![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল কিছু লেখার জন্য সময় দিতে হয়, অহেতুক তারাতারি করতে গেলে ভাল কিছু হারাতে হয় - আমি
রিফাত সাহেব পেসেন্টের ডায়রি পড়তে শুরু করলেন,
" (ছোটদের কোনো গল্প না- রিকমান্ডেড এইজ ২৪+)
রচনা- ১: যে কোনো গল্পের আসল টার্নিং পয়েন্ট থাকে গল্পের মাঝ বরাবর,শুরুতে বা শেষে নয়।
রচনা- ২: (নাম ঠিক করা হয়নি,অসমাপ্ত)
...জানি কেউ এই লেখাটা পাবে, কেউবা পাবেনা।
যা কিছু করেছি এই ক্ষুদ্র জীবনে,
বিলাসিতা নেই তাতে,
নেই কোনো নাম কামানোর চেষ্টা!
ঐশ্বর্য স্পর্শ করবে বলে,
ভিন্ন নামে তাই আমার পরিচয়!
এক যুগ পর হয়তো কেউ খুঁজবে আমাকে,
কিন্তু পাবেনা!
লুকিয়ে রাখা মানুষকে খোঁজা এত সহজ না।
লুকিয়ে রাখি বলতে নিজের অস্তিত্ব লুকানোকে বলছিনা, সাথে নিজের অনুভূতি সম্পর্কেও বলছি।
রচনা- ৩:
আমি তুহিন! বয়স ২৬ বছর।
সাইকোলজির একজন ছাত্র। এখন যে লেখাটা লিখছি তা প্রকাশ করার জন্যনা। আমার ভিতর কিছু পরিবর্তন আমি অনুভব করছি। পরিবর্তনটা লেখার চেষ্টা মাত্র।
সময়ের সাথে সাথে আমি যে বিষয়টা লক্ষ করেছি তা হচ্ছে আমার অবজারভেশন ক্ষমতা। আমার অবজারভেশন ক্ষমতা অনেক ভাল।এতটাই ভাল যে কারো বিষয়ে জানার জন্য তার সাথে কথা বলার খুব একটা প্রয়োজন হয়না। শুধু তাকে দেখে দেখেই সব জানা হয়ে যায়! এতে কোনো সমস্যা নেই! তবে জেনে যাই বলেই কথা বলার ইচ্ছে কমে যায়।
Science অনুযায়ী, অবজারভেশন ক্ষমতা যাদের ভাল থাকে তারা ভাল ছবি আঁকতে জানে। বুঝতেই পারছেন,কথা অনুযায়ী আমি একজন Artist! Sketching করা আমার একটা পছন্দের কাজ।যখন থেকে ছবি আঁকতে জানি তখন থেকে অবজারভেশন ক্ষমতা সম্পর্কে ভাল ধারণা ছিলনা।
মানুষ আমার সামনে দাঁড়িয়ে কত রকমের প্রশ্ন করে। আমি তার উত্তর দেই,উত্তর শুনে আমার সম্পর্কে তারা জানে! আমারও ইচ্ছে করে তাদের মত প্রশ্ন করে তাদের সম্পর্কে জানার! কয়েক বার চেষ্টা করেছি তাদের মত অভীনয় করে প্রশ্ন করার। জানা বিষয় বস্তু জানার জন্য পুনরায় প্রশ্ন করা! বিষয়টা একটু অদ্ভূত তাইনা। এতে কোনো অনুভূতির এদিক অদিক হয়না। This is called socialism or communication, whatever it is-I don't care!
