![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ ভাই, এ ভাই সিটটাতো আমরা রাখছি,
আপনি বসে আছেন যে? মানে ব্যাপার
টা বুঝলাম না?
উওর তো পেলামই না বরংচ দুইটা সিট
হারালাম। ৭ জনের জন্যে মাত্র ৪ টা সিট।
ফ্যানের গরম বাতাস টা ভাল করেই টের
পাচ্ছি। আবার এক স্টেশন পার করা মাত্রই
শুনতে পেলাম কোন মহিলাকে যেন
ফেলে রেখেই ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে।
আবার কোন একজন লোকের হাতের কনুই
অন্যের গায়ে লাগায়, বিশাল হুরুস্তল
কাহীনি সৃষ্টি হচ্ছে। তা থামানোর জন্যেও
কম কাহীনি হচ্ছে না
অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন কিসের জন্য
এরকম, সত্য কথা বলতে মেইল
ট্রেনে আছি তো, তাই এরকম অবস্থা।
আসলে এই ট্রেন বাদে অন্য কোন ট্রেন ও
নাই। যা আছে তা অনেক পরে তাই বাধ্য
হয়ে এই যাত্রায় রওনা দিলাম। লক্ষ্য ঢাকা।
ট্রেনের ভিতরের অবস্থা বলতে গেলে, ৪
জনের সিটে ৭ জন আছি, তা না হয় গেল বাট
কষ্ট লাগছে কিছু মহিলাদের জন্যে।
যারা সিটের নিচেই বসে আছে। এর
মধ্যে কারো কাউ কাউ ধ্বনি সোনা যাচ্ছে,
সমস্যা একটাই সিট কোথায় গেল? কেউ
বা আবার নীতি কথা শুনাচ্ছেন
যাতে উনাকে সিটটা দিয়ে দেই।
পিছনে চোখ পড়তেই দেখতে পেলাম ছোট্ট
একটা ছেলে তার মায়ের
কোলে বসে আমাদের দিকে খুবই করুন
দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। ও হয়তো বলতে চাচ্ছে এ
কোন দুনিয়ায় এলামরে ভাই?
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হল, কিছু ফ্রেন্ডস
সাথে থাকায় সবকিছু অভিযানের মতই লাগছে।
ফাইনাল টার্ম এক্সাম শেষ এর আনন্দ,
ইকোনোমিক্স এক্সাম এর কষ্ট, একসাথে হযবরল
মার্কা ট্রেন, ফ্রেন্ডস রা মিলি কষ্টের
মধ্যেও কথার মাধ্যমে একটু খানি আনন্দ
খুঁজে বেড়ানো, সব কিছু নিয়ে ভালই
যাচ্ছে বস।
এখন আমার সর্বশেষ অবস্থা হল, ছোট্ট
একটা মেয়েকে আমার
সিটে বসিয়ে আমি নিজেই সিটের
সাথে হেলান দেওয়া বস্তুর উপরেই
বসে আছি। শাটল ট্রেনের অভিজ্ঞার মতই
কিছুটা।
©somewhere in net ltd.