নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিসিরআলীর ব্লগে স্বাগতম। মন্তব্য করে হিট দিয়া যান। আর ব্লগে না পাইলে ফেবুতে খোঁজ করুন : মুহাম্মাদ আরিফ হোসাইন ( ইংরেজীতে )

আমিই মিসির আলী

মানুষ মাত্রই মায়ার জালে ফেঁসে যায়। তবে কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের মায়া জিনিসটা স্পর্শ করে না। আমি তাদের একজন।

আমিই মিসির আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি গল্প এবং সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কীয় কিছু কথা। আপনার মতামত কি?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩১



মাঝে মাঝে গল্প টল্প লিখি। তত ভালো হয় না জানি। তবুও লিখি। কারন কেউ একজন বলছেন গাইতে গাইতে গায়ক। বাজাইতে বাজাইতে বাদক। মূল কথা হইলো কিছু হইতে চাইলে সেটার পিছনে সময় দিতে হবে। চেষ্টা করতে হয়। তবে যেহেতু আমরা আরাম প্রিয় অলস জাতি তাই আমাদের দিয়ে কাজের কাজ খুব কমই হয়।

যেমন আমি এই গল্পটা লিখলাম..........

"৫ বছরের রিলেশনটা বুঝি আর টিকবে না। এতোদিন, মাস, বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা সম্পর্কটার শেষ রক্ষা বুঝি আর হবে না! গায়ে সেন্টু গেঞ্জী আর লুঙ্গি পড়ে বালিশে হেলান দিয়ে ভাবছে শুভ।

নুপুর তার গার্লফ্রেন্ড। ও আদর করে নুপু বলে ডাকে। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে তার সাথে দেখা হয়েছিলো শুভর। শুভ তখন কলেজে পড়ে। চারদিকে বন্ধুদের গার্লফ্রেন্ডের সংখ্যা দেখে খুব হতাশায় জীবন যাপন করছিলো। একদিন এক বন্ধুর ডেটিং পাহারা দিতে গিয়ে পরিচয় হয়ে যায় নুপুরের সাথে।

সেই থেকে ধীরে ধীরে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। একটা সময় দুইজনের মনে হতো যে তারা একে অপরকে ছাড়া বাঁচবে না। অথচ আজ পাঁচদিন হলো নুপুরের কোন খবর নেই। যে মেয়েটা রোজ কমপক্ষে তিনবেলা খবর নিতো সে এখন খবর ই নেয় না।

শুভ ভাবে মানুষ কিভাবে এতটা বদলে যায়। শুভর পড়াশোনা এখন শেষ। কিন্তু নুপুর এখন তার থেকে অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখে চলে। শুভ শতচেষ্টা করেও এর কারন বের করতে পারে নি। গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে নুপুরকে নাকি কোন বিদেশ ফেরত ছেলে দেখতে এসেছে। ছয় বছর বিদেশ করেছে। অনেক টাকা পয়সার মালিক। তবে মাথায় কোন চুল নেই।

নুপুর একদিন বলেছিলো ওর কাজী নজরুলের মতো বাবরী চুল পছন্দ। নুপুরের পছন্দ বজায় রাখার জন্য শুভও ঘাড় সমান চুল রেখেছিলো! কিন্তু সেই নুপুর আজ কোন টাক লোককে বিয়ে করবে! ভাবতেই অবাক লাগে শুভর। দুনিয়াতে কি টাকা পয়সাই সব কিছু!!

