নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা ও মাটির প্রতি মনের টান বুঝার জন্য অন্তত একবার বিদেশ ভ্রমন করুন

এপোলো

একটি বাংলা ব্লগ পেয়ে আমি খুব খুশি।আমি সকলের সাথে বাংলায় ভাব করতে পারব।

এপোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়-অসময়

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩০

যেমন ধরুন খোকার কথা। সাথে বাদলের কথা। দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা। দুজনেই সম্প্রতি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। দুজনেই রাজনীতিবিদ। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দুজনেই ভাল অবস্থানে থেকে দেশ ও দশের সেবা করেছেন। নিয়তির নিয়ম মেনে দুজনেই সম্প্রতি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তবে, কাছাকাছি সময় হলেও দুজনের জন্য বিদায়ী সময়টা ভিন্ন ছিল। খোকার মৃত্যুকালে "তার সরকার" গদিতে ছিল না। বাদলের মৃত্যুকালে "তার সরকার" গদিতে ছিল। ফলে যা হবার তাই হল। খোকা তার দুনিয়াবী সম্মানটুকু পেল না। বাদল পেল। খোকার অসময় ছিল, বাদলের সুসময় ছিল। বাংলাদেশে ব্যাপারটা স্বাভাবিক। বইয়ে লেখা নিয়মের বাইরে অনেক কিছুই বাংলাদেশে স্বাভাবিক।
সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত, জনগনের জন্যই কাজ করে যাবে। এইটাই বইয়ে লেখা নিয়ম। কিছু লোক অন্য দলকে ভোট দেবে, অন্য দলের সমর্থন করবে, এইটা গণতন্ত্রের নিয়ম। বাংলাদেশ এই নিয়মেই চলার কথা। মাঝে মাঝে চলে। মাঝে মাঝে পথভুলে আনমনা হয়ে হাঁটে। বাংলাদেশের সরকার দলীয় লোকদের সবসময়ই বেশি ভালবাসা ও সুবিধা দিয়ে এসেছে। নিয়মেরগুলোও দিছে, অনিয়মেও দিছে। কারও দ্বিমত থাকলে চোখে একটু পানি দিয়ে ঝিমানি কমিয়ে আবার আগের লাইনদুটো পড়ুন।
যারা রাজনীতি করে তাদের এই নিয়ে মাথাব্যাথা নাই। তারা মেনেই নিছে, সময়কালে মওকা মারবে, অসময়ে গা ঢাকা দেবে। খুবই স্বাভাবিক। সমস্যাটা হলো অন্য যায়গায়। আমজনতাকে নিয়ে। তারা তো রাজনীতি করে না, তারা জীবনযাপন করে। তারা যেকোন সরকারের আমলেই একটা "অসরকারী" উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করে। কেউ বাসে করে কর্মস্থলে যায়, কেউবা সাইকেল-রিকসা চেপে। কেউ স্কুলে শিক্ষকতা করে, কেউবা ভিনদেশি কোম্পানীতে বড়সড় চাকরি করে। তারা রাজনীতি করে না। কথা হল তাদের নিয়ে। তাদের যেহেতু কোন রাজনৈতিক পরিচয় নাই, তাদের সময়-অসময় দেখবে কে? বইয়ে লেখা নিয়মানুসারে সরকারের কাজ হল এই আমজনতাদের দেখভাল করা। কিন্তু বাংলাদেশে এই জিনিসটা সচরাচর দেখা যায় না। কারণ, এই জনগণের অসুবিধার উদ্রেককারীদের সবাই কোন না কোন ভাবে দলীয় পরিচয়ে পরিচিত। সরকার এই পরিচয়কে আগে দেখছে। জনগণের অসুবিধা সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। আজকে যদি আপনার পরিবারের একজন বাসচাপায় আহত হয়, তার বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ আপনি আমজনতা, আর বাস-মালিক সমিতির সভাপতির সাথে দলীয় এমপি-মন্ত্রীর চা-পানি খাওয়ার অভ্যাস আছে। এই আমজনতাকে রক্ষা করবে কে? আল্লাহ-ভগবান?
আমজনতার বাইরেও কিছু লোক হরহামেশা সমস্যায় পরে। তারা হল, বেসরকারী দলের নেতা ও কর্মী-সমর্থক। তারা সবসময় খারাপ। যেকোন কাজে তাদের দোষ। যেমন, অনেক আগে তারা যখন সরকারে ছিল তখন তারা মারামারি খুনাখুনি করেছিল। সেজন্য বর্তমানে তাদেরকে মারামারি খুনোখুনির মুখোমুখি করা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। এখানে বর্তমান সরকারের কোন অন্যায় নাই। যাহোক, তারা মারছে, তারা মরছে। কিন্তু আমজনতার কি হবে?
আমজনতা, ভেবে দেখেছ কি? কোন টাকা-পয়সা না নিয়েও যখন অন্ধভাবে এলাকার চেয়ারম্যান আর এমপি'র সাত খুন মাফ করে দেয়ার জন্য চিল্লাপাল্লা কর, কদিন পর তোমার ঘাড়ে ওদের বাড়ি পড়লে তখন তোমার সঙ্গীরা সাথে থাকবে তো?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৮

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:



