![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্ত ও সাদা মনের মানুষ হতে আগে চাইতাম। এখন আর চাই না। এখন একটু মুক্তি চাই, চাই জীবনটা শেষ হবে এই অপেক্ষার অবসান। [ মৃত্যুটা খুব স্বাভাবিক; বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক।]
"টিকটিক" বলতে TikTok অ্যাপ — জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, যেটা বাংলাদেশ-ভারত সহ অনেক দেশে বিনোদনের পাশাপাশি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
TikTok আমাদের সমাজে কী কী ক্ষতি করছে?
১. সময় নষ্ট ও আসক্তি অসাধারণ মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে এটি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ স্ক্রল করে। ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা বাদ দিয়ে ভিডিও বানানো বা দেখা নিয়ে ব্যস্ত। বাচ্চাদের মাঝে Productivity মারাত্মকভাবে কমে গেছে। অনেকেই দিনে ৩–৫ ঘণ্টা শুধু TikTok দেখেই পার করে দেয়।
২. অশ্লীলতা ও কনটেন্টের অবক্ষয় এতটাই বেশি যা এখন নিয়ন্ত্রন করা বেশ কঠিন কাজ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ভিডিওতে অশ্লীল পোশাক, অশালীন ভঙ্গি, অশোভন ভাষা ব্যবহৃত হয়। এমনকি ইদানিং শরীর দেখিয়ে অশ্লীল ভিডিও বানানোর প্রতিযোগীতা চলছে। কিশোর-কিশোরীরা এসব দেখে অনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কল্পনায় আকৃষ্ট হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের ।
৩. সৃষ্টি হয়েছে ভুয়া জনপ্রিয়তা ও আত্মপ্রচারের বিকৃত মানসিকতার। অনেক তরুণ/তরুণী শুধুমাত্র ফেম বা লাইক পাওয়ার জন্য বেপরোয়া কনটেন্ট তৈরি করছে। এতে আত্মসম্মান বোধ হারিয়ে যাচ্ছে, “ভাইরাল হওয়ার নেশা” তৈরি হচ্ছে।
সমাজে মেধা নয়, মুখোশের চাহিদা বাড়ছে।
৪. এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বেরেছে বহুগুণ। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের সংস্কৃতিতে মিশ্রণ ঘটছে অপসংস্কৃতির। অনেক ভিডিওতে পশ্চিমা অশ্লীল ট্রেন্ড, অযৌক্তিক ডান্স বা চ্যালেঞ্জ থাকে। এতে বাংলাদেশি সংস্কৃতি, ধর্মীয় রীতি বা শালীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
৫. তৈরি হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার । এক কথায় বলতে গেলে এইটা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার একটা বড় উৎসও।
নেশার মতো আসক্তি → ডিপ্রেশন, ইনসিকিওরিটি, আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।
“আমি ভাইরাল হতে পারছি না” → হতাশা ও আত্মসম্মানহানিকর কাজ।
কিছু বাস্তব উদাহরণ:
ছাত্র TikTok করতে করতে ট্রেনে কাটা পড়ল ফলাফল প্রাণহানি
ছাত্রী অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করে ব্ল্যাকমেইলড ফলাফল সামাজিক বিপদ
রিলেশনশিপ কনটেন্টে প্রলোভন ফলাফল নৈতিক ও চারিত্রিক বিপর্যয়
TikTok অ্যাপ যদি নিয়ন্ত্রিত না থাকে, তাহলে এটি সমাজে একপ্রকার "মানসিক মাদক" হিসেবে কাজ করবে।
জুরুরি ভিত্তিতে এই অ্যাপ কে বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। অন্যথায় ভিন্ন চিত্র দেখা লাগতে পারে।
২| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০১
ফেনা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন সবসময়।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২
ইমরান৯২ বলেছেন: আসলেই এটা একটা মানসিক মাদক
২০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৬
ফেনা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৫১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ব্যক্তিগত অভিমত: টিকটক ব্যবহারকারীদের আমার মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ বলে মনে হয়। প্রয়োজনের চেয়ে ওখানে গার্বেজ কনটেন্ট বেশী। এটা সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটা টুল হিসেবেই দেখা উচিত। ধন্যবাদ।
২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:০১
ফেনা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: টিকটক কিছু মানুষকে অনেক নিচে নামিয়ে দিয়েছে।
২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:০১
ফেনা বলেছেন: এতটাই নীচে যা কল্পনার বাহিরে।
ভাল থাকবেন সবসময়।
৬| ২১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:২২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: টিকটক আর লাইকি এ্যাপ মোবাইল থেকে আরও কয়েক বছর আগে ডিলিট করে দিয়েছি।
২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:০২
ফেনা বলেছেন: ভাল করেছেন। পরিবার নিয়ে ভাল থাকুন।
৭| ২১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই জিনিসটার প্রতি আমার কখনও আগ্রহ কাজ করেনি। তাই ডাউনলোডও করিনি। এখন এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন।
২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:০৩
ফেনা বলেছেন: হুম। আসলে এখন নিয়ন্ত্রণ আনা বেশ কঠিন। নেশার মত ছয়ে পড়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:২৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওটা মানসিক মাদক