হটাৎ ফোনের রিংটোনে চৈতন্য ফিরলো শুভর। নুপুর ফোন করেছে।
- এই শুভ তুমি কি আমাকে আর ভালোবাসো না?
- কি বলো এসব! আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত তোমাকেই ভালোবাসবো।
- এত ঢং কইরো না। পাঁচ দিনে একটা বার খবর নিছো?
- বারে! তুমিতো বলছো খবর না নিতে!
- আমি যা বলবো তুমি তাই করবে নাকি!?
- হুম, যা বলবে তাই করবো।
- আমাকে নিয়া পালাতে হবে? পারবে?
- উমম...
- কোন উমম টুমম নাই। আমি চিরকাল তোমারই থাকতে চাই। তোমার ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকতে চাই।
- কিন্তু তুমি এতোদিন এমন অদ্ভুত বিহেভ করেছিলে কেন?
- আমি স্যরি। আমি আসলে এই কঠিন সিদ্ধান্তটা নেয়ার জন্য খুবই টেনশনে ছিলাম। নাওয়া খাওয়াও বন্ধ ছিলো।
- কি বলো। খাও নাই কেন!
- আরে বাদ দাও এসব। কাল আমরা পালাচ্ছি। ভোর পাঁচটায় আমার বাসার পিছনে দাঁড়াবা। আমরা পালাবো তারপর কাজী অফিস থেকে বিয়ে করে দূরে কোথাও চলে যাবো।
- কিন্তু ....... আমার কাছে যে এখন কোন টাকা নেই।
- জানতাম থাকবে না। আমার কাছে আছে সমস্যা নেই। ঠিক সময়ে চলে এসো কিন্তু। এখন রাখি....

শুভর মনে হলো সে স্বপ্ন দেখছে। ক্ষনিকেই বদলে গেল তার মনের অবস্থা। ফোন চেক করলো আবার। না নুপু সত্যিই ফোন দিয়েছিলো।

সকাল সকাল শুভ নুপুরের বাড়ির পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলো। নুপুর একটা কালো বোরকা পড়ে এসছে। সাথে একটা ট্রাভেলিং ব্যাগ। তারা দ্রুত হেঁটে একটা সিএনজিতে গিয়ে উঠে কাজী অফিসের সামনে যেয়ে থামে। তারপর বিয়ের কাজ শেষ করে কক্সবাজারের উদ্দশ্যে রওনা দেয়।

নুপুর শুভর কাঁদে মাথা রেখে বসে আছে। শুভ ও নুপুর একটা ঘোরের মধ্যে আছে যেন! কি ঘটতে কি ঘটে গেল কিছুই যেন বুঝে না শুভ। নুপুর বললো ....
- শুভ আমাদের জীবনটা নিশ্চয়ই খুবই সুখকর হবে।
- হুম...
- তুমি চিরকাল আমাকে এইভাবে ভালোবাসবে তো?
- হুম
- আমাকে কখনো কষ্ট দিবা না তো?
- হুম ..
- হুমম মানে?
- হুমম মানে কি বলছিলা? আমার না ঘুম পাচ্ছে, একটু ঘুমাই?
- এত ঘুম কেন তোমার??
- জানি না......

হটাৎ ই একটা বিকট শব্দে বাস ব্রেক করলো। নুপুর সজোরে মাথায় আঘাত খেল। ওর মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছে। শুভ আতংকিত হয়ে গেল। বাসের মধ্যে একটা চিৎকার পড়ে গেল। আবার জোরে একটা ধাক্কা লাগলো। একটা কাঁচের টুকরো শুভর চোখের ভিতর ঢুকে গেছে। শুভর মনে হলো কেউ জোর করে তার একটা চোখ গেলে দিচ্ছে। নুপুর ঘোংগাচ্ছে। তৃতীয়বারের মতো একটা ধাক্কা লাগলো। এই ধাক্কায় শুভর মাথায় ও আঘাত এলো। শুভ জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।

শুভ যখন চোখ খুললো তখন সে হাসপাতালে। তার একটা চোখ অকেজো। এক্সিডেন্টের নাকি পাঁচ দিন হয়ে গেছে। নুপুর জন্য সে চিৎকার করে উঠলো। পরে জানতে পারে ঐ এক্সিডেন্টে নাকি ২০ জন মারা যায়। আর ওদের মধ্যে নুপুর ও ছিলো।
শুভর চোখ বেয়ে জল পড়ছে। এক চোখের জল যেন বৃষ্টির ফোটার মতোই অঝোর ধারায় ঝরছে।

