![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল কিছু লেখার জন্য সময় দিতে হয়, অহেতুক তারাতারি করতে গেলে ভাল কিছু হারাতে হয় - আমি
""ইউনিভার্সিটির প্রথম ক্লাসে পাশা পাশি বসা দুইজন অপরিচিত মানুষ। একদম অপরিচিত! জানেনা তারা- নাম জানার মত অতি সামান্য বিষয়টি থেকে তাদের যাত্রাপথ ঠিক কতদূর যেতে চলেছে।
অনেক কাছের মানুষের তালিকায় এই অচেনা মুখ এক সময় প্রথম স্থানে চলে আসে। নামকরণ করা হয় তাকে "বন্ধু" হিসেবে।
এই মানুষটির সাথেই রাগ করা হয়। ঠিক সময়ে কোথাও আসতে না পারলে অজানা অভিমান হয়। এসাইনমেন্টের পেপারে ভূল করলে ঝারি খেতে হয়। দিতে না চাইলেও নিজের পার্সের টাকায় তার সম্পূর্ণ অধিকার দিতে হয়। আর সব শেষে অজান্তেই কিছু ভালবাসা।
কিন্তু বলা হয়না,শুধু অনুভব করা হয়- মানুষটি পাশে থাকলে এক ভাললাগা কাজ করে। ""
রুবি ডায়রিটা বন্ধ করলো।আর লিখতে পারছেনা। ইউনিভার্সিটি লাইফটা শেষ হয়েছে অনেকদিন আগে। বাসায় বিয়ের চাপ। বড় ভাই কয়েকদিন পরপর রুবিকে বিভিন্ন ছেলের ছবি দেখায়। মা প্রায় বিরক্ত হয়ে গেছে। ঘরে বিয়ের যোগ্য মেয়ে বসে আছে কিন্তু বিয়ে হচ্ছেনা। বড় ভাই যা ছবি দেখায় রুবি সব না করে দেয়। বড় ভাই একবার জানতে চেয়েছিল,
- "রুবি,তোর কোনো পছন্দ আছে কি?"
সেই দিন ঠোটের কোনায় "শিমুল" নামটা এসে প্রচন্ড বিরক্ত করছিল। কিন্তু দীর্ঘ নিশ্বাসের পর মুখ ফুটে শুধু "না" শব্দটি বের হয়েছিল। বড় ভাই আড়চোখে রুবির দিকে তাকিয়ে ছিল কিছুখন। কিছু একটা বুঝতে চাচ্ছিল। কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব নিয়ে রুবি নিজের ঘরে চলে যায়। শিমুলটাই কিছু বুঝতে পারলোনা,বড় ভাই কি বুঝবে!
শিমুলের সাথে রুবির শেষবার দেখা হয়েছে ইউনিভার্সিটির রেগ ডে তে। এর পর আর দেখা হয়নি।শিমুল এক মাল্টিনেশনাল কম্পানিতে জব করে। যখনি ফোন করা হয় তখনি বলে ব্যস্ত আছি। এত ব্যস্ততা কিসের?দু মিনিট কথা বললে কি হয়!
অভিমান করে রুবি ফোন করেনি অনেক দিন।অপেক্ষা করেছে শিমুলটা যদি একটু ফোন করে।কিন্তু শিমুল একবারো ফোন করেনি। এক সময় অভিমান চলে যায়,আবার ফোন করতে হয় রুবিকেই। মনকে সান্তনা দেয় রুবি-হয়তো সে সত্যিই ব্যস্ত।
আজ কথা বলতে রুবির খুব ইচ্ছে হচ্ছে।ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে রুবি।একটি বোতাম চাপলেই কল চলে যায়,কিন্তু দিচ্ছেনা।মনে প্রশ্ন এখন কি শিমুল ব্যস্ত? মনে হয় না। রাত অনেক হয়েছে।খাবার খেয়ে হয়তো শুয়ে আছে।কলটা করেই ফেলি বলে রুবি ফোন কল করলো-
ফোন ধরেই শিমুল বলল,
-হ্যালো! রুবি, কি খবর তোর?
-এইতো ভাল! তুই কি ব্যস্ত?
-নাহ্, ব্যস্ত না। তোর গলা ভারী ভারী লাগছে কেনো?
-জানিনা!
-বাসায় কিছু হয়েছে?
-নাহ্,কিছু হয়নি। মা একটু রাগারাগি করেছে,আর কিছুনা।
-কেনো?
-বিয়ে করছিনা বলে।
-হাহা! এই জন্য কি কান্নাকাটি করছিস?
-আজব! কান্নাকাটি কেন করবো। হাসি বন্ধ কর।
-না, তোর বিয়ে ঠিক হইতেছে সেই জন্য।
-ঠিক হয়নি এখনো,ঠিক হবে হয়তো খুব তারাতারি।
-ও... তাই নাকি? তা দাওয়াত কবে পাবো।
-পাবি সমস্যা নেই।এখন চুপ যা। তুই বিয়ে করবি কবে?
-তুই যেদিন করবি সেই দিন করবো।
-মানে? ও... তার মানে মেয়ে দেখা শেষ।
-নাহ্! মেয়ে খুজঁতেছি।
-তুই বললে আমি মেয়ে দেখি? মেয়েরা মেয়েদের কে ভাল বুঝতে পারে। কিরে! দেখবো নাকি।
-হুম দেখ। সমস্যা নেই!
-আমিতো তোকে চিনি। তোর জন্য ভাল মেয়ে খুঁজেদিতে পারবো।
-ঠিকাছে দেখ।
-সত্যি দেখবো?
-হুম দেখ, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখ!
রুবি চুপ হয়ে গেল। চার বছর ধরে যে কথাটা শোনার অপেক্ষায় সে আছে, সেই কথা এভাবে রুবিকে শুনতে হবে তা কখনো ভাবেনি।
-আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখবো মানে।
-মেয়ে যেটা পছন্দ করেছি তাকে দেখতে চাইলে তোকে আয়নার সামনেই দাঁড়াতে হবে।
রুবির চোখের কাজল লোনা জলে ভিজতে শুরু করেছে। আজ অপেক্ষারত সুখের জল চোখে আটকে রাখার কোনো ইচ্ছেই তার নেই।
ঐ পাশ থেকে শিমুল বলছে,
-কিরে কান্নাকাটি করছিস নাকি?
চোখের জল রুবি মুছতে মুছতে বলল,
-আজব! কান্নাকাটি কেন করবো।
#অনুগল্প
#আরিয়ান_রাইটিং
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩২
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: বাহ! ভালো লাগল । অপেক্ষার অবসান তো ঘটল ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৩
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫
মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: খুব সুন্দর। শুভ কামনা।
ভাল থাকুন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখনকার জেনারেশন কেউ এত লুতুপুতু করে না। ইয়েস অর নো।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: অনেকের ক্ষেত্রে ঠিক।সবার জন্য এক না।যাই হোক তালগাছ যারযার আরকি।
৫| ০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
মৌরি হক দোলা বলেছেন: দারুণ গল্প!
০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ২:৫১
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১০
এপিস বলেছেন: ভালো লাগলো।