![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসসালামু আলাইকুম। আমি আমাতুস সামী তাহেরা। আমি ২০১৯ সালে সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ থেকে ইউনানী চিকিৎসার উপর বি.ইউ.এম.এস. ডিগ্রী অর্জন করেছি। আমি আমার এই ব্লগে ইউনানী চিকিৎসা বিষয়ে আলোচনা করব যাতে সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে ও ঘরোয়া ভাবে নিজেদের চিকিৎসা করতে পারে।
আমলকি অতি পরিচিত একটি ফল। এর গুণাগুণ ও উপকারিতা অনেক। আমলকি কয়েক ভাবে খাওয়া যায়।
(i) তাজা আমলকি চিবিয়ে অথবা এর জুস তৈরি করে।
(ii) শুকনো আমলকি গুড়ো করে পানি/মধুতে মিশিয়ে।
(iii) শুকনো আমলকির মোরব্বা তৈরি করে।
আমলকির প্রধান কাজ হল এটি পাকস্থলী, মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডের শক্তিবর্ধক।
আমলকি রক্তকে পরিষ্কার করে, রক্তের শ্বেতকণিকা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকে প্রতিহত করে। পাশাপাশি এটি রক্তের কোলেস্টেরল লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগ প্রতিহত করে এবং অগ্নাশয় হতে পরিমিত পরিমাণে ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় উপাদান বিদ্যমান থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। পাশাপাশি এটি ডায়রিয়াও নিরাময় করে। আমলকী পাকস্থলী ও অন্ত্রের এনজাইম নিঃসরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে, ফলে এটি ক্ষুধামন্দা দূর করে।
DOS (Doctrine of Signature) & LOS (Law of Similarity) থেরাপী অনুযায়ী, আমলকির আকৃতি গোলাকার ও দেখতে অনেকটা মাথার মত। আবার একে অর্ধেক করে কাটলে চোখের মতো মনে হয় যা এই ঈঙ্গিত করে যে এটি মস্তিষ্ক ও চোখের নানান রোগে উপকারী।
আমলকির মোরব্বা স্মৃতিভ্রম, মাথা ঘোরা ও মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগে উপকারী। আমলকি চূর্ণ, মধু ও বাদাম তেল একসাথে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। গবেষণায় জানা গেছে, আমলকিতে এন্টি-ক্যান্সার উপাদান রয়েছে যা জরায়ু মুখের ক্যান্সার ও ওভারীর ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মূলত তাজা আমলকি পাকস্থলীর সমস্যায়, আমলকির মোরব্বা মস্তিষ্কের রোগে এবং আমলকির চূর্ণ অন্যান্য সব ধরণের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।
সেবনের মাত্রা ও নিয়মঃ-
আমলকি চূর্ণ ১-২ চামচ, কাথ ২০-৩০ গ্রাম ও মোরব্বা ২-৩ টি দৈনিক খাওয়া যায়।
ক্ষুধামন্দা দূর করার জন্য-
প্রতিদিন সকালে ২-৩ টি তাজা আমলকি খালিপেটে চিবিয়ে খান। যাদের খালিপেটে খেলে সমস্যা হয় বা গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা আছে তারা সামান্য কিছু খেয়ে তারপর আমলকি খান।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য-
৪-৫ চা-চামচ আমলকি চূর্ণ ১ চা-চামচ বাদাম তেলে ভাল করে মিশিয়ে পরিমাণ মত মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে খান ২১ দিন। এরপর ৩ দিন বিরতি দিয়ে আবার ২১ দিন খান। এভাবে ৩ মাস পর্যন্ত খেতে পারবেন। [প্রতি ২১ দিন পরপর ৩ দিন করে বিরতি জরুরী]
মস্তিষ্কের নানাবিধ সমস্যায়-
১ টি করে আমলকির মোরব্বা প্রতিবেলা খাওয়ার পর (ভরাপেটে) খান। [দিনে ৩ টির বেশি নয়]
পাকস্থলীর অন্যান্য সমস্যায়-
১-১.৫ চা-চামচ আমলকি চূর্ণ ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে সকালে ও রাতে খাওয়ার পর (ভরাপেটে) খান। [খালিপেটে খাবেন না]
রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল, শর্করার পরিমাণ কমেনোর জন্য ও অন্যান্য সমস্যায়-
১ চা-চামচ আমলকি চূর্ণ ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে সকালে ও রাতে খাওয়ার পর (ভরাপেটে) খান। [খালিপেটে খাবেন না]
সতর্কতাঃ-
যাদের গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা আছে বা পেপটিক আলসার আছে তারা কখনোই আমলকি খালিপেটে খাবেন না। অতিরিক্ত আমলকি সেবন প্লীহা ও মুত্রাশয়ের জন্য ক্ষতিকর।
___আমাতুস সামী তাহেরা
বি.ইউ.এম.এস. (ব্যাচেলর অফ ইউনানী মেডিসিন এন্ড সার্জারী)
সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ঢাকা, বাংলাদেশ।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৯
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: দারুণ উপকারী ফল।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমলক্ষী কেটে পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে গ্যাসটিক কমাতে উপকার পাওয়া যাবে।