কিছু ভালোবাসা পুর্ণতা পেতে পেতে ও অপূর্ণ থেকে যায়। কিছু ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েও ঝরে যায় অকালে। তবে ভালোবাসা থাকে চিরকাল। স্বর্গ থেকে আসে আবার স্বর্গেই ফিরে যায় ভালোবাসা। "

শুরুতে আমি ভাবছিলাম যে একটা হ্যাপি এন্ডিং দিবো। কিন্তু শেষে এসে মনে হইলো না এই গল্পের হ্যাপি এন্ডিং হওয়া জরুরি না। বরং একটা করুন ভাব আসলেই এই গল্পের সার্থকতা আসবে। কিন্তু এই ভাবনাটা আমার মাথায় উদয় হইলো কোথা থেকে। আমরা যে গল্পগুলা লিখি ঐ গল্পগুলার কাহিনীর স্রষ্টা কি আমরা নিজে? নাকি কাহিনী অন্যকোথাও থেকে আসে! এই যে আমি গল্পটা লিখলাম আমি এর শুরুটা জানতাম। কিন্তু শেষে এমন হবে সেটা ধারনায় ছিলো না।

এডগার এলান পো'র. রহস্যগল্পগুলা পড়ছেন না? তিনি একবার একটা রহস্য উপন্যাস লিখলেন। যেখানে দেখা যায়, রিচার্ড নামের এক ব্যাক্তিকে তার সহযাত্রীরা খেয়ে ফেলে। সমসাময়িক লেখকেরা ছি ছি করে উঠলেন। কিন্তু লেখক বলছেন, "এটা সত্য ঘটনা"।

ঠিক পাঁচ বছর পর, ঝড়ে আপতিত হওয়া এক জাহাজে ক্যানিবালিজমের(মানুষ ভক্ষন) ঘটনা ঘটে। সবাই মিলে এক সহযাত্রীকে খেয়ে ফেলে। পরে দেখা যায়, সেই ব্যাক্তিটির নামও রিচার্ড!

গল্প উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠে বাস্তবতা ঘিরে। কিন্তু ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা নিয়ে লেখা এবং সব মিলে যাওয়া কাকতালিও ব্যপার হতে পারে না। কিভাবে এডগার এটা করলেন তা কখনোই জানা যায় নি। এই যে আমাদের মাথায় বিভিন্ন গল্প আসে গল্পগুলোর উৎস কোথায়!! এমন কোন লেখক নেই যে বলতে পারবে আমি একটা উপন্যাস লিখবো আর সেটা পুরোপুরি আমার মাথায় আছে। তাহলে কোথা থেকে আসে এসব গল্প উপন্যাসের কাহিনী!!

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

নকীব কম্পিউটার বলেছেন: নাইস

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

আমিই মিসির আলী বলেছেন: মতামত নাইস!
ভালো।
অনেক ধন্যবাদ B:-/

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

সায়ান তানভি বলেছেন: দারুন লিখেছেন ,আপনার মধ্যে লেখক স্বত্বা আছে ,আপনি চালিয়ে যান ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: লেখক স্বত্বা! !:#P

ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

রাজু বলেছেন: স্বপ্নর ব্যাপারে আমার সব সময় কনফিউজড থাকি যেমনটা কাহেনী নিয়ে আমার [ কঞ্জুস] গল্পটা লিখা। সত্য ঐরূকম অনেক স্বপ্ন আমার জীবনে ঘটে যা সত্যই বিস্ময়...

গল্পটায় সুন্দর একটা থিম দিতে পারতেন। সুন্দর হইচে....

