নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিও একদিন লাশ হব, সেই লাশ মাটির নিচে থেকে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে অংগার হবে। বৃষ্টি ভিজা কাদায় শরীর ভিজে যাবে, শুধু অনুভবে নিথর লাশ হয়ে রয়ে যাব শেষ বিচারের অপেক্ষায়.......

ফেনা

মুক্ত ও সাদা মনের মানুষ হতে আগে চাইতাম। এখন আর চাই না। এখন একটু মুক্তি চাই, চাই জীবনটা শেষ হবে এই অপেক্ষার অবসান। [ মৃত্যুটা খুব স্বাভাবিক; বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক।]

ফেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেকারত্ত্ব এবং দেশের রিজার্ব বারানোর এইটা একটা পথ হতে পারে…

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬



বাংলাদেশে শ্রমিকদের মধ্যে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৮.৫ কোটি। এর মধ্যে প্রায় ৯৬% শ্রমিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন, অর্থাৎ তারা অদক্ষ বা প্রশিক্ষণহীন। বিশেষ করে নির্মাণ খাতে অদক্ষ শ্রমিকের হার প্রায় ৯৮%, এবং হালকা প্রকৌশল খাতে ৭২% শ্রমিকের কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই ।

এই পরিস্থিতি দেশের উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে। দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ ও কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দেওয়া জরুরি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

বাংলাদেশের বেকার সমস্যা সমাধানে দক্ষ ও অদক্ষ জনবলকে প্রবাসে পাঠানো একটি কার্যকর কৌশল হতে পারে। তবে এটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে একটি সুসংগঠিত, বাস্তবভিত্তিক ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। নিচে এই লক্ষ্যে নেওয়া প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ এবং "ফ্রিতে প্রবাসে পাঠানো"র বাস্তবতা তুলে ধরা হলো:

সরকার যেসব পদক্ষেপ নিতে পারে:
১. দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণঃ
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বৃদ্ধি: বিশেষ করে যেসব খাতে বিদেশে চাহিদা বেশি (যেমন নির্মাণ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, নার্সিং, গাড়ি মেরামত, ইত্যাদি)। স্বল্পমেয়াদী ও দক্ষতাভিত্তিক কোর্স চালু করা।
ভাষা প্রশিক্ষণ: মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, পূর্ব এশিয়ার দেশের ভাষা শেখানো (যেমন: আরবি, কোরিয়ান, জাপানি)।
২. বিশ্ববাজার বিশ্লেষণ ও চুক্তিঃ
বিভিন্ন দেশের সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করা, যাতে নির্দিষ্ট কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানো যায়।

বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারের চাহিদার উপর নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ।

৩. প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও স্বচ্ছতাঃ
BMET ও BOESL এর মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভিত্তিক দুর্নীতি হ্রাস করা। অনলাইনে আবেদন, ট্র্যাকিং ও ফিডব্যাক সিস্টেম চালু করা। পাসপোর্ট, মেডিকেল, ভিসা ইত্যাদির জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু করা।

৪. আর্থিক সহায়তা ও ভর্তুকিঃ
কম সুদের ঋণ বা সরকারিভাবে ভর্তুকি দিয়ে বিদেশ পাঠানো। দরিদ্র ও অদক্ষ ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ অনুদান ভিত্তিক স্কিম চালু করা।
"ফ্রিতে প্রবাসে পাঠানো" কি সম্ভব? এই বিষয়টাও একটু খতিয়ে দেখা দরকার। দেশ থেকে দারিদ্রতা দূর করতে হলে এইটা খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি।

সার্বিকভাবে সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রবাসে পাঠানো কঠিন, তবে নিচের পদ্ধতিগুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে:

সরকারি সহায়তায়/ভর্তুকি দিয়ে ফ্রি বা নামমাত্র খরচে পাঠানো সম্ভব:
BOESL-এর মাধ্যমে কিছু দেশের (যেমন: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া) নির্দিষ্ট কর্মসূচিতে ফ্রিতে পাঠানোর উদ্যোগ রয়েছে।
দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা নাগরিকদের জন্য পুরো খরচ বহন করা যেতে পারে।
NGO বা আন্তর্জাতিক দাতাদের (যেমন IOM, UNDP) সহায়তায় পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফ্রি পাঠানোর ব্যবস্থা করা সম্ভব।

