![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভবঘুরে মানুষ আমি । ভবের ঘরে প্রবেশের নেশায় ছুটে মরি দিবানিশি। তবুও পাইনা খুজে তারে।
উপমহাদেশে শাবে বরাত উদযাপনের ইতিহাস অনেক পুরাতন। বর্তমানে উপমহাদেশের একটি প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েগেছে। আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির অর্ন্তভুক্ত হওয়ার একটি মুল কারণ হল এদেশে ইসলাম প্রচারের সাথে সাথে #১৫ই_শাবান বা শাবে বরাতের কালচারও মুসলিম সমাজে প্রচার ও প্রসার লাভ করে । ফলে আজ এশাবে বরাত সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে মিশে গিয়েছে।
কিন্তু আরব বিশ্বে বিশেষ করে জাজিরাতুল আরব আলে সউদের দখলে আসার পর যখন ওহাবী মতাদর্শকে রাষ্ট্রিয় ভাবে গ্রহণ করা হল তারপর থেকে ওহাবী মতবাদকে বিশ্বায়নের প্রতিযোগীতায় নামে আমেরিকা+বৃটিশ ও সৌদি আরবের রাষ্টিয় শক্তি। ঠিক এসময়ই সৃষ্টি হয় ইসলামী অন্যান্য মাজহাব গুলোর বিভিন্ন কৃষ্টি কালচারের সাথে ওহাবী চিন্তাদর্শের দ্বন্দ্ব ও পারশপারিক বির্তক। এ বির্তক সমূহের একটি হল শাবে বরাত, যা এখনো বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ উদযাপন করে থাকেন। অথচ সৌদি আরবের রাষ্ট্রিয় মাজহাব ওহাবী মতাদর্শের আলেমগণ ঐ ওহাবী চিন্তার আলোকেই শাবে বরাতকে বিদ;আত বিদ’আত বলে মাইকিং করে যাচ্ছেন।
আজও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শাবে বরাত উদযাপিত হয়ে থাকে বিভিন্ন নামে । যেমন :
ইরানে বলা হয় : শাবান মাসের মধ্যম রজনী [ নিমে শাবান]
সৌদি আরবে বলা হয় : لیلة منتصف شعبان
দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে বলা হয় : মুক্তি রজনী
তুরস্কে বলা হয়: Berat Kandili
আর উপমহাদেশে বলা হয় : শাবে বরাত
আবার কেউ কেউ মুনাজাতের রজনীও বলে থাকেন।
আরবী সনের অষ্টম মাস হল #শাবান_মাস । পবিত্র শাবান মাস অত্যান্ত বরকতপূর্ণ ও #ফজিলতের_মাস। মহানবী (স.) এমাসকে নিজের মাস হিসাবেই আখ্যায়িত করেছেন।১৫ই শাবানের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্নিত হয়েছে আমরা এখানে একটি রেওয়ায়েত উপস্থাপন করছি।
মহানবী (স.) বলেন : ১৫ই শাবানের রাতে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম এমন সময় জীব্রাইল (আ.) আমার শিয়রে এসে উপস্থিত হয়ে বললেন: হে মুহাম্মদ আজ রাতে ঘুমিয়ে আছেন কেন ?
জিঙ্গেস করলাম কেন হে জীব্রাইল ? আজকের রাত কোন রাত? বললেন : শাবান মাসের মধ্যম রজনী! উঠুন ! এরপর তিনি আমাকে জান্নাতুল বাকীর দিকে নিয়ে গেলেন এবং বললেন আপনি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখুন ! আজ রাতে আসমানের দ্বার সমূহ খুলে রহমতের দ্বার সমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে । খুলে দেয়া হবে সন্তুষ্টি,ক্ষমা, রিজিক, কল্যাণ ও দানের দরজা।...... অতএব হে মুহাম্মদ আজকের এরাতে যে ব্যক্তি প্রতিপালকের গুনকীর্তন করবে [তাসবিহ পাঠ], একত্ববাদের সাক্ষ্য দিবে, [তাহলিল] মহত্ব বর্ণনা [তাকবীর ] এবং মোনাজাত করবে , নামাজ ও কুরআন পাঠ করবে, নফল নামাজ আদায় করবে, এবং সকাল পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা [ ইস্তেগফার ] করবে তার স্থান হবে বেহেশত । ঐব্যক্তির পূবের সকল পাপকর্মকে ক্ষমা করে দিবেন মহান আল্লাহর রব্বুল আলামীন। [ হাদীসটি সংক্ষেপে দেয়া হয়েছে]
১.[ইবনে তাউস, আলি ইবনে মুসা, ইকবালুল আমাল গ্রন্থ, পৃ: ২১১, প্রকাশক মুয়াছাছাতুল ইলমি লিলমাতবুয়াত, বৈরুত, ১৪১৭ হি: ]
২.[আল্লামা বাকের মাজলেসী, বিহারুল আনোয়ার, ৯৮ তম খন্ড, ৪১৩ পৃ: প্রকাশক, মুয়াছাছাতুল ওয়াফা, বৈরুত, ১৪০৩ হি:]
অতএব মহানবী (স.)এর যুগ থেকেই ১৫ই শাবান একটি বিশেষ ইবাদতের রজনী ছিল।
১৫ শাবান উপলক্ষে মহাকবি হাফেজ শিরাজীর প্রশিদ্ধ কবিতা ।
[http://ahlolbait.com/…/شعر-ØØ§Ù%8…]
শাবান মাসের ১৫ তারিখ আগে থেকেই #ইসলামী_কৃষ্টিতে একটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ #ইবাদতের_রাতস্বরূপ স্বীকৃত ছিল । এহিয়া উলুমুদ্দীন গ্রন্থে ১৫ই শাবানের বিশেষ ইবাদতের কথা ইমাম আবু হামেদ গাজ্জালীও বর্ণনা করেছেন। মাসনবী শরীফে মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমীও কাব্যেও ফুটে উঠেছে।
২| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আজ ১৪ শাবান ১৪৩৯ হিজরী, ১ মে ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দ, মঙ্গলবার দিবসের সূর্য অস্ত গেলেই এক অপার্থিব পবিত্রতায় আবৃত রজনীর আবির্ভাব ঘটবে মহিমান্বিত মুক্তির পূণ্যময় রজনী ও দোয়া কবুলের রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা শব-ই-বরাত এবং আগামী কাল বুধবার সূর্যোদয় অবধি এ রাতের মহিমাময় ফজিলত অব্যবহত থাকবে। হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন, (হযরত মুহাম্মদ ইবনে মাইসারা ইবনে আখফাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে) তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, শাবান মাস থেকে পরবর্তী শাবান মাস পর্যন্ত মৃত্যুর ফায়সালা করে দেয়া হয়। এমনকি লোকেরা যে বিবাহ করবে, সেই বছর তার থেকে কত জন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তার তালিকা এবং তার মৃত্যুর তালিকাও প্রস্তুত করা হয় ওই বছরের অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শবেবরাতে।