![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসসালামু আলাইকুম। আমি আমাতুস সামী তাহেরা। আমি ২০১৯ সালে সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ থেকে ইউনানী চিকিৎসার উপর বি.ইউ.এম.এস. ডিগ্রী অর্জন করেছি। আমি আমার এই ব্লগে ইউনানী চিকিৎসা বিষয়ে আলোচনা করব যাতে সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে ও ঘরোয়া ভাবে নিজেদের চিকিৎসা করতে পারে।
অর্জুন ইউনানী চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান ভেষজ। মূলত অর্জুনের ছাল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে এর মূল, পাতা ও ফলও ব্যবহার করা যায়। অর্জুনের প্রধান ক্রিয়া এটি হৃৎপিন্ডের শক্তিবর্ধক। অর্জুন ছালের কাথ/চূর্ণ পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
অর্জুন হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে, করোনারী ধমনীর রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমায়। তাই এটি উচ্চরক্তচাপ, বকে ব্যাথা, করোনারী হার্ট ডিজিসে ব্যবহার করা হয়। অর্জুন ছালের আরেকটি বিশেষত্ব হল এটি রক্তের শর্করার পরিমাণকে কমিয়ে দেয় যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
অর্জুন ছালের চূর্ণ অত্যধিক প্রস্রাব, কিডনী ও মূত্রনালির সমস্যা দূর করে বিশেষ করে পাথর হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এটি জ্বর ও আমাশয় নিরাময়েও উপকারী।
এক গবেষণায় বলা হয়, অর্জুন ছালের কাথ নিয়মিত পান করলে ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগে ও ক্ষত শুকায়। পাশাপাশি অর্জুন ছাল চূর্ণ ঘি/দুধে মিশ্রিত করে ভাঙ্গা অংশে প্লাস্টার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
অর্জুন পাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল করলে শরীরের দুর্গন্ধ দূর হয়। এক গবেষণায় অর্জুনকে বিষের প্রতিষেধক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
DOS (Doctrine of Signature) & TOS (Teachings of Similarity) থেরাপী অনুযায়ী, অর্জুন ছালের বর্ণ লাল যা ঈঙ্গিত করে এটি হৃৎপিণ্ড ও রক্তসংবহন তন্ত্রের জন্য খুবই কার্যকর। গবেষকগণ হার্ট ফেইলরের রোগীদের উপর গবেষণা করে দেখেছেন যে, নিয়মিত অর্জুন ছাল চূর্ণ সেবনে রোগীদের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
সেবনের মাত্রা ও নিয়মঃ-
অর্জুন ছাল চূর্ণ ১-৪ গ্রাম এবং কাথ ১০-১২ গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যায়।
যারা হৃদরোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে ১ চা-চামচ অর্জুন ছাল চূর্ণ ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার পর খাবেন। অনুরূপভাবে যাদের ডায়বেটিস আছে এবং যারা ইনসুলিন নিচ্ছেন না তারাও প্রতিদিন সকালে ১ চা-চামচ অর্জুন ছাল চূর্ণ ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার পর খাবেন।
ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগানোর জন্য বা বাত ব্যথা দূর করতে চাইলে নিয়মিত সকালে অর্জুন ছালের কাথ পান করুন। কাথ তৈরি করার জন্য ৫০০ মিলি পানিতে ১০ গ্রাম অর্জুনের আস্ত ছাল নিন, এরপর মধ্যম আঁচে জ্বাল করুন। পানি প্রায় ১/৩ ভাগ হয়ে গেলে নামিয়ে, ঠান্ডা করে, ছেঁকে পান করুন।
সতর্কতাঃ- কখনোই অতিরিক্ত মাত্রায় অর্জুন চূর্ণ খাবেন না। গর্ভাবস্থা, স্তন্যদাত্রী এবং যাদের অতি সম্প্রতি সার্জারী হয়েছে তাদের অর্জুন খাওয়া নিষেধ।
যাদের গ্যাস্ট্রাইটিস, মাথাব্যাথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা অর্জুন ছাল চূর্ণ বা কাথের সাথে মধু মিশিয়ে খাবেন।
___আমাতুস সামী তাহেরা
বি.ইউ.এম.এস. (ব্যাচেলর অফ ইউনানী মেডিসিন এন্ড সার্জারী)
সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭
আমাতুস সামী তাহেরা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হৃদগোরে উপকার পাওয়া যায় এটা পরীক্ষিত , বাত ব্যাথায় কতটুকু কার্যকারী ?
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৯
আমাতুস সামী তাহেরা বলেছেন: এটি হাড় ভাঙ্গা জোড়া লাগাতে কাজ করে, তবে বাত ব্যাথায় কার্যকর কিনা তা পরীক্ষিত নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: উপকারী লেখা !