![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম কথা.......
ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র অর্ক। অর্ক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। সারাদিন ঘুরাঘুরি পরে রাতে বাসায় ফিরতেছে।
একদম একা সাথে কেউ নেই, তাছাড়া রাতটা বেশি হয়নি, এই হবে ১০টার মতো কিন্তুু রাস্তাঘাটে লোকজন কম থাকায় অর্কের মনে হচ্ছে এই যেনো গভীর রাত। চারদিকে কেবল নিস্তব্ধ। রাস্তার দুইপাশের লাইটের হালকা হলুদ আলো।
কিছু দূর যেতেই হঠাৎ সামনে দেখতে পেলেন বোরকা পরা একটা মেয়ে। হালকা আলোতে চোখ দুইটা দেখা যাচ্ছে, হরিণের মতো মায়াবী চোখ।
মেয়েটাকে ক্রস করতেই, মেয়েটা অর্ককে পিছন থেকে ডাক দিলেন ভাইয়া বলে। অর্ক লুকিং গ্লাসে দেখলেন মেয়েটা হাত উপরে করে তার দিকে চেয়ে আছে। অর্ক আবার তার মোটর নিয়ে পিছনে গিয়ে মেয়েটাকে বললেন ..............
- কিছু বলেছেন আমায়?
- ভাইয়া একটু হেল্প লাগবে, অনেকক্ষণ এইখানে দাঁড়িয়ে আছি রিকশা পাচ্ছি না। যদিও একটু কস্ট করে বাসায় পৌঁছে দিতেন খুব ভালো হতো।
- যাবেন কই, বাসায় কই আপনার?
- এইতো একটু সামনেই, বেশিক্ষণ লাগবে না ১০-১৫ মিনিটে পৌঁছে যাবো।
- ওকে, ঠিক আছে পিছনে উঠেন।
অতঃপর মেয়েটা অর্কের পিছনে উঠে বসলো, এই প্রথম কোনো মেয়েকে মোটরের পিছনে নিলো। মাঝরাতে যুবতী মেয়ে পেয়ে একদম টাটকা অনুভূতি। মেয়েটার একটু একটু স্পর্শে অর্কের প্রতিটি লোম শিহরিত হচ্ছে।
কিছু দূর যেতেই হঠাৎ অর্কের কেনো যেনো মনে হচ্ছে মেয়েটা পিছন থেকে আরো সামনে আসতেছে একদম অর্কের কাছাকাছি। হুম অর্কের ধারণাটা ভুল নয় মেয়েটা একদম অর্কের গায়ে সাথে গা লাগিয়ে বসে আছে। এইবুঝি জড়িয়ে ধরবে অর্ককে .....।।।
মেয়েটা আস্তে করে হাতটা বারিয়ে দিলো অর্কের কাঁধে। (সত্যি সত্যি জড়িয়ে ধরবে না তো!) মনে মনে চিন্তা করতে লাগলেন অর্ক।
তার একটু পরে যা হলো সেটা দেখার জন্য অর্ক মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না..........
কাঁধে হাত দিয়ে অর্কের গলায় ছুরি ধরলেন।
- একদম কথা বলবি না কুত্তার বাচ্চা, আওয়াজ করলেই একদম গলায় এইটা বসিয়ে দিবো, গাড়ি থামা এইখানে।
-এইসব কী হচ্ছে? (একটু কেঁপে কেঁপে)
-চুপ, যা আছে সব দেয়, মানিব্যাগ কই? মানিব্যাগ বের কর! মোবাইল ....
হাতের গড়িটাও খুলে দেয়। পকেটে আর কী কী আছে?? সব বের কর। গলার চেইন খুলবি না? গলার চেইন খুলে দেয়।
-এই নেন সব কিছু!
-সব ঠিকঠাক দিয়েছিস তো? একদম আওয়াজ করবি না শালা.....।।
অতঃপর অর্কের সবকিছু নিয়ে মেয়েটা পালিয়ে গেলো.....।।
২য় কথা.......
আমির একজন দরিদ্র কৃষক, বউ আর একমাত্র ছেলে রিপন নিয়ে তার জীবন .....
ঘর ছাড়াও দুইটা জমি আছে তার, এইগুলা চাষ করে জীবন চলে।।
তার ছেলে রিপন অনেক মেধাবী ছাত্র, এই বার গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করছে।।
এখন শহরের বড় কোনো কলেজে ভর্তি হবে ....
অনেক টাকা প্রয়োজন তাই চিন্তায় আছে আমির.....।।
যাইহোক ছেলেকে মানুষ করতে হবে, অনেক টাকা ধার করে ভর্তি করা হয় শহরে বড় একটা কলেজে।।
বেশ ভালোই চলছে রিপনের লেখাপড়া।
সব বড় লোকের ছেলেদের সাথে চলাফেরা ....
ভালো সব কাপড় চোপড় ইত্যাদি ..।।
"কথায় আছে বড় লোকের বড় কাজ"
এমনি করে বছর কয়েক ভালোই কাটলো রিপনের ....
রিপন এখন বড় লোকের এক মেয়ের সাথে প্রেম করে,
ইদানিং রিপন নাকি সব দামী দামী সিগারেট খায়।।
চাহিদা বেড়ে গেছে রিপনের এক হাত খরছের টাকা হয় না ....
বাড়িতে পরীক্ষার কথা বলে প্রতি মাসে নিয়ে আসে ....
রিপনের বাবা আমির ধার করে ছেলেকে টা নেয়, কিন্তুু রিপন তা নিয়ে বন্ধুদের সাথে পুর্তি করে।।
আমির চিন্তা করে তার ছেলে ভালো কিছু একদিন করবে এবং পাওনাদারদের টাকা তখন শোধ করে দিবে ....
কিছুদিন পর ফাইনাল পরীক্ষার টাকা দিতে বলে .....
অনেক টাকার প্রয়োজন কিন্তুু এত টাকা ধার দিতে কেউ রাজি না।।
তাই তার শেষ সম্বল জমি দুটো বিক্রি করে ছেলেকে টাকা দেয়।।
প্রায় ২-৩ মাস গত হল ছেলের কোনো খবর পাওয়া যায় না,আগের মতো টাকাও চাইতে আসে না।।
পরে খবর নিয়ে জানা যায় বড় লোকের মেয়ের সাথে সংসার পেতেছে .....
রিপন এখন অনেক সুখে আছে তাই বৃদ্ধ বাবা মার খবর নেওয়ার কথা চিন্তা করে না ....।।
আমিরের সমস্ত আশা এখন ধুলোয় মিশে গেছে .....
অনেক কস্টের পরও ফিরিয়ে আনতে পারেননি তার সন্তানকে।।
পূত্র হারানো শোক আর পাওনাদারদের জ্বালা কোনোটাই সয্য করতে পারেনি ....
আমির এখন মারা গেছে আর বেঁচে নেই ........
বৃদ্ধ মা টাও কোন দিন মারা যায় ঠিক নেই .....।।
আজ বছরের ১ম দিন.......
যারা এই পোষ্টটি পড়বেন তাদের মধ্যে কেউ যদি ধান্দাবাজ থেকে থাকেন অথবা রিপনের মতো তাদের বলছি প্লিজ নতুন বছরে নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করুন।।
সবাইকে নতুন বছরে শুভেচ্ছা
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৫
অনি বড়ুয়া বলেছেন: অনেকদিন পর আসলাম
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ধান্ধাবাজি ভালো না !!
হ্যাপ্পি নিউ ইয়ার