![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আনন্দধারা। লিখতে ভালবাসি। ভালবাসি অনলাইনে ঘুরে বেড়াতে।
মহীয়সী রমনী হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.) অনেক স্মরণীয় ঘটনা ছোটবেলায় আম্মা গল্পের মত করে বলে যেত। সেই থেকে উনার জীবনের কিছু ঘটনা মনের মাঝে দাগ কেটে গেছে। তার মাঝে অন্যতম হল উনার দাসত্ব জীবন ! তাঁর মনিব ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রকৃতির লোক। বিরামহীন সে কাজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে থাকতো। মনিবের নির্ধারিত কাজ শেষ করার পর মহান রবের ইবাদতে মশগুল হয়ে যেতেন।মূলত রাবেয়া বসরীর উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভ করা।
যে কারনে এই ভুমিকা দিলাম তা এখন বলি। ভোর ৫টায় দিন শুরু হয়ে মেয়েটির। সারাটা দিন চলে কাজ আর দায়িত্ব পালনের পালা। তাও যদি সেটা নিজের ইচ্ছায় হত তবে কিছু বলার ছিল না। প্রতিটা কাজ করতে হয় প্রথমত শাশুড়ির ইচ্ছায়, তারপর বাচ্চা, স্বামী, ননদের ইচ্ছায়। ঘরের একটা প্রাণী তাকে জিজ্ঞাস করে না সে খেলো কিনা বা সুস্থ আছে কিনা। যেন তাদের দায়িত্ব শুধু মেয়েটিকে চরকির মতো করে কাজ করানো ! ঘুমাতে যায় রাত ৩টা ৪টার দিকে। কোন কোনদিন সারারাত জেগেই থাকে এই ভয়ে সকালে যদি ঘুম না ভাঙ্গে, উঠতে দেরি হলে সারাটাদিন ঘরে অশান্তি চলবে। দিনের পর দিন এই ঘটনা গুলোর পুনরাবৃত্তি হতে থাকে দীর্ঘ ১৭বছর !!
রোজা, ঈদ, বিয়ে, মেহমান এসব যখন থাকে তখন এই কাজ দিগুণ হয়ে যায়। সেই সাথে তারা মেয়েটির ভুল ধরতে থাকে তা সবার সামনে বয়ান করতে থাকে। যেমন আজ মেয়েটির শাশুড়িকে বলতে শুনলাম .........
"শেষ রাতে গরম খাবার খাব, তাই ভাত যেন গরম থাকে সেইভাবে রান্না করবে, আর খালি রোজা রাখলেই হয় না, নামাজ, তারাবীহও পড়তে হয়"
নামজের ব্যাপারে উনি যা বলেছেন তা নিঃসন্দেহে সঠিক। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল যে মেয়ে তোমাদের কাজ করতে করতে সারাদিন বাথরুম এ যাবার সময় পায় না তার কাছে এই বয়ান করার মানে কি??
আগামীকাল থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। সবাই যে যার সুযোগ মত দিনে আরাম করবে যেন কষ্ট না হয় রোজা রাখতে, সন্ধ্যায় হরেক রকম ইফতারিতে টেবিল ভরে যাবে। আর সেই মেয়েটির সারাটা দিন যাবে এই সবের যোগার করতে করতে। ৫টা মিনিট নিজের জন্য সময় যে মেয়ে বের করতে পারে না, সে ইবাদত করবে কখন? হে আল্লাহ, তুমি তাকে কি শাস্তি দিবে তোমার নির্ধারিত ইবাদত সে করতে পারে না বলে?? আমি জানি না !
দাসত্ব প্রথা এখনো তেমনি বহাল আছে, শুধু বউ নামক টাইটেল দিয়ে তা ঢাকা ! আম্মার মুখে শোনা সেই গল্পগুলা তখন বুঝিনি, এখন বুঝি, সেই সাথে কষ্টও পাই !
~~আনন্দধারা
২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৭
আনন্দ ধারা বলেছেন: জী ভাই, সবাই খালি নিজের দিকটাই দেখে। অন্যের সুবিধা অসুবিধা বুঝতে চায় না। আমি যা লিখেছি তা খুব সত্য কথা। আগে নাটক সিনেমাতে এসব দেখেছি, কিন্তু বাস্তবে যখন দেখলাম তখন নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না। কিছু মানুষ আছে যারা কোনদিন অন্যকে ভালবাসে না, শুধু নিজেকে ভালবাসে। নিজেকে ভালবাসা কোন অপরাধ নয়। কিন্তু অন্য কে অবহেলা করাও চরম অন্যায়। আর এই অন্যায় কাজটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের কাছের মানুষরাই বেশি করে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৫৪
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: অফিসে বস বললেন সরকার রমজানের সময় সূচী দিয়েছে, সেটা সরকারের কাজ। আমরা যেহেতু দিনের কাজ দিনে শেষ করতে পারি না তাহলে অফিসে রমজানের জন্য নতুন সময় সূচী দেওয়ার দরকার কি ? কন্ট্রাক্টর সাহেব বললেন, সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ইফতার বা তারাবির সময় পার হলেও কাজে থেকে যেতে হবে - কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।