নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন ও মননের চর্চায় প্রতিনিয়ত পথচলাতেই আমার আনন্দ।

আলোর জানালা

সবার আমি ছাত্র/ শিখছি দিবা-রাত্র

আলোর জানালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতির নান্দনিক পাঠ

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:০৯

ভাষা পরিবর্তনশীল। শব্দের বিবর্তনও এর ব্যতিক্রম নয়। সময়ের প্রেক্ষাপটে একটি ভালো শব্দও গালিতে পরিণত হতে পারে।পলাশীর যুদ্ধের আগে মীরজাফর নামটির ওপর মানুষের এত ঘৃণা ছিল না।
‘রাজনীতি’ শব্দটি বাংলা ভাষার একটি অপরিহার্য শব্দ। এ শব্দটির ওপর যুগযুগ ধরে এত বেশি অত্যাচার হয়েছে যে, এর অর্থই এখন পাল্টে গিয়েছে। ‘আমার সাথে রাজনীতি করস্’-এই বাক্যটির অর্থের ধরণ বলে দেয় ‘রাজনীতি’ শব্দটির বর্তমান অবস্থা।
‘রাজনীতি’ শব্দটি সম্পর্কে লেখক ও প্রাবন্ধিক শফিকুর রহমান তাঁর ‘হিউম্যানিজম’ গ্রন্থে বর্তমান প্রেক্ষাপটানুযায়ী সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে- রাজা হওয়ার যে নীতি তাকে রাজনীতি বলে। প্রজাসাধারণকে ফাঁকি দেওয়ার,শোষণ করার,অপর দেশকে তাঁবেদারে পরিণত করার ও ঠকাবার কৌশল এ হতে আয়ত্ত করা যায় বলে একে রাজনীতি-শাস্ত্র বলে। ‘রাজনীতি’ শব্দের ইংরেজি Politic শব্দের অর্থ সুচতুর,কূটকৌশলী এবং কূটকৌশলপূর্ণ। Poly- বহু এবং trick- কৌশল,প্রতারণা,ফাঁকি শব্দদ্বয়ের সম্মিলনে politick এবং politic শব্দদ্বয়ের জন্ম। Politick-এর অর্থ রাজনৈতিক কার্যে লিপ্ত হওয়া আর politics-এর অর্থ রাজনীতি বা বহু-রকমের প্রতারণা ও ফাঁকিবাজি বিদ্যা। যে এই বিদ্যায় সুবিজ্ঞ ও পারদর্শী তাঁকে Politician- রাজনীতিবিদ বলা হয়।

ফরাসি রাষ্ট্রনায়ক জর্জ জ্যাঁ র্যা মঁ পোমপিদো (১৯১১-৪৭), যিনি চারবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হন এবং দ্যগলের পরে ফ্রান্সের আমৃত্যু প্রেসিডেন্ট হন, তিনি বলেন-‘একজন রাজনীতিবিদ হলেন একজন রাষ্ট্রনায়ক যিনি জাতিকে তাঁর নিজের সেবায় নিয়োজিত করেন (A politician is a statesman who places the nation at his service.)।

বাংলাদেশের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্থানের মন্ত্রী আবুল মনসুর আহমদ অনেক অভিজ্ঞতা থেকে রাজনীতিকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। (১) রাজনীতি: রাজা বা বাদশাহ্-নীতি (২) রাজনীতি: সরকার-নীতি (৩) রাজনীতি: মিস্ত্রি-নীতি।
(১) রাজা বা বাদশাহনীতি: যেসব সৈন্য নিয়ে লুণ্ঠন ও অপহরণ কাজ সমাধা করা হয়, সেসব সৈন্যকে ফাঁকি দিয়ে বা বঞ্চিত করে সকল সম্পদ আত্মসাৎ করার যে নীতি।
(২) সরকারনীতি: রাষ্ট্রের প্রজাসাধারণের অর্থে মন্ত্রী-কর্মীদের ব্যাংক-ব্যালান্স ফাঁপান, বেনামীতে বড় বড় শিল্প-মিল-কলকারখানা স্থাপন এবং বিরাট বিলাসবহুল অট্টালিকা তৈরির যে নীতি।
(৩) মিস্ত্রিনীতি: জোগালিয়া বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে অপরের ইট, বালি, সিমেন্ট হরণ করার যে নীতি।

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা যা-ই বুঝার চেষ্টা করি না কেন, এটা ঠিক যে রাজনীতি শব্দটির শাব্দিক বিশ্লেষণ করলে পাই-‘রাজার বা রাজাদের নীতি’ (এটি একটি সমাসবদ্ধ শব্দ বা পদ-ষষ্ঠী তৎপুরুষ)। প্রশ্ন এক জায়গাতেই, সেটি হচ্ছে- আজকাল রাজনীতি করতে হলে রাজা-বাদশাহ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কুলি থেকে মজুর,চা-পোষা কেরাণি থেকে সচিব এমনকী টোকাই ব্যাটাও রাজনীতি করে।তাই রাজনীতি শব্দটি তার আভিজাত্য হারিয়েছে অনেক আগেই।এখন এটি একটি থার্ডক্লাস শব্দ।
ভাষা পরিবর্তনশীল। শব্দের বিবর্তনও এর ব্যতিক্রম নয়।সময়ের প্রেক্ষাপটে একটি ভালো শব্দও গালিতে পরিণত হতে পারে।পলাশীর যুদ্ধের আগে মীরজাফর নামটির ওপর মানুষের এত ঘৃণা ছিল না।