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

আমিই মিসির আলী বলেছেন: স্বপ্নের কিছু কিছু ঘটনা অনেকের সাথে সত্যি সত্যি ঘটে।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় এমন কথা বলেন যে " তারা একটা ঘটনার সম্মুক্ষীন হলে তাদের মনে হয় তারা যেন এর আগেই একই ধরনের ঘটনার সাথে পরিচিত ছিলেন।

এটাকে আবার নাম দেয়া হইছে ডেজাভ্যু!
অদ্ভুত কিছু কান্ড আসলেই ঘটে। আর তার সঠিক ব্যাখ্যা কোথাও পাওয়া যায় না।

ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একটা থিম নিয়ে লিখতে শুরু করলে কাহিনি শুধু এগিয়েই যায়

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: হুম..
ঠিক বলছেন।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এ ধরণের গল্পকে 'সিনথেসাইড' গল্প বলা যায়; তেমন কোন সঠিক প্লট নেই, কিছু কিছু যোগ করে, মৌমাছির ছাক তৈরি করা, এবং সব ছাকই একই ধাঁচের।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

আমিই মিসির আলী বলেছেন: আরেকটু গুছিয়ে বললে ভালো হইতো।
:||

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

মুসাফির নামা বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য আপনি কি বলতে চেয়েছেন কেউ ধরতে পারেনি। এখানে হেডলাইনটাই মুখ্য,ইঙ্গিতটা সেখানেই,গল্পটা আসল না।জিনিয়াস..

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

আমিই মিসির আলী বলেছেন: ফ্লপ লেখা =p~
যাইহোক, আমি লিখছি যে যার মতো এড়িয়ে গেছে।
ব্যপার না।
বিষয়টা নিয়া আপনার কি মতামত??

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ! +++
তবে আমি যখন লিখতে যাই তখন বেশির ভাগ সময় শুরু আর শেষটা মাথায় নিয়ে লেখা শুরু করি তবে মাঝখানে কী হবে তা জানি না।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: এটা অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে।
বলতে গেলে শতকরা ৯০ ভাগই জানে শুরু কি দিয়ে হবে আর শেষ কই গিয়ে হবে। তবে শুরু এবং শেষ কই থেকে আসবে সেটাও রহস্যজনক।
কারন গল্পের আইডিয়া গুলা হটাৎ করেই মাথায় আসে। কারন আমাদের মাথায় ও লেখার খরা মৌসুম আসে মাঝেমধ্যে।

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নাটকীয়তায় পূর্ন

আপনার গল্প লেখালেখি চালিয়ে যান

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১১

আমিই মিসির আলী বলেছেন: হুমমম..।
চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্প ভালো হয়নি। গল্পের চেয়ে গল্প বলার ধরনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা মাথায় রাখবেন

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৯

আমিই মিসির আলী বলেছেন: আমি কোন গল্প বলি নাই।
যাস্ট একটা উদাহারণ দিছি।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিই মিসির আলী ,




এটা একটা গল্প সেটা না হয় ঠিক আছে কিন্তু "সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কীয়" কিছুই যে নেই এখানে ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: হুম...
এখানে সৃষ্টি তত্ত্ব সম্পর্কীয় কিচ্ছু নেই। আমি এ ব্যপারে আপনার মতামত জানতে চেয়েছি।

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমাদের মাথায় ও লেখার খরা মৌসুম আসে মাঝেমধ্যে। ঘটনা সত্য। তবে এখন মাথার মধ্যে ৩/৪ টা প্লট ঘুরাঘুরি করছে কিন্তু লিখতে বসতে ইচ্ছা করছে না :(

