নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিও একদিন লাশ হব, সেই লাশ মাটির নিচে থেকে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে অংগার হবে। বৃষ্টি ভিজা কাদায় শরীর ভিজে যাবে, শুধু অনুভবে নিথর লাশ হয়ে রয়ে যাব শেষ বিচারের অপেক্ষায়.......

ফেনা

মুক্ত ও সাদা মনের মানুষ হতে আগে চাইতাম। এখন আর চাই না। এখন একটু মুক্তি চাই, চাই জীবনটা শেষ হবে এই অপেক্ষার অবসান। [ মৃত্যুটা খুব স্বাভাবিক; বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক।]

ফেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদে মিল্লাদুন নবী ও ঈদে সিরাতুন নবী পালন করা কি ইসলামে সত্যি জায়েজ?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫



ছবি: গুগল থেকে


**ঈদে মিল্লাদুন নবী** এবং **ঈদে সিরাতুন নবী** পালনের বিষয়টি ইসলামে বিতর্কিত। ইসলামের মূল ভিত্তি হলো কুরআন এবং হাদিস। এই উৎসবগুলো কুরআন বা সহীহ হাদিসে উল্লেখ নেই, তাই এদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন ফিকহের পণ্ডিতদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।

ঈদে মিল্লাদুন নবী:
ঈদে মিল্লাদুন নবী (মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন) অনেক মুসলিম দেশ ও সমাজে পালিত হয়। তবে এ বিষয়ে ইসলামের বিভিন্ন মতবাদে ভিন্নমত দেখা যায়:
১। সমর্থনকারীরা:
- তারা মনে করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্ম এবং জীবন সম্পর্কে স্মরণ করা এবং তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা প্রশংসনীয়। যারা এ উদযাপনকে সমর্থন করেন, তারা বলেন যে, মিল্লাদ উদযাপন রাসূল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ এবং তাঁর জীবনের শিক্ষা স্মরণ করানো।
- এক্ষেত্রে, উদযাপনের ধরন ইসলামী নীতিমালার মধ্যে থাকতে হবে, যেন বিদআত (ধর্মে নতুন কিছু সংযোজন) না হয়।

২। বিরোধীরা:
- বিরোধীরা মনে করেন যে, ঈদে মিল্লাদুন নবী উদযাপন ইসলামে বিদআত, কারণ এটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবী বা পরবর্তী প্রজন্ম দ্বারা পালন করা হয়নি।
- ইসলামের মূল শিক্ষায় যা নেই, তা সংযোজন করা বিদআত হিসেবে গণ্য হয়, এবং তারা যুক্তি দেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে বা সাহাবারা এ ধরনের কোনো উদযাপন করেননি, তাই এটি ইসলামের অংশ নয়।

ঈদে সিরাতুন নবী:
- ঈদে সিরাতুন নবী** রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনী নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য পালিত হয়। যারা এই উৎসব পালন করেন, তারা মনে করেন যে এটি রাসূল (সা.)-এর জীবনী সম্পর্কে মুসলিমদের সচেতন করার একটি ভালো উপায়।
- তবে বিরোধীরা এটিকেও বিদআত হিসেবে দেখে, কারণ এটি কোনোভাবে ইসলামি উৎসব হিসেবে নির্ধারিত নয়।

ইসলামের মূল শিক্ষা:
কুরআন ও সহীহ হাদিস অনুসারে, ইসলামে নির্ধারিত দুইটি ঈদ আছে:
১। ঈদুল ফিতর: রমজানের শেষে উদযাপন।
২। ঈদুল আযহা: হজ্ব ও কুরবানীর স্মৃতি ধরে রাখা।

অন্যান্য যে কোনো নতুন উৎসব পালনের বিষয়ে ইসলামের কঠোর দিকনির্দেশনা রয়েছে, বিশেষ করে যদি তা ধর্মীয় চেতনার সঙ্গে সম্পর্কিত হয়। ইসলামি স্কলাররা মনে করেন যে, নতুন কিছু উদযাপন বা ধর্মীয় আচার পালনের সময় সঠিকভাবে যাচাই করতে হবে তা কুরআন ও হাদিসে অনুমোদিত কিনা।

মোদ্দা কথা:
ঈদে মিল্লাদুন নবী ও ঈদে সিরাতুন নবী উদযাপন করা ইসলামের মৌলিক বিধান অনুসারে অনুমোদিত নয় বলে অনেকে মনে করেন। তবে এটি নির্ভর করে কারা কোন মতাদর্শ অনুসরণ করছে এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪

আলামিন১০৪ বলেছেন: একটা কথা প্রচলিত আছে জানিনা সত্য কিনা, মোঙ্গলরা যখন বাগদাদ আক্রমণ করে তখন নাকি সেখানকার ইন্টেলেকচুয়েলরা, ঘোড়ার প্রস্রাব পাক নাকি নাপাক তা নিয়ে তর্ক করছিল
আপনাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ঘটনাটা সত্য হলেও হতে পারে। একতা যখন সময়ের দাবী তখন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিভাজন সৃস্টি করছেন আপনারা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪১

