![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্র্যাকডাউন আতঙ্কে বাংলাদেশের সংবাদকর্মীরা:
দোহা: ঢাকার সংবাদকর্মীরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের আশঙ্কা সংবাদমাধ্যমের ওপর আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। সোমবার এই কথা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদপত্র আলজাজিরা। ‘জার্নালিস্ট ফিয়ার ক্র্যাকডাউন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে ‘ইনডেপথ’ বিভাগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে দুটি বাংলা দৈনিক এবং আরো দুইটি টেলিভিশন চ্যানেল। এই চারটি সংবাদমাধ্যমেই বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের সংবাদ প্রচার করা হতো। গত বছর সাময়িকভাবে এগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।”
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, “শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতাসীন দলটি ব্যক্তি মালিকাধীন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য একটি জাতীয় প্রচার নীতিমালা প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছে, এই নীতি অবাধ ও সুষ্ঠু সংবাদ প্রচার নিশ্চিত করবে। তবে সমালোচকরা একে দেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একটি অশুভ সঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন।”
নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা প্রতিনিধিকে বলেন, “যখনই কোনো সরকার সংবাদমাধ্যমের নীতিমালা আরোপের বিষয়ে কথা বলেন তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছে।”
আল জাজিরা জানায়, গত ১৬ জানুয়ারি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বাংলা সংবাদপত্র দৈনিক ইনকিলাব। সাতক্ষীরায় ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে অংশ নিচ্ছে বলে সংবাদ পরিবেশনের পর পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে পত্রিকাটির অনলাইন প্রকাশনা অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন গুজব আর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পত্রিকাটিতে সাতক্ষীরার ওপর অনুসন্ধানমূলক ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে দাবি করা হয়, গত ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের আগে থেকেই ভারতীয় সেনারা সহিংসতাপূর্ণ জেলাটিতে যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিবেদক আহমদ আতীকসহ চার সাংবাদিককে ইনকিলাব কার্যালয় থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গত ১৭ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেন, “বিভ্রান্তমূলক রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য বাংলা দৈনিক ইনকিলাব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় যদি জিততে পারেন, তবে তারা আবার পত্রিকা প্রকাশ করতে পারবেন।
আল জাজিরা জানায়, সরকার ইনকিলাবের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছে তাতে বলা হয়েছে, দেশ এবং সামরিক বাহিনীর ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে পত্রিকাটি একটি ভিত্তিহীন ও মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এ মামলায় ঢাকার এক আদালত গত ২০ জানয়ারি পত্রিকাটির আটক রিপোর্টার আহমেদ আতিকের বিরুদ্ধে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর নিউজ এডিটর রবিউল্লাহ রবি এবং সহকারী চিফ রিপোর্টার রফিক মোহাম্মদকে পাঠানো হয়েছে জেলহাজতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৬ মে বিরোধী দলীয় টিভি চ্যানেল দিগন্ত টিভি এবং ইসলামিক টিভির সম্প্রচার সিগনাল বন্ধ করে দেয়া হয়। চ্যানেল দুইটি আগের দিন হেফাজত ই ইসলামের র্যা লি কাভার করেছিল।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
এম আর ইকবাল বলেছেন:
স্বাধীনতার ও একটা সীমাবদ্বতা আছে ।
আমাদের মিড়িয়া কি সেটা মানে ।
খবর মানুষকে জানানোর জন্য ।
আর আমাদের মিড়িয়ায় খবর তৈরী হয়
ব্যবসার জন্য ।
একটি টিভি চ্যানেলে বলা হলো অমুক জায়গায়
ভোট কেন্দ্র আগুন দেওয়া হয়েছে ।
এর পর পরই খবর আসা শুরু করলৈা
অমুক স্কুল, তমুক স্কুল অগুন দেওয়া হয়েছে ।
অথ্যাৎ বার্তা দেওয়া হলো
ভোট কেন্দ্রে আগুন দাও ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
ফিলিংস বলেছেন: paid....................how much per month.
can u give me a job like this..................