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: লিখুন ...
যখন ইচ্ছা করবে তখনই লিখে ফেলুন।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুরুতে আমি ভাবছিলাম যে একটা হ্যাপি এন্ডিং দিবো। কিন্তু শেষে এসে মনে হইলো না এই গল্পের হ্যাপি এন্ডিং হওয়া জরুরি না। বরং একটা করুন ভাব আসলেই এই গল্পের সার্থকতা আসবে। কিন্তু এই ভাবনাটা আমার মাথায় উদয় হইলো কোথা থেকে। আমরা যে গল্পগুলা লিখি ঐ গল্পগুলার কাহিনীর স্রষ্টা কি আমরা নিজে? নাকি কাহিনী অন্যকোথাও থেকে আসে! এই যে আমি গল্পটা লিখলাম আমি এর শুরুটা জানতাম। কিন্তু শেষে এমন হবে সেটা ধারনায় ছিলো না।
এডগার এলান পো'র. রহস্যগল্পগুলা পড়ছেন না? তিনি একবার একটা রহস্য উপন্যাস লিখলেন। যেখানে দেখা যায়, রিচার্ড নামের এক ব্যাক্তিকে তার সহযাত্রীরা খেয়ে ফেলে। সমসাময়িক লেখকেরা ছি ছি করে উঠলেন। কিন্তু লেখক বলছেন, "এটা সত্য ঘটনা"।
ঠিক পাঁচ বছর পর, ঝড়ে আপতিত হওয়া এক জাহাজে ক্যানিবালিজমের(মানুষ ভক্ষন) ঘটনা ঘটে। সবাই মিলে এক সহযাত্রীকে খেয়ে ফেলে। পরে দেখা যায়, সেই ব্যাক্তিটির নামও রিচার্ড!
গল্প উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠে বাস্তবতা ঘিরে। কিন্তু ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা নিয়ে লেখা এবং সব মিলে যাওয়া কাকতালিও ব্যপার হতে পারে না। কিভাবে এডগার এটা করলেন তা কখনোই জানা যায় নি। এই যে আমাদের মাথায় বিভিন্ন গল্প আসে গল্পগুলোর উৎস কোথায়!! এমন কোন লেখক নেই যে বলতে পারবে আমি একটা উপন্যাস লিখবো আর সেটা পুরোপুরি আমার মাথায় আছে। তাহলে কোথা থেকে আসে এসব গল্প উপন্যাসের কাহিনী!" অামারও গল্প ভালো লাগেনি, তবে উপরের কথাগুলো খুব ভালো লেগেছে । এ কথাগুলোতে সহমত পুরোপুরি ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: আপনি কেঠায়??
আপনার পয়দা হওয়ার সময়ও তো বেশিক্ষন হয় নাই।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

জুন বলেছেন: আমি আমার তথাকথিত গল্প লিখতে গেলে উৎসটুকুই ভাবি। তারপর লিখতে লিখতে কই যে শেষ হয় তার কোন আগাম ভাবনা আমার মাথাতেই থাকে না মিসির আলী। তবে আপনার গল্পের কাহিনিটি কিন্ত খুবই মর্মান্তিক। ভালোলাগা দিয়ে গেলাম।
+

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আমিই মিসির আলী বলেছেন: ভালোলেগেছে জেনে প্রীত হইলাম।
অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭

প্রামানিক বলেছেন: মাঝে মাঝে গল্প টল্প লিখি। তত ভালো হয় না জানি। তবুও লিখি।

শুরুতে যাই বলেন না কেন গল্প কিন্তু ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আমিই মিসির আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সর্বদা।

