![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-অফিস থেকে বাসায় আসলাম, বাইরে প্রচুর বৃষ্টি। বাসায় দেখি চাল ডাল কিচ্ছু নাই, ঘরে নতুন বউ। আমি একা হলে কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পরতে পারবো, কিন্তুু এখন তো ঘরে বউ আছে তাই কিছু না কিছু তো রান্না করার জন্য অবশ্যই লাগবে।।
মানি ব্যাগ আর বাজারে থলে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম, পিছন থেকে বউটা ডেকে বললো ছাতা নিবেন না? বাইরে তো বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজলে আবার আপনার শরীর খারাপ করবে...............
আমি চিন্তা করছিলাম অন্য কিছু, বউটা হয়তো বলবে ........।।
বাজারে যাওয়ার দরকার নাই, চলো দুইজন বৃষ্টিতে ভিজি............আজকে একটা দিন না খেয়ে থাকবো দুইজন।
না তা আর হলো না, পোড়া কপাল বলে কথা, বাজারে যেতেই হলো।।
যাক বাজারে গিয়ে বড় বড় দুইটা ইলিশ নিলাম, সাথে বেগুনও। শাশুড়ির মুখে শুনছিলাম, উনার মাইয়া নাকি ইলিশ দিয়ে বেগুন খুব ভালো রান্না করতে পারে।
আমি আবার বাজারে গেলে লইট্র্যা শুটকি নিতে ভুলি না,বেশি করে কাচাঁ মরিচ দিয়ে লইট্টা শুটকি ভর্তা আমার খুব প্রিয়।
মুরুব্বিরা বলেছিলো ঘরে নতুন বউ রেখে বেশিক্ষণ বাইরে থাকা মোটেও ঠিক না, তাই ধুমধাম বাজার শেষ করে বাসায় চলে আইলাম।
বাসায় এসে, বউটাকে বাজার বুঝিয়ে দিলাম।
- এই নাও, তোমার ইলিশ আর বেগুন। তুমি নাকি ভালোই ইলিশ দিয়ে বেগুন রান্না করতে পারো? আর হুম কাঁচামরিচ দিয়ে লইট্টা শুটকি ভর্তা কিন্তুু সেইরাম হওয়া চাই।
কিছুই বললো না, মুচকি একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো রান্না ঘরে.......।।
নতুন বউ তাই শরম পাইছে ..................
টিভির রিমোট হাতে নিয়ে আমি বসে বসে নিউজ দেখছিলাম।।।
হঠাৎ মনে পরলো বউটার কথা, না জানি কী করতেছে।। একটু উঁকি দিয়ে দেখলাম, মাথার চুলগুলো এলোমেলো আর কপালের লাল সিঁদুর কপালেই লেপ্টে আছে।
দেখছিলাম হা করে বউটার দিকে তাকিয়ে,দেখতে বউটাকে বেশ ভালোই লাগছে।
একটু পরে.......
-এইদিকে দাও মাছ গুলো আমিই কেটে দিচ্ছি .................
বসে গেলাম মাছ কাটতে, বউটাও বসে আছে আমার পাশে.......
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, আর আমি মাছ কাটতেই আছি..........
হঠাৎ চোখ পড়লো বউটার চোখের দিকে, একটু মুচকি হাসি দিয়ে কিছু না বলে চলে গেলো। বোধহয় লজ্জা পাইছে............।। আর আমি মনে মনে বললাম চলে যাওয়া কী দরকার ছিলো(!) তুমি পাশে বসে ছিলেই তো বেশ ভালোই ছিলো।
মাছ কাটা শেষ ............
বউটাকে ডেকে বললাম, এই নাও তোমার মাছ। রান্না করতে পারবে তো?? চলো একসাথে রান্না করি...........
আমিও তোমাকে হেল্প করবো ........।।
শুরু হলো রান্না, ওর পাশে আমি আর আমার পাশে ও.........
রান্না মন্দ হলেও সমস্যা নাই, যেখানে ভালোবাসা মিশে থাকে সেইখানে রান্নার স্বাদ দিয়ে আর কি হবে(!)
ইলিশ দিয়ে বেগুন, ওয়াও রান্না শেষ ........
দেখে তো মনে হচ্ছে সেইরাম হবে
বউটা এসে বললো এই নেন আপনার কাঁচামরিচ দিয়ে লইট্টা শুটকি ভর্তা .........।।
-ইশ, তুমি কেনো মরিচ ধরতে গেলে,আমাকে বললেই তো পারতে। এখন তো তোমার হাত জ্বালা পোড়া করবে। আমার জন্য এতো কস্ট সহ্য করতে পারবে তো?
- ভালোবাসার তৃপ্তি তো এইখানেই, না হয় কষ্ট গুলো দুইজন ভাগাভাগি করে নিবো, কী পারবেন না আমার জন্য এইটুকু করতে?
- যে নিজের সবটুকু ভালোবাসা আমাকে দিতে পারে, যে আমার জন্য বারবার অবনত হতে পারে, তবে আমি কেনো তার জন্য তার কষ্ট গুলোর ভাগ নিতে পারবো না।
- চলেন যাই খাবার রেডি.............তার আগে হাত পা ধুয়ে আসুন.....।।
- গামছা কই??
- এইতো গামছা, দাঁড়ান আমিই আপনার মুখ মুছে দিচ্ছি।
হারানো অনুভূতি গুলো আবার ফিরে পেলাম, জানা ছিলো না এইখানে এতো সুখ, এতো ভালোবাসা।
-কী হলো, তোমার খাবার কই? খাবে না তুমি?
-আপনি আগে খেয়ে নিন, তারপর আমি খাবো......।।।
-চলো না, দুইজন সাথে খাই?
-এইদিকে দেন, মাছ আর একটা দেই!
-থাক, লাগবে না আর মাছ......রান্না কিন্তুু খুব ভালো হয়েছে।
-গরম লাগে? শুটকি ভর্তা নেন.......
-কই যাও তুমি?
-হাতপাখা আনতে...........
-হাতপাখাটা নস্ট হয়ে গেছে, আবার বাজারে গেলে নতুন হাতপাখা আনিয়েন, এখন কী গরম লাগে আপনার?
-না, এইদিকে আসো আমি হাত খাইয়ে দেই তোমাকে।
-আআআআআআআআ...............
হাতপাখার বাতাস, মাঝে মাঝে শাড়ির আঁচল দিয়ে আমার গায়ের ঘাম মুছে দেওয়া।
আকাশে মেঘ জমছে, চাঁদ টাকেও এখন আর দেখা যায় না .............
না হয়, কিছুক্ষণ খেলতাম জোসনার আলোতে লুকোচুরি...........।।
#কাল্পনিক জীবনটা কতো মধুর...........
আসলেই কী বাস্তবটাও এইরকম??
কী জানি ভাউ, কী হয়.............।।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৬
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সামহোয়্যার ইন ব্লগে স্বাগতম।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
অনি বড়ুয়া বলেছেন: দোয়া করবেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০
অনি বড়ুয়া বলেছেন: জীবনের প্রথম ব্লগ..।