নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, কিছু নই।নৈশঃব্দের গান, বাতাসের কান্না।ঝরে যাওয়া ফুল। একমুঠো ধুলো।শেষ বিকেলের আলো...

অতঃপর শুভ্র

মন খারাপের একেকটা দিন। নিকষ কালো মেঘলা লাগে। কেউ বোঝেনা এই আমাকে, আমারও যে একলা লাগে......।।

অতঃপর শুভ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মৃত্যু শয্যাশায়ী রূপার নিকট খোলা চিঠি"

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৮



রূপা,
আজ গুনে গুনে ষোলটা সিগারেট খেলাম অনেকটা জেদ করেই । সিগারেট এর পেছনের অংশ গুলো যত্ন করে বুক পকেটে রেখে দিয়েছি ইচ্ছে করেই । কাল যখন দেখা করবো তোমার সাথে, তখন হাতের মুঠোয় সাজিয়ে ধরবো তোমার সামনে । তখন নিশ্চয়ই আমার উপর অভিমান করবে ! সেই আগের মত ! তোমাকে হসপিটালের শাদা ধবধবে বিছানায় শুইয়ে দেওয়ার পর থেকেই আমার কিছু ভালো লাগছে না । সত্যি করে বলছি , কাল থেকে আর ব্যস্ত হবো না কাজ নিয়ে । কখনো খামখেয়ালীর ঘোরে তোমার ক্ষুদে চিঠির উত্তর দিতে ভুলে যাবো না । দুজন নগ্ন হয়ে উত্তুরে হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দিব । তুমি দ্যাখে নিও আমি বদলে যাবো , ঠিক আগে যেমনটি ছিলাম ।
তবুও যেও না , যেও না । আমি যে একা হয়ে যাবো আমাদের পাশের বাসার চার তলার খাঁচায় রাখা লাভ বার্ড টার মত ! তোমার মনে আছে ? যেদিন ঐ লাভ বার্ডটার জোড়া পাখিটা মারা গেলো সেদিন থেকে পাখিটা কিচ্ছু খায়নি । একরাশ চাপা অভিমান নিয়ে সেও ধুকে ধুকে মারা গিয়েছিল !

রূপা সোনা আমার,
আর কয়েকটা দিন পরে গেলে হয় না ! দুজন একসাথে যেতাম ! তুমি তো বলেছিলে আমায় ছেড়ে কোথাও যাবে না । তাহলে এভাবে কি কথা দিয়ে কথা না রাখতে হয় বল ? তোমার মনে আছে কলেজের সেই পুরনো জানালার কথা ? পুরনো ভাঙ্গা চোরা জানালার পাশ ঘেঁষে দু'জন দাঁড়াতাম টিফিন এর ফাঁকে কিংবা কলেজ ছুটির পর । ঐ জায়গাটায় মধ্যদুপুরে ভয়ানক রকম নির্জনতা ভর করে থাকতো । কোন এক চৈত্রের দুপুরে সবাই যখন কলেজ ছুটির শেষে বাড়ি চলে গেছে তখন ঐ পুরনো জানালার পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম দীর্ঘ বার মিনিট । সেই কৈশোর বয়সে অনভিজ্ঞ আমরা দু'জন কিছুটা জেনে কিছুটা না জেনে , নিষিদ্ধ ভালো লাগা ভালোবাসায় কখন যে শরীর বিলিয়ে দিয়েছিলাম টেরই পাইনি । যখন হুঁশ ফিরল তখন দুজনের আদুর শরীরের ঘামের বিন্দুতে মধ্যদুপুরের রোদ চিক মিক করছে । তুমিই তো সেদিন আমায় বুকে জড়িয়ে ধরে কথা দিয়েছিলে সারাজীবন আমার বাহুডোরে-ই থাকবে ।

রূপা,
আজ পূর্ণিমা । বিশাল একটা চাঁদ উঠেছে আকাশে, পূর্ণ চাঁদের আভায় স্নান করছে গোটা পৃথিবী, সবকিছু ভেসে যাচ্ছে জ্যোৎস্নায়। তবু চাদের বুকে প্রচণ্ড হাহাকার ফেরি করছে , এতো জ্যোৎস্নার পরও চাঁদটা নিঃসঙ্গ একা বড্ড একা । এখনো নিঃসঙ্গ চাঁদটি ঝরিয়ে যাচ্ছে তার অবারিত জ্যোৎস্না, চারদিকে আলো আর আলো, রাস্তার ল্যাম্পপোষ্টগুলো দাঁড়িয়ে আছে গোমড়া মুখে, কোথাও একটা পাতা ঝড়ে গেল নিঃশব্দে, দূরে কোথাও চিৎকার করছে একটা নিঃসঙ্গ কুকুর, বাতাস আজ বড্ড অস্থির, থমথমে পরিবেশ, কোথাও যেন অশুভ কিছু হতে চলেছে। ফজরের আযান হচ্ছে হসপিটালের শাদা ধবধবে বিছানার পাশে বসে এখনো অনেক আকুতি নিয়ে জেগে রয়েছে আমার একজোড়া আশাতীত চোখ । এই বুঝি তুমি উঠলে বলে ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১২

বিজন রয় বলেছেন: আপনি কি সাহিত্যিক!!

অনেক ভাল লেখেন আপনি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

অতঃপর শুভ্র বলেছেন: না ভাই সাহিত্যিক নই
তবে সাহিত্য চর্চা করি

আপনি ত আমার চে দারুন লেখেন

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২১

মুহাম্মাদ শাথিল বলেছেন: লেখাটা পড়ার পর কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে গেছি। আমার জীবনেও রূপার অস্তিত্ব অনুভব করছি!
সবটুকু কষ্ট নিংড়ে দিয়েছেন, দারণ লিখা!

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

অতঃপর শুভ্র বলেছেন: শুভেচ্ছা ফ্রি

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

কালনী নদী বলেছেন: রুপাবিহিন জবিনে অনেকে আবার এক নিঃশ্বাসেই গোল্ডলিফের প্যাকেটা উড়িয়ে দিচ্ছেন।
চমৎকার!

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

অতঃপর শুভ্র বলেছেন: ইয়েস বস



তবে আমি পাইলট

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

কালনী নদী বলেছেন: পেয়েছি আমার শুভ্র করে, অনুসরনে রাখছি!
এসব কথা বলে বলেই, সিগারেটের ধোয়া উড়াচ্ছি।
:)

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০০

অতঃপর শুভ্র বলেছেন: হুম

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

কালনী নদী বলেছেন: পেয়েছি আমার শুভ্র কে,* (সংশোধিত)

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০২

কল্লোল পথিক বলেছেন:





চমৎকার লিখেছেন।
শুভ কামনা জানবেন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

অতঃপর শুভ্র বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক ভাললাগা রইল প্রিয়

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন রূপাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.