১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

কালনী নদী বলেছেন: কিন্তু ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা নিয়ে লেখা এবং সব মিলে যাওয়া কাকতালিও ব্যপার হতে পারে না। কিভাবে এডগার এটা করলেন তা কখনোই জানা যায় নি।
অথিতের ঘটনা বর্তমানে মিলে যাওয়া কাকতালিয়, না বর্তমানের ঘটনা ভবিষ্যতে মিলে যাওয়া কাকতালিয়?
লেখক যে কারণে নায়ক নায়িকাকে দূর্ঘটায় ফেলে দিলেন সেটাকি মনের গহীনে লোকানো কোন ছাপা যন্ত্রনা বা ক্ষমতার একটি যোগসূত্র! আসলে দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া একটি বাস্তব সত্য কিন্তু ব্যাপারটা দুঃখজনক হয় যখন গল্পের মধ্যে ডুকে যায়! সে কারনে গল্পে পাঠক ও রেখকের মধ্যে একটা যোগসূত্র থাকে যা কাহিনীর সাথে চলতে থাকে, পাঠক উপন্যাসের মধ্যে যে কোন চরিত্রে নিজেকে চুলচেরা বিস্লেষনে না নিয়ে সেটাকে বাস্তবেরই একটি কাল্পনীক চরিত্রে ভাবতে থাকেন।
খোজলে দেখা যাবে যতটা দূর্ঘটনা হচ্ছে সেগুলোতেও মর্মান্তিক ঘটনা রয়েছে।
আসলে এত কিছু বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যাপারটা নিয়ে আমিও অনেক কনফিউসনে আছি, অনেক কিছুই জীবনে অদ্ভুতভাবে মিলে যায় যা বাস্তবে যার সাথে ঘটে একমাত্র সেই বোঝতে পারে।
আসলে চিন্তা করে কিছু সুন্দর করা যায় না, যেমন আমার মনে হচ্ছে আনার কোন ছোট মেয়ে বা বোন আছে যাকে নিয়ে আপনি দুশ্চিন্তা করেন। যেমন এই লিখাটা লেখার পর আপনার জানা আছে কে কি বলবে! যেমন কিছু কমেন্টার আছেন তারা যে এটা পড়ছেন এইটা বোঝাতে আপনাকে নক করছেন, পরবর্তিথে আপনি উনাদের হাজিরা দিয়ে আসতে। অনেক স্রেফ নিজেকে চিন্তাশীল পাঠুক মনে করাতেও - সমালোচনা করে একধরণের নেতিবাচক টোঙ্কা দিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই বিষয়টা নিয়ে কিছুটা ভাবছেন, মনের সাথে হিসেব মিলিয়ে ঘটনাটাকে একটা গল্প হিসেবে নিয়ে কিছুক্ষন পর মন থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে!
আপনি পুরানো ব্লগার সত্যি বলতে কি আমি আগাগোড়াই নতুন, আপনি যে মজাটা খোজে ফিরছেন সেটা নিতে হলে অতিথ ঘাটাতে হবে।
সব কিছুর পরে নিয়মিত লেখে যাওয়াটা হচ্চে আসল ব্যাপার, লেখাটাকে ভালোবাসা হৃদয় দিয়ে অনুভব করা। পাঠক সং ্যার দিকে না থাকিয়ে বাস্তবতাকে লিখে লিখে কল্পনাতে হারিয়ে যাওয়। আর সেইজন্যই দরকার সত্যিকারের বন্ধুর বা পথের যা মাঝেমধ্যেই লেখাকে রিফ্রেস করবে। যেমন আপনার পুরাতন মানুষ যখন আমাদের লিখাতে কমেন্ট করে উৎসাহ দেন সেটাই আমাদের ভবিষ্যতে অনুপ্রানিত করে নতুনকে সূযোগ করে দেওয়ার।
একজন লেখকের জন্য সাধারণ হওয়াটা্ স্বাভাবিক আর তাদের সাথেই কাকতালটা একটু বেশেই হয়! অদ্ভুতুরেভাবে আমার তাই মনে হয়।
কয়েকদির গ্যাপের পর সুন্দর কিছু পেলাম আপনার কাছ থেকে যেমনটি আশা করেছিলাম। অনেক ভাল থেক ভাইয়া।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য।
অদ্ভুত ঘটনা সব মানুষের জীবনেই ঘটে।

আর যেটা বললেন পাঠক সংখ্যার কথা। আসলে পাঠক সংখ্যা নির্ভর করে লেখার উপর।
আর আমি এ ও জানি কোন লেখা সকল পাঠক পছন্দ করবে। কিন্তু সকলের মন রক্ষা করে লেখার মতো মানসিকতা আমার নেই।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