সত্যি বলতে এটা এখন বড় সমস্যায় পরিনত হয়েছে। এই সমস্যার জন্য আমার কথা বলা কমে গেছে, ব্রেইনের একটিভিটিস্ বেড়ে গেছে! Continuous thinking ability বলা যেতে পারে! একই সাথে আমার জটিল স্মৃতি শক্তিও রয়েছে। যেটা চিন্তা করার ক্ষমতাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। স্মৃতি শক্তির কথা উল্লেখ করার কারণ রয়েছে! ক্লাস ওয়ান-টু থেকে এই পর্যন্ত আমার প্রায় খুটিনাটি সব স্মৃতি মনে আছে। একজন সাইকোলজির স্টুডেন্ট হিসেবে আমি জানি,এটা সত্যি রেয়ার কেস্। যখন আমি টু তে পড়ি,আমার স্পষ্ট মনে আছে যে আমি ক্রিকেট বেট দিয়ে একজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলাম। এতটা স্পষ্ট মনে থাকার কারন কখনো আমাকে চিন্তায় ফেলেনি। যখন Human Abilities স্টাডি করেছি তখন বুঝেছি আমার এটা বিশেষ গুন। বলেছিলাম স্মৃতি শক্তি উল্লেখ করার পেছনে কারন আছে।মূলত টুকটাক লেখালেখির পেছনে সময় যেটা দেই সেটা এই বিশেষ স্মৃতি শক্তি মূলক গুনটার কারনেই দেয়া হয়।লেখালেখির জন্য স্মৃতিশক্তি অনেক প্রভাব ফেলে।Trust me,আপনার অভিজ্ঞতার বাইরে আপনি এক লাইনো লিখতে পারবেন না।যা ভাবছেন বা লিখছেন তা কোনো না কোনো সময়ে আপনার জীবনে ঘটেছে বা দেখা হয়েছে অথবা শোনা হয়েছে।আমার ক্ষেত্রেও তাই। এই জন্যই আপনি এই লেখাটা পড়তে পারছেন। আর আপনার পড়ার প্রতি আগ্রহটা আমিই সৃষ্টি করেছি। আপনিকি জানেন সেটা কিভাবে? থাক, এটা অনেক পড়ের বিষয়। আমার ডিপার্টমেন্টের স্যার বলতেন- 'পরিপক্ব ভাবে সাইকোলজিকাল বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে তাকে ইনফ্লুয়েন্স নলেজ দেয়া ঠিকনা'। তবে আমার এটা ভাল লাগেনা।সাধারন জীবন যাপন করতে চাই।এত এবিলিটির প্রয়োজন নেই!সাধারণ মানুষের মত আমিও রুম থেকে বের হয়ে যাতে আবিষ্কার করি মোবাইল ফোনটা ভূলে রেখে এসেছি অথবা রুমে তালা মেরে যাতে দেখি চাবি রুমেই রয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় ঠিক কি ধরনের অনুভূতি হয় সেটা আমার জীবনে কোনো দিন অনুভব করিনি।
.
কোনো পদক্ষেপ যে নেয়া হয়নি তা না। অতিরিক্ত চিন্তাকরা বন্ধের জন্য Meditation করার চেষ্টা করেছি। লাভ হয়নি! বর্তমানে এমন একপর্যায়ে চলে এসেছি যেটাকে কোনো ভাবেই ব্যাখ্যা দিতে পারছিনা। Just unexplainable condition!... "
.
ডক্টর রিফাত আর পড়লেন না। সুন্দর মলাটের নোটবুকটা বন্ধকরে তার সামনে বসা পেসেন্টের দিকে তাকালেন। পেসেন্ট তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।রিফাত সাহেব শান্ত ভাবে প্রশ্ন করলেন,
--লেখার শুরুতে ২৪+ কেনো লিখেছেন?
--এটা আপনার প্রথম প্রশ্ন!
রিফাত সাহেব একটু বিরক্ত হলেন।প্রথম প্রশ্ন-দ্বিতীয় প্রশ্ন আবার কি? তুহিন হচ্ছে রিফাত সাহেবের পেসেন্ট। রিফাত সাহেব যা জানতে চাবেন তার সাথে তুহিন কে কো-অপারেট করতে হবে।
--জ্বী! ধরতে পারেন প্রথম প্রশ্ন।
--না, ভেবেছিলাম আপনি অন্য প্রশ্ন করবেন।যাই হোক, আমার মনে হয় ২৪+ কেনো লিখেছি সেটা আপনি জানেন।আপনি আমার মতন জানা বিষয় পুনরায় জানার জন্য প্রশ্ন করছেন। আচ্ছা লেখাটা কেমন ছিল কিছু তো বললেন না। একজন লেখক তার লেখা শেষে পাঠকের কাছে মন্তব্যের আশাবাদি।
--জ্বী ভাল লিখেছেন।
--কিন্তু আপনিতো পুরোটা পড়েন নি। অনলাইনের ৬০% পাঠকের মত শুরুর কিছু লাইন পড়ে আর পড়েন নি।
--আপনি জানেন কিভাবে আমি পড়েছি নাকি পড়িনি?
--এটা পড়তে কতটুকু সময় লাগবে সেটা আমি জানি।আপনি পড়া বাদ দিয়ে অনেক আগেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন।
--আপনার লেখা আমি পড়বো,তবে সময় নিয়ে। আপনার সাথে আমি কথা বলতে চাচ্ছি।
রিফাত সাহেব একটা কলম নিয়ে তার পেসেন্টের ফাইলে লিখলেন।
Rx.
