![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের কাছ থেকে চির বিদায় নিলেন কবি খালেদ মতিন।তিনি কখনও আর ফিরে আসবেন না আমাদের মাঝে।
কবি খালেদ মতিনের জন্ম ১৯৪৯-এর ১২ জানুয়ারি; নেত্রকোনা শহরের উপকণ্ঠে। নেত্রকোনার দত্ত হাই স্কুল থেকে ১৯৬৫ সালে এসএসসিতে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হোন। ১৯৬৭-তে নেত্রকোনা কলেজ থেকে এইচএসসি দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও ১৯৭১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে খালেদ মতিন দুই মেয়ের জনক। শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে নেত্রকোনায় বাস করছিলেন।
শৈশব থেকেই খালেদ মতিনের লেখালেখি শুরু। নেত্রকোনার মরহুম খালেকদাদ চৌধুরীর সম্পাদনায় পাক্ষিক উত্তর আকাশে ৬০ দশকের প্রথম থেকে খালেদ-বিন-আস্কার ছদ্মনামে লেখালেখি। নির্মলেন্দু গুণ ও রফিক আজাদের সঙ্গে কবিতায় তাঁরও হাতেখড়ি। ষাটের দশকে দৈনিক সংবাদ ও আজাদসহ তখনকার প্রধান পত্রিকাগুলোতে কিঞ্চিৎ পরিচিত গড়ে উঠলেও ৬০ দশকের শেষ পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন একবার বাড়ি ফিরে দেখলেন, কবিতার খাতাগুলো সবই সেরদরে বিক্রি হয়ে গেছে। এ ঘটনায় তিনি ভেঙে পড়েন।
স্বাধীনতার পর নতুনভাবে আবার মনোনিবেশ করেন কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর অনেক লেখক-কবির ভিড়ে নিজেকে পুনরুদ্ধার কোনোমতেই সম্ভব হয়নি। ১৯৭৫ সালের পর কুলিয়ারচর কলেজে শিক্ষকতা করার সময় রাজবাড়ীর অর্থনীতির লেকচারার আসাদুজ্জামানের প্রেরণায় আবার লেখালেখি পূর্ণোদ্যমে শুরু করেন। ছদ্মনামের ঈষৎ পরিবর্তনে খালেদ- বিন-অস্কার নামে নব্বই দশকব্যপী ‘দৈনিক খবর’ পত্রিকায় কবিতা ছাড়াও বিচিত্রবিষয়ক কলামিস্টরূপে আত্মপ্রকাশ করেন।
এ পর্যন্ত তিনি লিখেছেন সাতশোর বেশি সনেট, এক থেকে দেড় হাজার কবিতা, আশিটির মতো ছোটগল্প, কয়েকটি উপন্যাস ও শতাধিক প্রবন্ধ নিবন্ধ। সীমিত সাধ্যে নিজ খরচে এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত মাত্র সাতটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর অনেক লেখা অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।আজ তিনি পৃথিবীকে চির বিদায় জানালেন।আমরা সকলে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
©somewhere in net ltd.