কালনী নদী বলেছেন: অক্ষমতার*সাথে সাথে আরো কিছু বানানে টাইপিং মিসটেকগুলা ক্ষমা-সুন্দর চোখে দেখবেন।
স্বপ্নের ব্যাপারটা আমার কাছে এরকম যে- i have been there before আবার বাস্তবেও অনেক কেত্র বিশেষ স্থানেও এমনটি অনুভুতি হয় যে, আমি পূর্বেও একই অবস্থানে ছিলাম যা মনকে সফট করে একটা নষ্ঠালজিক ঘোড়ের মধ্যে ফেলে দেয়! নেটা আমার কাছে বরং ভালোই লাগে। জীবনটাকে রহস্য দিয়ে সাজাতে। ব্যাগাতটা তখনই হয়- that thing you mostly hates someday become your very own!
আরেকটি বলি, there is a place between sleep and awake' i will think of you there!
বিজ্ঞান ও বাস্তবতার মধ্যে এটাই হয়ত সেই কিন্তু!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৬

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বানানের ভুলকে আমি গুরুত্ব সহকারে ধরি যদি ঐটা মৌলিক লেখা হয়। মন্তব্যের বানানে হালকা ভুল হতেই পারে।
এটা কোন সমস্যাই না।
স্বপ্ন নিয়ে আপ্নার মন্তব্যটা ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ।

১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

প্রবাসী দেশী বলেছেন: মিসির আলি ভাই : close your eyes...and try to see . i must give 7.5 out of 10.

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: নামের বানান ভুল করছেন :((

এইকথাটা আমার ব্লগ শিরোনামে ছিলো।
আছেন কেমন?

১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
টিপিক্যাল গল্প হৈসে আপনিই মিসির সাহেব ||

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: টিপিক্যাল কিভাবে!!

২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
nayok nayika paLaye bia korse, erpor bus journey te morse- quite famiLiar concept.

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: :||
অ.....
আমি গল্পটার থেকে গল্প তৈরির বিষয়টার উপর জোর দিয়েছি।
ধন্যবাদ।

২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, আপনার গল্পের বর্ণনা ভালো হইছে।

এমন কোন লেখক নেই যে বলতে পারবে আমি একটা উপন্যাস লিখবো আর সেটা পুরোপুরি আমার মাথায় আছে। তাহলে কোথা থেকে আসে এসব গল্প উপন্যাসের কাহিনী!!

আপনার মূল প্রসঙ্গে আসি। আপনার বড়শি কিন্তু ঐশ্বরিক ব্যাপারগুলোর অস্তিত্ব ইঙ্গিত করে। কিন্তু মানুষ কত ক্রিয়েটিভ সেটা আপনি জানলে অবাক হবেন!!
সে একটা তথ্যকে বিবর্ধিত/পরিবর্তিত করে কত কি যে করতে পারে!! কোথাকার জল কোথায় নিয়ে গড়াতে পারে সেটা কল্পনারও বাইরে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৪

আমিই মিসির আলী বলেছেন: হুমম
ঐশ্বরিক তো বটেই।
দুনিয়ায় কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু একটা বিষয়ের উপর চমৎকার ক্রিয়েটিভ বর্নণ খুব কম মানুষই দিতে পারে।
বিষয়টা স্বাভাবিক হলে প্রত্যেকেই পারতো। কিন্তু তা তো দেখছি না।

মূল বিষয়টা নিয়া কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।

২২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: নতুন বৎসরের শুভেচ্ছা।
ভাল থাকুন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকেও। ভালো থাকুন সর্বদা।
আর নতুন লেখা টেকা পাইলে খুশি হইতাম।

২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৪

নীলপরি বলেছেন: ভালো লেগেছে পড়তে ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো নীল পরী।
ভালো থাকবেন।

২৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কল্লোল আবেদীন বলেছেন: ভাল লেগেছে।
চালিয়ে যান।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০২

আমিই মিসির আলী বলেছেন: অবশ্যই

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.