শহর নামে খ্যাতি লাভ করেছিল। আবহাওয়া ছিল সৃষ্টিশীল শিল্পকর্মের পক্ষে অনুকূল এবং মন্দিরগুলোর নির্মাণে সর্বোৎকৃষ্ট স্থাপত্যকলা প্রকাশ পেয়েছিল। খাজুরাহ মন্দিরগুলো ইন্দো-আর্য স্থাপত্যরীতির। প্রতিটি মন্দিরই উঁচু মঞ্চের উপর নির্মিত এবং এগুলোতে প্রথাগত সংলগ্ন পরিবেষ্টনী নেই। প্রায় আট বর্গমাইল বিস্তৃত স্থানে নির্মিত এই মন্দিরগুলো তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত লালসুয়া ও রাজনগর রোডের বরাবর পশ্চিম শাখার মন্দিরগুলো আকারে সবচেয়ে বড় এবং বিখ্যাত।
বর্তমান খাজুরাহ গ্রামের সংলগ্ন পূর্বদিকের মন্দিরগুলো হলো_ ব্রাহ্মণ্য এবং জৈন মন্দির। দক্ষিণদিকের মন্দিরগুলো খাজুরাহো গ্রামের পশ্চিমদিকে প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থিত। পশ্চিমদিকের মন্দিরগুলো হলো প্রাচীনতম ছাউসাত যোগিনী, কেন্দ্রীয় মহাদেব, দেবী জগদম্বে, চিত্রগুপ্ত বিশ্বনাথ এবং নন্দীর মন্দির। এই শাখার অন্যান্য মন্দিরগুলোর মধ্যে আছে পার্বতী মন্দির। লক্ষণ মন্দিরগুলো হলো_ বামন মন্দির, জাবারী মন্দির, ব্রাহ্মমন্দির, আদিনাথ মন্দির, পার্শ্বনাথ মন্দির এবং বিভিন্ন জৈন মন্দির। দক্ষিণাঞ্চল শাখায় যে মন্দিরগুলো রয়েছে সেগুলো হলো দুলাদেও মন্দির ও চতুর্ভুজ মন্দির। খাজরাহের মন্দিরগুলো অপূর্ব সুন্দর শিল্প অনুপম স্থাপত্যের নিদর্শণ। শিল্পীরা আশ্চর্য নিপুণতায় মন্দিরগাত্রে দেব-দেবী, অম্পরা, সুরসুন্দরী, বিষধর সাপ, সিংহের ন্যায় জন্তু এবং অজস্র নারীমূর্তি খোদাই করেছেন। প্রেম ও কামনাময় মিথুনমূর্তি খাজুরাহকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দান করেছে।
প্রতিটি মন্দিরের কেন্দ্রস্থলে আছে একটি করে পূজ্য দেবতার প্রতিমূর্তি। এই মন্দিরগুলোর সঙ্গে খাজুরাহের একটি পুরাতাত্তি্বক সংগ্রহশালাও আছে। খাজুরাহের খ্যাতির জন্য দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক-দর্শক প্রতি বছর খাজুরাহ ভ্রমণে আসেন।
মূল প্রবন্ধটি এখানেঃ Click This Link
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
আজম মাহমুদ বলেছেন: একদম ঠিক কথাটি বলেছেন।
মানুষ যতো সভ্য হয়েছে ততো আবরণ জড়িয়েছে গায়ে গায়ে।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
বাংলাদেশের আইডল বলেছেন: এক বিখ্যাত ব্লগার একটি ব্লগ এই বিষয় নিয়ে লিখেছিলেন । Click This Link
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
আজম মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লিংক শেয়ার করার জন্য।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
ফাজলামো বলেছেন: মল্লনাগ বাৎস্যায়নের কামসুত্রের বাস্তব প্রতিবিম্ব।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
আজম মাহমুদ বলেছেন: একদম ঠিক কথা।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
আহলান বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস ... সভ্য সমাজে যৌন ক্রিয়া একটি গোপন ব্যপার। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গোপন প্রেম। কিন্তু মন্দির গুলোর গায়ে বানানো নক্শা গুলো দেখলে মনে হয় যত্র তত্র যেভাবে খুশি সেভাবে নারী ভোগে উৎসাহ দিচ্ছে। জীবন্ত চটি বই .... পরিবারের সদস্যদের সাথে এগুলো দেখতে যাওয়া মানে বিব্রতকর অবস্থায় পড়া ....