![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আনন্দধারা। লিখতে ভালবাসি। ভালবাসি অনলাইনে ঘুরে বেড়াতে।
সেদিন ছিল জুমায়াতুল বিদা সেই সাথে সাতাশে রমজান। মেয়েটির কোন কাজই তার শাশুড়ির পছন্দ হয় না। সাথে সাথে সুর মিলায় তার স্বামী, ননদ ফোন করে দেয় উস্কানি। কথায় আছে না "দেখতে নারী তার চলন বাঁকা" সেই রকম অবস্থা আর কি। তার একটু আগের দিনগুলো বলে নিলে সবার বুঝতে সুবিধা হবে, তাই করছি......
প্রচন্ড ভালবেসে মেয়েটি ছেলেটিকে বিয়ে করেছিল। দুই পরিবারের কেউ রাজি ছিল না এই বিয়েতে। রাজি না হবার কোন কারন ছিলনা, কারন মেয়ে ছেলের তুলনায় যথেষ্ট যোগ্যতা সম্পন্না ছিল। আসলে প্রবলেমটা ছিল পারিবারিক কলহ, কারন তারা মামাত ফুপাত ভাই-বোন। মেয়েটি এই ছেলেকে বিয়ে করার জন্য রোজার ৩০ দিন ইফতারির সময় একই প্রার্থনা করত আল্লাহর কাছে যেন আল্লাহ তার চাওয়া পুরন করে ছেলেটির সাথে তার বিয়ে হয়। আল্লাহ তার কথা শুনেছিল, বিয়ে হয় দুই পরিবারের মত নিয়ে।
কিন্তু হায় !!! বিয়ের দিন থেকে শুরু হয় মেয়ের পরিবারকে অপমান করা সেই সাথে মেয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার। আশ্চার্য বিষয় হল যে, ছেলের জন্য মেয়েটি এত কিছু করল সেই ছেলেই বিয়ের দিন থেকে উল্টা আচরন শুরু করল মেয়েটির সাথে। মায়ের আদর্শ ছেলে হয়ে গেল। এটা অন্যায় না মায়ের কথা শোনা, কিন্তু এটা কি ধরনের কথা, যে মা ভুল বলছে, তার স্ত্রীর প্রতি অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ না করে উল্টা স্ত্রীকে দোষারূপ করছে মা কে খুশি করার জন্য।
যাইহোক, এসব বলতে গেলে কারো পড়ার ধৈর্য থাকবে না, মূল কথায় আসি, সেদিন সকাল থেকে নাই কথা নিয়ে মেয়েটিকে কথা শুনিয়ে যাচ্ছে তার শাশুড়ি। স্বামী তার চুপচাপ শুনে যাচ্ছে, দুপুর ১২ টায় গোসল করে সুন্দর আয়রন করা পাঞ্জাবী পরে, মাথায় টুপি দিয়ে রেডি হয়েছে জুমায়াতুল বিদা নামাজে যাবে। এমন সময় শাশুড়ি আবার শুরু করল কটা কথা শুনানো। ছেলেটি তখন মেয়েটিকে কাছে ডেকে বলল " আম্মা যা বলে তা শুনতে পা্রিস না, এসব আর ভাল লাগে না, বলেই ঠাস করে গালের মধ্যে এক চড় বসিয়ে দিল !!! তার পর আরও কিছুক্ষণ মাইর দিয়ে নামাজে চলে গেল।
মেয়েটি অনেক্ষণ ধরে বুঝতে পারল না কেন তাকে মারা হল ! কি তার দোষ ছিল। সে তো মন প্রান দিয়ে বাসার সব কাজ করে যেন তার শাশুড়ি খুশি হন, তবে কেন তিনি খুশি না ! তার স্বামী তাকে কিভাবে মারতে পারল ! এমন অনেক প্রশ্ন তার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে আর রাত চোখ দিয়ে পানি পরছে। আজ সেই দিন, প্রতি জুমায়াতুল বিদা দিনে সেই ঘটনাটির কথা ভুলতে পারে না।
আচ্ছা আল্লাহ কি সেইদিন সেই স্বামীটির নামাজ কবুল করেছিল??? শুনেছি মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা নাকি সমান, তবে এমন একজনের নামাজকে আল্লাহ কি হিসাবে বিবেচনা করবে?? কত শত ঘটনা, কত কত প্রশ্ন, কিন্তু জবাব কোথায় আছে? আমি জানি না .................. নিশ্চয় আল্লাহ একদিন মেয়েটির সব প্রশ্নের জবাব দেবেন।
০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫২
আনন্দ ধারা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আল্লাহ সাথে আছেন বলেই সে পারে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে দৃঢ় রাখতে। আমিন
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মেয়েটির সাথে আল্লাহ আছেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব দেখেন সব শুনেন।