![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুর রব, এমএনএ
আনোয়ার শাহজাহান: মো. আব্দুর রব, এমএনএ হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া গ্রামে ১৯১৯ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মনোয়ার আলী এবং মাতা রশিদা বেগম।
আব্দুর রব হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর সিলেটের এমই কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন এবং ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করে ১৯৪৪ সালে কমিশন লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারতভাগের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চলে আসেন। সাফল্যের সাথে সেনাবাহিনীতে কর্মরত থেকে ১৯৭০ সালের ২৪ আগস্ট অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৭০ সালের পাকিস্তান সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের ১৬০টি আসন ও প্রাদেশিক পরিষদের ২৮৮টি আসন লাভ করা সত্ত্বেও পাকিস্তানের জান্তা সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে তালবাহানা শুরু করে। ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সামরিক আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুর রব, এমএনএ মানিক চৌধুরীকে সাথে নিয়ে আনসার, ইপিআর, পুলিশ ও স্থানীয় ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে বিশাল বাহিনী গঠন করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি মেজর চিত্ত রঞ্জন দত্ত সে সময় ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আব্দুর রবের আহ্বানে তিনি সে সময়ই সশস্ত্র আন্দোলনের দিকনির্দেশনা প্রদানসহ প্রাথমিক প্রতিরোধের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে এই সশস্ত্র দলই ৪ নম্বর সেক্টরের মূল বাহিনী হিসেবে বিবেচিত হয়। ১০ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশের এক সাংগঠনিক কাঠামো দাঁড় করানো হলে আব্দুর রবকে সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হিসেবে মনোনীত করা হয়। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হলে অন্য দায়িত্বশীলদের মতো তিনিও শপথ গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সশস্ত্র বাহিনীর সদর দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন আব্দুর রব।
১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর হেলিকপ্টারযোগে প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর সাথে ফেঞ্চুগঞ্জে যাওয়ার পথে তাঁদের হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলে তিনি আহত হন। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভারতের আগরতলায় প্রেরণ করা হয়।
সুনিপুণভাবে যুদ্ধ পরিচালনা এবং যুদ্ধরত সেনাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে চূড়ান্ত বিজয়কে তরান্বিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর-উত্তম খেতাবে ভূষিত করে। তাঁর খেতাব নম্বর ১।
আব্দুর রব চিরকুমার ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৪ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র ■■■
স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা - আনোয়ার শাহজাহান
©somewhere in net ltd.