নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্ম ১৯৭৩ সালে সিলেটে। প্রকাশিত গ্রন্থ ৫টি।

আনোয়ার শাহজাহান

জন্ম সিলেটে

আনোয়ার শাহজাহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে এম সফিউল্লাহ, বীর-উত্তম

২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:২১

স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - কে এম সফিউল্লাহ, বীর-উত্তম


আনোয়ার শাহজাহান: কে এম (কাজী মোহাম্মদ) সফিউল্লাহ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের কাজীবাড়িতে ১৯৩৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম কাজী মৌলবী আব্দুল হামিদ এবং মাতা রজ্জব বানু।

১৯৫৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে ১৬ পাঞ্জাব রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। কোয়েটা কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর স্টাফ কোর্স সমাপ্ত করেন। ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর তাঁকে ২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে জয়দেবপুরে সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে বদলি করা হয়। এই ইউনিটের অবস্থান ছিল জয়দেবপুরে। ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যাপক গণহত্যার খবর শুনে ২৮ মার্চ সফিউল্লাহ জয়দেবপুরে ২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনাসহ বিদ্রোহ করেন। ওই দিন সকাল দশটার দিকে বারুদসহ ময়মনসিংহ অভিমুখে রওনা হন তিনি। পথিমধ্যে টাঙ্গাইলে জনগণের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে দেশকে স্বাধীন করার জন্য আত্মনিয়োগ করেন। ২৯ মার্চ ময়মনসিংহে পৌঁছার পর ছাত্র-জনতা, আনসার, মুজাহিজ, পুলিশ, ইপিআরদের একত্র করেন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনীতিবিদদের ময়মনসিংহ টাউন হলে একত্র করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রদশর্নপূর্বক দেশকে শত্রুমুক্ত করার শপথ গ্রহণ করেন। ময়মনসিংহ পুলিশ অস্ত্রাগার লুট করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার সেনা নিয়ে ঢাকা আক্রমণের দুঃসাহসীক পরিকল্পনা করে ট্রেনযোগে রওনা হয়। পথিমধ্যে নরসিংদীতে খালেদ মোশাররফের আহ্বানে ঢাকা আক্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করে ২ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছান কে এম সফিউল্লাহ। সেখানে কুমিল্লা-সিলেট অঞ্চল নিরাপত্তার জন্য তিনি সেনা মোতায়েন করেন। ৪ এপ্রিল তেলিয়াপাড়ায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি সিলেটসহ বিস্তীর্ণ এলাকার কমান্ডার নিযুক্ত হন। পরবর্তীকালে ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে রণাঙ্গনের বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা করেন।

১৯৭১ সালের ১ অক্টোবর লে. কর্নেল সফিউল্লাহর নেতৃত্বে এস ফোর্স গঠিত হয়। তাঁর চৌকশ নেতৃত্বগুণ, উদ্ভাবনী রণকৌশল ও সাহসী পদক্ষেপের জন্য পাকিস্তানি সেনারা একের পর পরাজিত হতে থাকে। মনতলা কমপ্লেক্সের যুদ্ধ, আখাউড়া, ভৈবর-আশুগঞ্জ, নরসিংদী প্রভৃতি যুদ্ধে তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় পাওয়া যায়।

মহান স্বাাধীনতাযুদ্ধে কে এম সফিউল্লাহর অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর-উত্তম খেতাবে ভূষিত করে। তাঁর খেতাব নম্বর ২।

কে এম সফিউল্লাহর স্ত্রীর নাম সাইদা আক্তার। তাঁদের তিন মেয়ে ও এক ছেলে।


তথ্যসূত্র ■■■
স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - আনোয়ার শাহজাহান

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.