ফেনা বলেছেন: আজ আমি এই বিষয়টা নিয়ে লিখেছি এই জন্য যে আমার নিজের এলাকাতে এই সামান্য বিষয়টাকে নিয়ে মারামারি হতে দেখেছি। ছোটবেলায় ভাবতাম বিষয়টা কতই না গম্ভীর। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আমি এখন একজন সৌদী প্রবাসী। মহান আল্লাহর কৃপায় দয়ায় পবিত্র কাবা ছূয়ে দেখেছি।
এখানে আজ অবদী এইসবের কোন আলামত দেখিনি। যেখানে রাসূল (সা) জন্ম নিয়েছিলেন সেই জন্ম ভূমিতেই এই সব পালন করে না তাহলে আমরা হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে কি চিন্তা করে কি করতে চাচ্ছি???!!! যতটুকূ যেনেছি হাদীস বা কোরআনে এর বিষয়ে কোন আলোকপাত করা হয়নি।
তাহলে আমাদের দেশের মোল্লারা কিসের ফাইদা খুজতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে বেড়াচ্ছে। এই সব দেখার মত কি কেউ নেই!!!

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: রাসুলুল্লাহ্‌ (সঃ) এর জন্মদিন এভাবে ঘটা করে পালনের মধ্যে কোনো ইবাদত নেই। এভাবে চিল্লাচিল্লি, মিছিল মিটিং করে জন্মদিন পালন না করে নবীজির জন্য এবং সবাই সবার জন্য দোয়া করি এটাই উত্তম।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

ফেনা বলেছেন: সুন্দর কথা।
ভাল থাকবেন সতত।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

ফেনা বলেছেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জশনে জুলুশ ঘিরে আহলে সুন্নত ও হেফাজতের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি আবার নতুন কি ফতোয়া নিয়ে এসেছেন? আগামী কাল ঈদে মিল্লাদুন নবী উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারী ছুটি।

এ বিষয়ে আমাদের মহাজাগতিক চিন্তাধারা যা বলবেন সেটাই সঠিক।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

ফেনা বলেছেন: বাহ বাহ বহুত খুব..... ওরা চিন্তা মহা জগত নিয়ে। তাঁর চিন্তাধারা আসলে মেনে নিতেই হবে। =p~

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০২

কিরকুট বলেছেন: একদিনের ছুটি পাই । মাশাল্লাহ, ইহাতেই সন্তুষ্ট ! বেদাত না মাড়ির দাঁত উহা নিয়া কামড়া কামড়ি ল্যঞ্জা ওয়ালাদের করতে দেন ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

ফেনা বলেছেন: কিন্তু বিষয়টা কি পরিষ্কার হওয়া দরকার নয়???

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৫

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি বলেছেন: প্রতিটি বিদআতই পরিত্যাজ্য আর আখেরি ঠিকানা জাহান্নাম। এই ব্যাপারে সহীহ হাদিস আছে। আর সহীহ হাদিস মানেই শরীয়াতের দ্বিতীয় উৎস। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। একমাত্র সোমবারে রোযা রাখার হাদিস পাওয়া যায়, তাও প্রতি সোমবার,প্রতি বছরের জন্মদিন এর দিন নয়। বিদআত মানে হচ্ছে দ্বীনে নতুন আবিষ্কৃত বিষয়াদি, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে করেননি, করতে বলেননি আর সাহাবায়ে কিরামরাও কখনো করেননি। আপনি-আমি তো সাহাবীদের চেয়ে বেশি আমলদার হয়ে যাইনি, বা কখনো হতে পারবোও না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মের দিনটি ১২ই রবিউল আউয়াল ছিল কিনা এ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে। কিন্তু মৃত্যুর দিনটি যে ১২ই রবিউল আউয়াল, এ নিয়ে তাদের মাঝে কোনও সন্দেহ নেই। আর আমাদের ঈদ দুইটা। এটা শরীয়াহ স্বীকৃত। এটা কেমন ঈদ, যেটার কোনও ঈদের জামাতই নাই?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

ফেনা বলেছেন: সুন্দর তথ্য

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৬

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি বলেছেন: আমার এই লেখাটি দেখতে পারেন, রেফারেন্স সহকারে উত্তর দিয়েছি :

https://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/fsvision/30366083

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

ফেনা বলেছেন: ধন্যবাদ, পড়ে নিব।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: স্বাভাবিক ভাবে জন্ম দিনে দোয়া দরুদ, কোর আন তেলওয়াত করে দোয়া করা যেতেই পারে এবং সেটাই চলে এসেছে শত শত বছর যাবত। পাকিস্তানি জনৈক শাহ আবু তৈয়ব নামের একজন অখ্যাত পীরকে চট্টগ্রামের কতিপয় হুজুগ প্রিয় লোক এনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম দিন পালনে মিছিল করে 'জশনে জুলুস' বিষয়টার আবির্ভাব হয়েছে চট্টগ্রামে আশির দশকে। শাহ আবু তৈয়ব পাকিস্তানিদের কাছেও একজন টাউট শ্রেণীর লোক, অনেকটা আমাদের দেশের তাহেরি হুজুর টাইপের।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:২৪

ফেনা বলেছেন: মন্তব্যে সহমত পোষণ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.