বাস্তব সীমাবদ্ধতা:
বিমান ভাড়া, মেডিকেল, ট্রেনিং, ভিসা ইত্যাদির খরচ উচ্চ।
কিছু ক্ষেত্রে গন্তব্য দেশের নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তিগত খরচ অপরিহার্য।

ফ্রিতে প্রবাসে পাঠানো সম্পূর্ণভাবে সম্ভব না হলেও, আংশিক ভর্তুকি, সহজ শর্তে ঋণ ও সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে খরচ অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। দক্ষতা উন্নয়ন, শ্রমবাজার বিশ্লেষণ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়া থাকলে বাংলাদেশ বহু তরুণকে প্রবাসে পাঠিয়ে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য কমাতে পারবে। যা দেশের রেমিটেন্স এবং রিজার্ব দ্রুত বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো উপায় বাতলে দিয়েছেন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

ফেনা বলেছেন: পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কেমন আছেন আপনি?

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

নতুন বলেছেন: কোন স্কিল না নিয়ে বিদেশে গেলে দিনমুজুরের মতন কাজ করতে হয় বিদেশে। আর বিদেশে দিনমুজুরের চাহিদা খুব বেশি না।

তবুও আমাদের দেশের থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ কোন কাজ না শিখে বিদেশে যেতে চায়। :(

সবার আগে ভালো ইংরেজী শিখতে হবে। বাস্তবে অবস্থা খুবই খারাপ।

* বিদেশী মানের নার্সিং এ ডিপ্লোমা করে ভালো বেতন পাওয়া সম্ভব।
* হোটেল ইন্ড্রাস্ট্রিতেও আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের খুবই ভালো করতে পারবে। দুবাইতে গত ২ বছরে আমি ২ জনের চাকুরী দিতে পেরেছি। যেখানে প্রতিদিন ভারতীয়দের থেকে লিংকডইনে সিভি পাই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৬

ফেনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

তবে কি জানেন, সরকারি সদিচ্ছা হলে সবই সম্ভ্বব।
ভাল থাকবেন।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৩

নতুন বলেছেন: পোলাপাইনেরও নিজেদের ইচ্ছা থাকতে হবে।

নিজের ভাগ্য নিজে উন্নয়নের চেস্টা না করলে সব কিছু সরকার করে দেবেনা।

ভারতীয় ছেলে মেয়েরা লিংকডইনে প্রতিনিয়ত নক করে, আমাদের দেশের পোলাপাইন ফেসবুকে মেম বানায়, আর ফাউল কমেন্ট করে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২২

ফেনা বলেছেন: ভাই আপনার ঘরের পরিবেশ যেমন করে বানাবেন আপনার সন্তাওরা তেমন ভাবেই গড়ে উঠবে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: এসবই সম্ভব যদি দুই পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা যায়। দুই লুটেরা পরিবার ক্ষমতায় থাকলে দেশের কোণ পরিবর্তনই হবে না। শেখ ও জিয়া পরিবার জনগনকে চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি, অবৈ্ধ দখল , ঘুস, দুর্নীতিতে উৎসাহ প্রদান করে । আওয়ামিলীগ বিদায় হতেই দেশের সকল সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এখন বিএনপির লোকেরা দখল নিয়েছে। সর্বত্র ওবাধে চলছে ঘুস, দুর্নীতি , চাঁদাবাজি। বিএনপির হাইকমান্ড এখন ফুল কতৃ্ত্ব নিতে নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে গেছে। ডক্টর ইউনুস ক্ষমতায় থাকলে হয়ত আস্তে আস্তে এই জঞ্জাল্গুলো পরিষ্কার করতে সমর্থ হবেন। কিন্ত তাকে সেই সময় দিতে পুরোপুরি নারাজ। বিএনপি যা শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে দেশের তরুন সম্প্রদায় আবারো রাজপথে নামবে বিনেপিকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

ফেনা বলেছেন: আপনার কথাগুলি একদম সঠিক।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: বেকারত্ব কমবে। বিএনপি বলেছে তারা এক কোটি লোককে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

ফেনা বলেছেন: তারা মুদ্রার একটা পৃষ্ঠা নাত্র। এক পৃষ্ঠা ভাগছে আর অন্য পৃষ্ঠা তারা। ভাউতাবাজির কথা আর কত বলবে। যদি প্রশ্ন করা হয় তোমরাও ত ক্ষমতায় ছিলা তাহলে এত দিন করনি কেন????

ফালতু ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.