নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার কামাল

আনোয়ার কামাল

আমি কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ,বই ও লিটলম্যাগ আলোচনা লিখে থাকি । ‘এবং মানুষ’ নামে একটি লিটলম্যাগ সম্পাদনা করি। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। ব্লগারের অনুমতি ছাড়া কোন লেখা কপি করে অন্য কোথাও ছাপানো নিষেধ।

আনোয়ার কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

তারুণ্যের অপেক্ষা

আনোয়ার কামাল



হঠাৎ করে গুটি কয়েক তরুণপ্রাণ জেগে উঠলো

প্রাণের তাগিদে তারা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের

অনাকাঙ্খিত রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হল।

রাগে, ক্ষোভে, অভিমানে ফেটে পড়লো

আকাশসম অপরাধীর এতটুকু শাস্তি, তা হতে পারে না।



অনলাইন এক্টিভিটের মাধ্যমে তা জানান দিল বন্ধুদের,

ফেসবুক তা দ্রুত টর্ণেডোর মত ধাবিত হল উত্তর থেকে দক্ষিণে,

পূর্ব থেকে পশ্চিমে সবাই ছুটছে শাহবাগ মুখে।

রাজাকারের বিচারের দাবি ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বময়।



আজিজ সুপার মার্কেট থেকে ছুটে এলো একঝাঁক কবি, নাট্যকর্মী

টিএসসি থেকে, কলাভবন থেকে, ছাত্ররা ছুটে এলো, গৃহিনীরা এলো

আরো এলো মেডিকেল, প্রকৌশল আর মতিঝিল থেকে

অফিস ফেরত সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবী বিচারের দাবিতে

মানুষ ছুটে আসতে শুরু করলো শাহবাগ মুখে।

পাবলিক লাইব্রেরি থেকে বই পড়া ফেলে ছুটে এলো সবাই

রমনা- সোহরাওয়ার্দীতে বসে ছিল দলে দলে যুবক যুবতী, প্রেমিক প্রেমিকা

সবাই তারা হাত ধরে ছুট দিল শাহবাগ মুখে, পেছনে রমনা ও সোহরাওয়ার্দীর

সবুজ ঘাস আর পার্কের গাছগুলো মাথা উঁচু করে সমস্বরে সংহতি জানালো।

শাহবাগের গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধারা নতুন সাজে সাজলো।



বাড়ছে মানুষ, নতুন স্লোগান, বাড়ছে ক্ষোভ বারুদসম অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত

তাদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ একজন বুকে বড় বড় হরফে লেখা ’অপেক্ষা’ নিয়ে

নির্বাক হয়ে মাঝপথে বসে পড়লো ঠায়, আর একজন মাথায় হ্যাট পরে

তাতে রণাঙ্গনের পাঠাগার লিখে অজস্র বই সাজিয়ে বসে পড়লো শাহবাগে।

একজন বিয়াল্লিশ বছরের জঞ্জাল সরানো হচ্ছে তাই রাস্তা বন্ধ প্লেকার্ড লিখে

দাঁড়িয়ে পড়ল। লক্ষ লক্ষ মোমবাতি জ্বালিয়ে অশুভ আঁধার দূর করা হল।

বেলুল উড়িয়ে শহীদের কাছে চিঠি লেখা হল। কোটি কন্ঠ হাত উচিয়ে শপথ নিল

বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে না ফেরার। শাহবাগ জেগে রইল নিদ্রাহীন অজস্র রাত।

বাংলাদেশ স্তম্ভিত হল। আমাদের শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর হল।

এক বিকেলে সমগ্র বাংলাদেশ কাজ ফেলে তিন মিনিট দাঁড়িয়ে রইল। একদিন সব

স্কুলের ছাত্রছাত্রী একযোগে গেয়ে উঠলো প্রাণের জাতীয় সঙ্গীত।



নতুন রূপে শাহবাগের চত্বর প্রজন্ম চত্বরে রূপ নিল। বায়ান্ন,ঊনসত্তর,একাত্তর

এর পর নতুন করে লেখা হল দুই হাজার তের’র ইতিহাস

ঢোলের তালে, সঙ্গীতের ঝংকারে আর স্লোগান কন্যা লাকীর কন্ঠ

ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বময়

পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখলো তারুণ্যের জয়, বাঙালির বিজয় উল্লাস

নতুন মাত্রায় উদ্ভাসিত হল গণজাগরণ, প্রজন্ম শাহবাগ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.