নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকতারুর্জ্জামান00

আমি নতুন

আকতারুর্জ্জামান00 › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিশরের আদালত

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধের রায় স্থগিত



মিশরের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করে কায়রোর একটি আদালত যে বিতর্কিত রায় দিয়েছিল তা স্থগিত করেছে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার। খবর আল-আহরাম ও ওয়াশিংটন পোস্ট’র।



মিশরের সামাজিক সংহতি বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ এল বোরাইকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা’র খবরে বলা হয়, চূড়ান্ত আইনি সিদ্ধান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কায়রোর নিম্ন আদালতের ওই রায় স্থগিত থাকবে।



মিশরের বিচার বিভাগ পক্ষপাতদুষ্ট, মুসলিম ব্রাদারহুড বিরোধী এবং পতিত স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের অনুগত হিসেবে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির দেশ পরিচালনায় নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করেছিল আদালত।



সোমবার এখতিয়ারবহির্ভূত এক রায়ে কায়রোর আদালত ব্রাদারহুড ও তার সহযোগী সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং তাদের সমুদয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে ব্রাদারহুড।



বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনা সমর্থিত সরকারে এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট যে ৮৫ বছর বয়সী ব্রাদারহুডকে কিভাবে সামাল দেয়া হবে সে ব্যাপারে সরকারর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।



কায়রো ইন্সটিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস স্টাডির উপপরিচালক জিয়াদ আবদেল তাওয়াব বলেন, ‘ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের মধ্যে ঐকমত্য নেই। কেউ কেউ যাচ্ছেন দলটির সাথে আলোচনা করতে, আবার অন্যরা চাচ্ছেন তাদেরকে নিঃশেষ করে দিতে।’



তবে সেনা সমর্থিত সরকার ব্রাদারহুডকে ধ্বংস করে দিতেই সচেষ্ট। নতুন করে কোনো নির্বাচন হলে বাদ্রারহুড জনগণের সমর্থন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে পারে এমন ‘আশঙ্কা’ করছে দেশটির কর্তৃত্ববাদী সেনাবাহিনী।



মিশরের ইতিহাসে প্রথম স্বচ্ছ নির্বাচনে জয়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে গত ৩ জুলাই সরিয়ে দেয়ার পর থেকে সেনা সমর্থিত সরকার কয়েক হাজার ব্রাদারহুডকর্মীকে হত্যা এবং মুরসিসহ দলটির সব শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।



এখন তৃণমূল পর্যন্ত মুরসি সমর্থকদের ওপর দমন অভিযান চালাচ্ছে সরকার। দমন-পীড়ন উপেক্ষা করেও সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ব্রাদারহুড সমর্থকরা।



তবে ব্রাদারহুডের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া কোনো নতুন খবর নয়। ১৯৫৪ সাল থেকেই দলটিকে নিষিদ্ধ করে রেখেছে দেশটির স্বৈরাচারী সরকার।



এর মধ্যেই গোপনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সামাজিক কল্যাণে প্রভূত কাজ করেছে দলটি। চলতি বছর মার্চে প্রথমবারের মত একটি বেসরকারি সংগঠন হিসেবে সরকারের নিবন্ধন নেয় মুসলিম ব্রাদারহুড।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.