![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একুশের শ্রদ্ধা এবং আমার আত্মকথন###মাতৃভাষা রক্ষার্থে অকাতরে জীবন দানের ঘটনা পৃথিবীর আর কোনো জাতির নেই। আমরা হলাম সেই-ই একমাত্র সংগ্রামী জাতি, যে জাতি তার মাতৃভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছে।৮ই ফাল্গুনের সেই দিনটিতে পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে রেঙেছিল বাংলার প্রকৃতি; কী অদ্ভুত এক ঘটনাচক্র! বাংলার ইতিহাসের সাথে প্রকৃতির কী অদ্ভুত এক মেলবন্ধন!###বাংলার সাহসী সন্তান সেই সব ভাষা-শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজও আমরা শহিদমিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করি।আজকের এইসব শহিদমনিারগুলো এখনও পাকিস্থানিদের শরীরে কাঁটা হয়ে হুল ফোটায়।একারণে হয়তো কখনও কখনও দেখতে পাই শহিদমিনারের টকটকে লাল সূর্যের গায়ে আগুনের লেলিহান শিখা; কখনও কখনও শুনতে পাই বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের আর্তচিৎকার।###মূল কথা: শ্রদ্ধা আর ভালবাসা ঢোকঢোল পিটিয়ে প্রদর্শনের ব্যাপার নয়; অনুভবের ব্যাপার।এই দিনটির দৃশ্যপটে আমরা দেখি- প্রথম প্রহরে আব্দুল গাফ্ফারের লেখা আর আলতাফ মাহমুদের সুর করা সেই বিখ্যাত গান গাইতে গাইতে শহিদমিনারের অভিমূখে নাঙা পায়ে প্রভাতফেরি, অতঃপর পুষ্পস্তবক অর্পণ।এভাবেই আমরা ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকাকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি।শ্রদ্ধা প্রদর্শনের এই চিরায়ত নিয়ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলতেই থাকবে।ইতিহাসকে জীবন্ত করে ধরে রাখতে এইভাবে কিছু না কিছু প্রয়াস চালিয়ে যেতেই হয়; বিশেষ করে সেসব ইতিহাস- যেসব ইতিহাস একটা জাতির নবজাগরণের ইতিহাস, যেসব ইতিহাস একটা জাতির নবচেতনার ইতিহাস।৫২-এর একুশতো শুধু বাঙালি জাতির নবজাগরণ আর নবচেতনার ইতিহাস নয়; ইতিহাসের ইতিহাস।###শেষ কথা: বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন রীতি ও রেওয়াজ অনুযায়ী তাদের ঐতিহাসিক দিনগুলোকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে।মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আমাদের এই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা শহিদমিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা ধর্র্মীয় রীতি-বিরূদ্ধ বলে মনে করেন। এ কারণে ধর্মপ্রাণ এসব সাধারণ মানুষ শহিদমিনারে যান না; তাই বলে ভাষা শহিদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধার কোনো ঘাটতি নেই। তাদের মতে (মুসলিম ধর্মীয় রীতিতে) একজন মৃত ব্যক্তির রুহের জন্য দরকার মাগফিরাত কামনা; শ্রদ্ধা নয়।এজন্য বিভিন্ন দোয়া- দুরূদ, নফল ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করাই হচ্ছে একজন খাঁটি ইমানদারের কাজ।###আমার কথা: জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হয়ে রাষ্ট্রের কাজ রাষ্ট্র করবে তার সার্বজনীন রীতি-পদ্ধতিতে। আমার কাজ আমি করবো, আমার দৃষ্টিকোণ থেকে, যেমনটি আমি করি আমার পূর্বপুরুষদের জন্য।######
©somewhere in net ltd.