আমজনতা!!!
রাজনীতি করে এমন জনগন কত পারসেন্ট হবে? বড়জোর ১০%, বাকিদের কেউ না কেউ রাজনীতির সাথে জড়িত, হয় ছেলে না হয় মেয়ে, ভাই অথবা বোন, মামা অথবা খালু। কেউ না কেউ এই লাইনে আছে। আমজনতা নেই।
আপনার লেখাটা যা দিয়ে শুরু করেছেন সেদিকে একটু বলি- বাদলের দল ক্ষমতায় নেই, এই দেশে তাঁর দলের কেউ মেম্বার হওয়ার ক্ষমতা রাখে না, উনি হলো উদ্দিষ্টভোগী বাম। আওয়ামলীগের ছুঁড়ে দেওয়া হালুয়া-রুটি কিছুটা খেয়ে পরে বেঁচে ছিল। আদর্শ অনেক আগেই বাক্সে ভরে তালা দিয়ে রেখেছে তাঁরা।
খোকার প্রতি খুব বেশি অসম্মান দেখিয়ে বলে মনে হয়নি। উনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেই হিসাবে যতটুকু সম্মান প্রাপ্ত ততটুকু হয়তো পায়নি কিন্তু মোটের উপর ভাল পেয়েছে।
দুইজনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, বাংলাদেশ তাঁদের যুদ্ধের অবদান সরণে রাখবে।
আর আপনি যে গনতন্ত্রের কথা বলছেন সে গনতন্ত্র এখনো আমাদের উপমহাদেশে চালু হয়নি আশাকরি আগামী ১০০ বছরে হবে না।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪১

এপোলো বলেছেন: পার্সেন্টের হিসেবে উত্তর দেয়া কঠিন, আমি অপারগ। তবে আমজনতা নেই, কথাটা মেনে নিতে আমার অনেক কষ্ট হবে।
রাজনীতি দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের জীবনে প্রভাব ফেলে, সেভাবে বলতে গেলে হয়ত আমজনতা নেই। সবাই রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে, সাহিত্যের আমজনতা বাস্তবে অনেক। কতজনইবা বলুন রাজনীতি থেকে প্রত্যক্ষ অনৈতিক সুবিধা পায়? নীতিহীনতার দেশে অনৈতিক সুবিধা যদি নাই পাওয়া গেল, তাহলে আর রাজনীতিবিদ হওয়া গেল কেমনে?
আর, আপনি আমি চাইলে কাল থেকে ১০০ বছর গণনা করা শুরু করা যায়, যদি নাই বা চাইলাম, তাহলে বছর গণনা শুরু করতে তো অনেক দেরী হয়ে যাবে।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৯

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:

রাজনীতি করে না এমন জনগন কত পারসেন্ট হবে?

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা। দুজনেই সম্প্রতি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। দুজনেই রাজনীতিবিদ।

তবে কিন্তু আছে।
একজন মুক্তিযোদ্ধা হলেও যুদ্ধ শেষে কিছুদিন পর সুবিধাবাদি হয়ে শত্রুপক্ষের দলে ঘাতকদের জোটে যোগ দিয়েছিলেন।
পরে মিত্রপক্ষ আবার ক্ষমতায় এলে ঘাতক নেতাদের ফাঁসি দেয়া হলে, পরে উনি বিদেশে চলে যান। পরে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
ঘাতক শত্রুদের সাথে যোগ দিলে আর নিজেকে মুক্তি্যোদ্ধা দাবি করা যায়?
এরপরও তাকে সম্পুর্ন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়েছিল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৯

এপোলো বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমার মতের কিছুটা মিল আছে। সময়ে সবাই মিত্রপক্ষ, যেমন ইনু, মেনন, মতিয়া, নাহিদ, প্রমুখ। একসময় জামায়াতিরাও মিত্রপক্ষের সাথে এক বাসনে ভাত খেয়েছিল। অসময়ে কেউ কেউ শত্রুপক্ষ; যেমন ইমরান এইচ সরকার, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সিনহা, মেনন, তুরিন আফরোজ, প্রমুখ। সময় থেকে অসময় হতে ক্ষেত্রবিশেষে সময় লাগে অনেক। গাদ্দাফি, সাদ্দাম, মুগাবে, এরা অনেকদিন সময় অনুকূলে রেখেছিল। সময় থাকতে বাদলের মত বিদায় নিতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার মত লোকজন তখন প্রশ্ন কম করবে।
আর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা তো মনে হয় ১৯৭১ এ দেয়া, রাজাকারের সংজ্ঞাও তখনকার। আপনি যদি এখন সেটা নিয়ে প্রশ্ন করতে চান, তাতে আমার বাগড়া দেয়া সাজবে না। বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে আমার শতভাগ মতামত।

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
আমজনতাকে কে দেখবে ।
সরকার, বিরোধী দল ? কেউ না ।

শুধু আল্লাহই আমজনতাকে দেখতে পারেন ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৯

এপোলো বলেছেন: উপরওয়ালা ছাড়া আমজনতার কোন ভরসা নাই।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশের জনগনরা রাজনীতিবিদের কাছে বড্ড অসহায়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯

এপোলো বলেছেন: জনগণ তার নিজের মতের শক্তি এখনও বুঝতে পারেনি। একশ টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করে চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়া তাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.