নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এমদাদ মেহেদী

আমি চেষ্টা করি নতুন কিছু করার। কম্পিউটার এ কাজ করতে ভাল লাগে।

এমদাদ মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তান ভাল খেলে, তাই সমর্থন দেই। আসলেই?

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

পাকিস্তান কেন সমর্থন করেন? পিছলা টাইপ মানুষ জবাব দেয়, ভাই, ভাল খেলে তাই করি। একটা দল ভাল খেললে সমর্থন দিলেও কি দোষ হয়ে যায় নাকি? ও আচ্ছা, তাহলে আপনি খেলার সাথে রাজনীতি বা ধর্ম মেশাচ্ছেন না? এক্কেবারেই না! কক্ষণো না! খেলা তো খেলাই, ওটাকে অন্য কিছু দিয়ে বিচার করবেন না।



ঠিক আছে, আসুন দেখি তাহলে পাকিস্তান আসলে কতটা ভাল খেলে। একবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ, ইমরান খান, ওয়াসিম, ওয়াকার, শোয়েব, শহিদ আফ্রিদির দল। আমি এখানে ওয়ানডে পরিসংখ্যান নিয়ে বসবো, কারন বাঙ্গালির উম্মাদনা ওটা নিয়েই, পাকিস্তানের টেস্ট নিয়ে নিশ্চয়ই কেউ সারাদিন কেউ পড়ে থাকেন না (মাঝে মাঝে আপডেট নেন হয়তো)। ওয়ানডেতে পাকিস্তানের খেলার একটা বলও মিস করেননা, এমন অনেক পাঁড় সমর্থক আমার বন্ধুমহলেই আছে।



অনেকে বলবেন, টি-২০ কেন আমি বাদ দিচ্ছি? দিচ্ছি কারণ ওটা এখনো পুরোদস্তুর ক্রিকেট না, টাকা কামানো ও ফুর্তির ব্যবস্থা। টি-টুয়েন্টিতে জয়ে খুব বেশি কিছু লাগে না, হুট-হাট করে, র‍্যাঙ্কিং-এর সবচেয়ে তলায় থাকা দলটিও কোন একটি বিশেষ সময়ে, তাদের ১-২জন খেলোয়াড় ভালো ফর্মে এবং প্রতিপক্ষ বাজে ফর্মে থাকলে নিয়মিত হারিয়ে দিতে পারে। একটা ভালো ওভারও অনেক সময় জয়ের জন্য যথেষ্ট। তাই এই ফরম্যাটটি যেন তৈরিই হয়েছে পাকিস্তান ও বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত অত্যন্ত আনপ্রেডিক্টেবল দল দুইটির জন্যে। আর তার জন্ম তো বেশিদিন নয়, আপনি তো তার আগে থেকেই পাকিস্তান সমর্থন করে আসছেন, তাই না? নিশ্চয়ই টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের পরে মুগ্ধ হয়ে তাদের সমর্থন শুরু করেননি বোধহয়? (করে থাকলে ভাই, আমার কিছু বলার নেই, এই লেখা আপনাকে উদ্দেশ্য করে লেখা না)।



পাকিস্তান এখন পর্যন্ত খেলেছে ৮১৬টি ওয়ানডে ম্যাচ, জিতেছে ৪৩৭টি, হেরেছে ৩৫৪টি, ৮টি টাই, ১৭টি ফলাফলবিহীন, জয়ের শতকরা হার ৫৩.৫৫। এখন আসি ভারত ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে, তারা খেলেছে যথাক্রমে ৮৫৩ ও ৭১৩টি করে ম্যাচ। জয় পেয়েছে ৪২৫ ও ৩৩৭টি, শতকরা জয় যথাক্রমে ৪৯.৮২ ও ৪৭.২৭ ভাগ। সুতরাং পাকিস্তান উপমহাদেশে শ্রেষ্ঠ দল। আপাতত মেনে নিলাম সেটা।



ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তান খেলেছে যথাক্রমে ১৩৮, ১২৬ ও ৩২টি ম্যাচ, জয় পেয়েছে ৮০, ৭২ ও ৩১ টি। মোট ২৬৪ ম্যাচে ১৫২টি জয় (৫৭.৫৮%), বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে, কারন তারা এখনো উন্নতির পথে আছে (আরেকটি কারন পরে ব্যাখা করছি)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি জয় পাকিস্তানের এই দুটি দলের বিপক্ষেই, শতকরা জয়ও ৫৭.৯৭ (শ্রীলঙ্কা) এবং ৫৭.১৪ ভাগ (ভারত) সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে বাদ দিলে কাছাকাছি আছে নিউজিল্যান্ড (৫৭.৩০%) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৪৩.৬৫%) উল্লেখ্য ৪টিই এখন র‍্যাঙ্কিং-এ তলার সারির দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়েও দুটো কথা পরে বলছি। আগে উপমহাদেশের দলগুলোর সাথে তাদের এখন দূরত্ব কতটুকু দেখে নেই।



আমরা জানি, ১৯৯৬-এ বিশ্বকাপ জয়ের পর শ্রীলঙ্কা বদলে গেছে, এর আগে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা জিতলে সবাই অঘটনই ধরতো (এর সপক্ষে আমি যুক্তি এই লেখাতেই পরে দিচ্ছি)। দেখা যায়, ১৯৯৬ এর বিশ্বকাপ জয়ের পরে শ্রীলঙ্কার সাথে পাকিস্তান খেলেছে ৮১টি ম্যাচ, জয় ৩৯, হার ৩৯ (৪৮.১৫%)। তার মানে খেলা হয় সমানে সমান। আর শ্রীলঙ্কার সাথে ৯৬-র আগে পাকিস্তান খেলেছে ৫৭টি, জিতেছে ৪১টি (৭১.৯৩%)। আশা করি, বুঝতে পারছেন, বাংলাদেশকে কেন বাদ দিয়েছি, একটি সদ্য খেলতে শেখা দলের সাথে জয়ে প্রকৃত শক্তিমত্তা নিশ্চয়ই প্রমাণ হয় না।



এবার আসি ভারতের কথায়, ২০০০ সালের পরে থেকে ভারত বদলাতে শুরু করে। তাদের ম্যাচ গড়াপেটাকে পিছনে ফেলে, বুড়ো প্লেয়ারদের বাদ দিতে শুরু করে, শচীনের পাশে দ্রাবিড়, গাঙ্গুলি, সেওয়াগ, পরে কাইফ- যুবরাজকে পায়, একদল নতুন পেসার আসতে থাকে, জহির, থেকে শুরু করে নেহরা, পাঠান, বালাজি, হরভজনকে পায় ক্লান্ত কুম্বলের পাশে। তো ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের সাথে পাকিস্তান খেলেছে ৪৮টি ম্যাচ, জিতেছে ২৫টিতে, হেরেছে ২৩টি (জয়ের হার ৫২.০৮%), মানে আগের সেই সুদিন এখন আর নেই।



শুরু করি বাকি দলগুলোর সাথে হিসেব। প্রথমে বাদ দেই আইসিসি সহযোগীদের সাথে জয়গুলো, তাহলে দেখা যায়, পাকিস্তান ৭৯০ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৪১৩টি (৫২.২৮%)। এরপরে বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের সাথে ম্যাচগুলো বাদ দেই, দুর্বলের সাথে সবলের ধরাবাধা জয়ে সেরা হওয়া যায়না নিশ্চয়ই? দেখা গেলো, এরা পাকিস্তানের বড় প্রিয় প্রতিপক্ষ, কারণ তাদের বাদ দিলে শতকরা জয় নেমে আসে ৪৭.৮ ভাগে (৭১১ ম্যাচে ৩৪০ জয়)।



কিন্তু পাকিস্তানকে তো উপমহাদেশ-সেরা বা তলাদের সেরা হলে চলবে না, হতে হবে বিশ্বসেরা। কারণ আপনি বিশ্বসেরা বলেই পাকিস্তানকে সমর্থন দিচ্ছেন, আমি ধরে নিয়েছি। সেরা প্রমাণের দুটো উপায় আমার জানা আছে, ১। ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী দলগুলোর সাথে জয়, ২। কাপ/ টুর্নামেন্ট জয়। তাহলে নিজের চেনাজানা ভারত, শ্রীলঙ্কা আর নিচুসারির দলগুলোকে বাদ দিয়ে দেখি কি অবস্থা দাঁড়ায়। পাকিস্তানের জয়ের শতকরা হার কমে হয় ৪২.০৬ ভাগ (৪৪৭ ম্যাচে মাত্র ১৮৮ জয়)।



বলেছিলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়ে 'ভানু'র কৌতুকের মত আমার 'দুইখান কথা আছে'। পাকিস্তান সেই ১৯৭৫ সাল থেকে তাদের সাথে খেলে আসছে, ১২৬টি ম্যাচে জয় পেয়েছে ৫৫টি (৪৩.৬৫%)। কিন্তু আমরা জানি এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কি দুরবস্থা, আমি ধরেছি, ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে এই দুর্দশা শুরু তাদের। সেই সেমিফাইনালে খেলা দলটির পর আর বাকি সব জয় বা অর্জনই তাদের ঘুরে দাড়াঁনোর চেষ্টা, ধারাবাহিকতা নয়। ১৯৯৭ থেকে পাকিস্তান তাদের সাথে খেলেছে ৫০টি ম্যাচ, জয় এসেছে ৩৩টিতে! পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে দিচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন কোথায় নেমেছে! আরেকটা ব্যাপার লক্ষণীয়, এর আগে ২২ বছরে তাদের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় ২২টি! এই ২২ বছরে কি তাদের সাথে কম খেলেছে পাকিস্তান? মোটেই না, ৭৬ ম্যাচে ম্যাচে এসেছে এই জয় গুলো, মাত্র ২৮.৯৫%। পাকিস্তান ভালো খেলে বৈকি!



সবশেষে, ১৯৯৬ এর পরে থেকে দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে জয়গুলো বাদ দিয়ে দেখি পাকিস্তান কতটা ভালো দল। ৩৯৭ ম্যাচ, ১৫৫ জয়, ২৩০ হার, ৪ টাই ও ৮টি কোন ফলাফল নেই, শতকরা জয় ৩৯.০৪ ভাগ। খুব আহামরি দল মনে হচ্ছে কি?



আপনি কিন্তু ক্রিকেটকে ভালবাসেন, খেলার সাথে রাজনীতি, দেশপ্রেম, আঞ্চলিকতা, ধর্ম ইত্যাদি কিছুই মেশান না, একদম না! তাই ভারত আর শ্রীলঙ্কাকে আর আলোচনায় টানলামই না। আপনি সমর্থন করবেন সবচেয়ে সেরা দলটি, তবুও বাংলাদেশি বলে বাংলাদেশ নিয়ে কয়েকটা কথা না বলে পারছি না। ৯৬-এর বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা খেলেছে ২১০টি ওয়ানডে, জিতেছে মাত্র ৬১টি (২৯.০৫%)। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়ের হার ২৮.২৭% (২৮৩ ম্যাচে ৮০ জয়) এবং তা উর্ধ্বমুখী। সুতরাং, যারা পাকিস্তানের সাথে খেলার দিনেও ওদের সমর্থন দেন, তারা দেশপ্রেম না, এমনিই বাংলাদেশকে সমর্থন দিন, কথা দিতে পারি পস্তাবেন না। বিশ্বকাপ জিতে যেতেও পারি, বলা তো যায় না। আমরাও বেশ আনপ্রেডিক্টেবল। এজন্য এ লেখায়ই শ্রীলঙ্কার ৯৬-পূর্ব অধিকাংশ জয়গুলোকেই আমি অঘটন হিসেবে ধরি।



যা হোক, ফেরত আসি পাকিস্তানের কথায়, তাদের খুব বেশি ভালো দল এখন আর মনে হচ্ছে না। দেখি বরং আরেকটা দলের সাথে তুলনা দিয়ে। নিউজিল্যান্ড আন্ডারএচিভার, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বেশি ভালো ছিল, এখন বেশি খারাপ, এই বিবেচনায় তাদের বাদ দিয়ে ইংল্যান্ডকে নিলাম। তারা ভালোও না, খারাপও না, সবসময় মাঝারি এবং দুবারের বিশ্বকাপ রানার্স-আপ।



