![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বীর-উত্তম
জিয়াউর রহমানের জন্ম বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি। তাঁর পিতার নাম এম মনসুর রহমান, মা জাহানারা খাতুন।
কোয়েটা স্টাফ কলেজ থেকে তিনি ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদাতিক বাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।
জিয়াউর রহমান ১৯৫৬ সালের নির্বাচনে যুক্তফন্টের বিজয়ে করাচি কান্টিনা মন্দির ক্যানটিনে বাঙালি বন্ধুদের সাথে আনন্দ প্রকাশ করায় পাকিস্তানি সহকর্মীদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও একাগ্রতার ফলে নিজেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ১৯৭০ সালে নবগঠিত ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। এই রেজিমেন্টের অবস্থান চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহরে। পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই ইউনিটের সদস্যদের খারিয়া ক্যান্টনমেন্টে বদলি করা হয়। এই বাঙালি ইউনিটের এক কোম্পানি সেনা ভারি অস্ত্রসহ মার্চ মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তানে চলে যায়। এক কোম্পানি সেনা হালকা অস্ত্র নিয়ে ষোলশহরে অবস্থান করছিল। এই ইউনিটের অধিনায়ক ছিলেন পাকিস্তানি লে. কর্নেল রশিদ জানজুয়া।
২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অধিনায়ক জানজুয়া মেজর জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত ঊর্ধ্বতন অফিসারকে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেন। আগ্রাবাদে বিদ্যমান ব্যারিকেডের কারণে পথে তাঁর অনেক বিলম্ব হয়। ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান অতিদ্রুত তাঁর অবস্থানে পৌঁছে খবর দেন, পাকিস্তানি সেনারা শহরে বাঙালি হত্যা শুরু করেছে। এ খবর শুনে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ইউনিটে ফিরে এসে অন্য অবাঙালিদের নিরস্ত্র করেন এবং অধিনায়ক জানজুয়াকে দাঁতভাঙা জবাব দেন। চট্টগ্রামে অবস্থানরত ইপিআর, আনসার ও অন্যান্য সশস্ত্র ইউনিটগুলোর সাথে সমন্বয় করে চট্টগ্রামে প্রাথমিক প্রতিরোধের নেতৃত্ব প্রদান করেন। ২৭ মার্চ কালুরঘাটে অবস্থিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। কালুর ঘাটে বাঙালি বিদ্রোহী সেনাদের সদর দপ্তর স্থাপন করেন। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেই যুদ্ধ পরিচালনা করেন তিনি।
১৯৭১ সালের ৭ জুলাই জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম ফোর্স ব্রিগেড জেড ফোর্স গঠিত হয়। এই ব্রিগেড বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করে। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর-উত্তম খেতাবে ভূষিত করে। তাঁর সনদ নম্বর ৩।
জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর নাম খালেদা জিয়া। তাঁদের দুই ছেলে তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকো (মৃত)। জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।
©somewhere in net ltd.