‘রাজনীতি’ শব্দটি বাংলা ভাষার একটি অপরিহার্য শব্দ। এ শব্দটির ওপর যুগযুগ ধরে এত বেশি অত্যাচার হয়েছে যে, এর অর্থই এখন পাল্টে গিয়েছে। ‘আমার সাথে রাজনীতি করস্’-এই বাক্যটির অর্থের ধরণ বলে দেয় ‘রাজনীতি’ শব্দটির বর্তমান অবস্থা।

‘রাজনীতি’ শব্দটি সম্পর্কে লেখক ও প্রাবন্ধিক শফিকুর রহমান তাঁর ‘হিউম্যানিজম’ গ্রন্থে বর্তমান প্রেক্ষাপটানুযায়ী সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে- রাজা হওয়ার যে নীতি তাকে রাজনীতি বলে। প্রজাসাধারণকে ফাঁকি দেওয়ার,শোষণ করার,অপর দেশকে তাঁবেদারে পরিণত করার ও ঠকাবার কৌশল এ হতে আয়ত্ত করা যায় বলে একে রাজনীতি-শাস্ত্র বলে। ‘রাজনীতি’ শব্দের ইংরেজি Politic শব্দের অর্থ সুচতুর,কূটকৌশলী এবং কূটকৌশলপূর্ণ। Poly- বহু এবং trick- কৌশল,প্রতারণা,ফাঁকি শব্দদ্বয়ের সম্মিলনে politick এবং politic শব্দদ্বয়ের জন্ম। Politick-এর অর্থ রাজনৈতিক কার্যে লিপ্ত হওয়া আর politics-এর অর্থ রাজনীতি বা বহু-রকমের প্রতারণা ও ফাঁকিবাজি বিদ্যা। যে এই বিদ্যায় সুবিজ্ঞ ও পারদর্শী তাঁকে Politician- রাজনীতিবিদ বলা হয়।

ফরাসি রাষ্ট্রনায়ক জর্জ জ্যাঁ র্যা মঁ পোমপিদো (১৯১১-৪৭), যিনি চারবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হন এবং দ্যগলের পরে ফ্রান্সের আমৃত্যু প্রেসিডেন্ট হন, তিনি বলেন-‘একজন রাজনীতিবিদ হলেন একজন রাষ্ট্রনায়ক যিনি জাতিকে তাঁর নিজের সেবায় নিয়োজিত করেন (A politician is a statesman who places the nation at his service.)।

বাংলাদেশের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্থানের মন্ত্রী আবুল মনসুর আহমদ অনেক অভিজ্ঞতা থেকে রাজনীতিকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। (১) রাজনীতি: রাজা বা বাদশাহ্-নীতি (২) রাজনীতি: সরকার-নীতি (৩) রাজনীতি: মিস্ত্রি-নীতি।

(১) রাজা বা বাদশাহনীতি: যেসব সৈন্য নিয়ে লুণ্ঠন ও অপহরণ কাজ সমাধা করা হয়, সেসব সৈন্যকে ফাঁকি দিয়ে বা বঞ্চিত করে সকল সম্পদ আত্মসাৎ করার যে নীতি।

(২) সরকারনীতি: রাষ্ট্রের প্রজাসাধারণের অর্থে মন্ত্রী-কর্মীদের ব্যাংক-ব্যালান্স ফাঁপান, বেনামীতে বড় বড় শিল্প-মিল-কলকারখানা স্থাপন এবং বিরাট বিলাসবহুল অট্টালিকা তৈরির যে নীতি।

(৩) মিস্ত্রিনীতি: জোগালিয়া বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে অপরের ইট, বালি, সিমেন্ট হরণ করার যে নীতি।

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা যা-ই বুঝার চেষ্টা করি না কেন, এটা ঠিক যে রাজনীতি শব্দটির শাব্দিক বিশ্লেষণ করলে পাই-‘রাজার বা রাজাদের নীতি’ (এটি একটি সমাসবদ্ধ শব্দ বা পদ-ষষ্ঠী তৎপুরুষ)। প্রশ্ন এক জায়গাতেই, সেটি হচ্ছে- আজকাল রাজনীতি করতে হলে রাজা-বাদশাহ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কুলি থেকে মজুর,চা-পোষা কেরাণি থেকে সচিব এমনকী টোকাই ব্যাটাও রাজনীতি করে।তাই রাজনীতি শব্দটি তার আভিজাত্য হারিয়েছে অনেক আগেই।এখন এটি একটি থার্ডক্লাস শব্দ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.