দেখা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথেও ইংল্যান্ডের ফলাফল পাকিস্তানের তুলনায় ভালো। পাকিস্তান সেরা শুধু উপমহাদেশের দলগুলোর সাথেই, ইংল্যান্ডের সাথে খেলাতেও তারা লজ্জাজনকভাবে পিছিয়ে। কিন্তু আপনি তো উপমহাদেশের দল বলে পাকিস্তান সমর্থন দেবেন না নিশ্চয়ই? পাকিস্তান ভাল খেলে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড আর নিচু র‍্যাঙ্কের বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের সাথে এবং তাদের সাথেই বেশি বেশি করে খেলে!



আমি ধারাবাহিকতায় ও ফলাফলে প্রমাণ করে দিয়েছি প্রায়, পাকিস্তান একটি অত্যন্ত সাধারণমানের দল। এখন বলবেন, পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতেছে? কিন্তু ভারত তার থেকে বাজে দল হয়েও দুবার জিতেছে, শ্রীলঙ্কা একবার। আঞ্চলিকতা টেনে আনছি? ঠিক আছে, তাহলে অস্ট্রেলিয়া কেন নয়? তারা জিতেছে ৪ বার! পাকিস্তান তো তাদের সবেধন নীলমণি এক ১৯৯২ বিশ্বকাপ ছাড়া আর কিছুই জেতেনি (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও না), আর এই দুই বড় টুর্নামেন্টে তাদের পারফর্মেন্স কেমন সেটা নিয়েই লিখবো দ্বিতীয় পর্ব। সেরা দল হতে হলে শুধু ধারাবাহিক না, টুর্নামেন্ট জয়ও চাই, সেখানে দেখাবো নাহয়, পাকিস্তানের কি ফলাফল! আশা করি, অনুমান করতে পারছেন!



আমি তো পাকিস্তানের সমর্থনের পেছনে যা যা কারণ পাচ্ছি, তার একটাও খেলাধূলা সম্পর্কিত না, বরং আঞ্চলিকতা, মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ বা রাজনীতি তথা ভারতবিদ্বেষই দেখছি। সমমানের অন্য যেকোন দলের খেলাও তো আপনার ভালো লাগতে পারতো, কিন্তু শুধু পাকিস্তানের খেলাতেই আপনার জোশ জাগ্রত হয়? নিজের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করুন তো, ভাল খেলে দেখে সমর্থন করি, এটা কি সত্য? হিপোক্রেসি ছেড়ে সাহস করে বলেই ফেলুন না, "ভাই, মেরে দিল মে পাকিস্তান, তাই সমর্থন দেই, আমরা মুসলিম ভাই ভাই, ৭১-এ যাই ঘটুক, দেখেন না, এখন ভারত কি করতেসে? মেরি মি আফ্রিদি, আমার পুটু তোমার জন্যে অবারিত দ্বার!"



ছাগলামি করুন, কিন্তু সাহস নিয়ে স্বীকার করুন অন্তত। আপনার লেঞ্জা এমনিতেই দেখা যায়, ঢেকে রাখার ব্যর্থ চেষ্টাটা ছাড়ুন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: "নেই কাজ তো খই ভাজ"

অবশ্য আজকাল খই ভাজাও ইমপরটেন্ট কাজ হয়ে গেছে।

এই লেখা পড়ে কতজন যে ক্রিকেটে পাকিস্তানের সাপোর্ট করা ছেড়ে দেবে তা লেখকই ভাল জানেন।

বি:দ্র: - আমি বাংলাদেশে সমর্থক, খেলা দেখি না, খবর রাখি।
অন্যদের খেলা দেখি না, খবরও রাখি না, টাইম নাই।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:২৯

এমদাদ মেহেদী বলেছেন: কেউ পাকিস্থান সমর্থন ছেরে দিবে সে জন্য এই লিখাটা দেওয়া হয়নাই। আমাদের পাকিস্থান সমর্থনের পেছনে যে একটা মানসিক বেপার আছে সেটা বুঝানুর চেষ্টা মাত্র।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: আপনার ধারনা অযৌক্তিক বা অসত্য নয়। অনেক কারনের ভিতর এটা একটা বড় কারন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.