.......Temper level "8" out of "10" regarding the subjects:
Point 1. Favorite activities.
Point 2. Childhood's aggressive memory.
রিফাত সাহেব লেখা শেষে আবার তুহিনের দিকে তাকালেন। তুহিন এখন মৃদু হাসছেন। রিফাত সাহেব আবার প্রশ্ন করলেন,
--লেখালেখির বিষয়ে আপনার কোনো মতবাদ রয়েছে কি?
--বুঝতে পারছিনা! সমস্যাটা আমার অন্যদিকে,আপনি আমার লেখালেখির সম্পর্কে কেনো জানার চেষ্টা করছেন।
--আপনার সম্পর্কেতো আমার জানতে হবে।না জেনেতো আপনার চিকিৎসা করতে পারবোনা।আপনাকে এ বিষয়ে আমাকে সহযোগীতা করতে হবে।
--মজার বেপার হচ্ছে, আপনার পদ্ধতিটা ভিন্ন রকমের।যাই হোক,আপনার প্রশ্ন করার পেটার্ন আমার ভাল লেগেছে।আমি আপনার সাথে কো-অপারেট করবো।
জানতে চেয়ে ছিলেন,লেখালেখির বিষয়ে কোনো মতবাদ আছে কিনা। আসলে ঐ ভাবে তেমন কিছু নেই। তবে একটা বিষয় বিশ্বাস করি,"ভাল লেখার জন্য সময় দিতে হয়,অহেতুক তারাতারি করতে গেলে ভাল কিছু হারাতে হয়।"
--ভাল বলেছেন।
--ধন্যবাদ। তবে এটা আমার কথানা।অনলাইনে পড়েছিলাম,নাম মনে নেই।আপনার নাম জানতে ইচ্ছে হলে সার্চ করে দেখতে পারেন।
রিফাত সাহেব কলম নিয়ে আবার লিখলেন।
Point 3: Expectation of ideas that will be completed but not.
Knowledge specification:
Point 1. Subject has strong knowledge about questions pattern ,influences and Protocols.
রিফাত সাহেব লেখা বন্ধ করলেন। একটা করা পার্ফিউম এর গন্ধ পেলেন। তিনি মাথা তুলে সামনে বসে থাকা তুহিনের দিকে তাকালেন। কিন্তু সামনের সিটে তুহিন নামের ব্যক্তিটি আর নেই। রিফাত সাহেব এদিক ওদিক তাকালেন,কোথাও নেই! হঠাৎ পিছন থেকে শব্দ আসলো,
--পয়েন্ট গুলো ভাল লিখেছেন রিফাত সাহেব!একদম পার্ফেক্ট!
রিফাত সাহেব পিছনে তাকিয়ে দেখেন, তুহিন দাঁড়িয়ে তার লেখা পড়ছে। রিফাত সাহেব বিরক্ত হয়ে প্রশ্ন করলেন,
--আপনি আমার পিছনে এসেছেন কিসের জন্য? সামনে এসে বসুন।
তুহিন আবার সামনে এসে বসলেন।তার মুখে এখনো সেই মৃদু হাসিটা লেগে আছে।কিছুখন আগে যা করলেন সেই বিষয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। অনেক রকমের পেসেন্ট রিফাত সাহেবের চেম্বারে আসেন,তবে পিছনে যেয়ে তার লেখা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার মত ঘটনা এই প্রথম ঘটলো।
রিফাত সাহেবের ফোন বেজে উঠলো। তার মনে পড়লো বাসায় আজ তরাতারি যাওয়ার কথাছিল।রিফাত সাহেবের স্ত্রী অনিকে নিয়ে আজ তার বাইরে যাবার কথা ছিল। এটা তার লাস্ট পেসেন্ট।পরবর্তিতে কবে তুহিন দেখা করবে সেই কথা তুহিনকে বলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে তুহিনের সাথে করা এপয়েন্টমেন্ট টা শেষ করলেন রিফাত সাহেব। চেম্বার থেকে তারাতারি বের হয়ে তিনি রিক্সার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। ফোন আবার বেজে উঠলো। রিফাত সাহেব এদিক ওদিক তাকিয়ে বুঝলেন,দাঁড়িয়ে থাকার থেকে হাটতে শুরু করাটা ভাল হবে। তিনি হাটতে শুরু করলেন।
.
*****
অনি তার স্বামীর বেডে বসে আছে। শক্ত করে রিফাতের হাতটা ধরে আছে। রিফাত অবচেতনভাবে বিরবির করে কিছু বলছে। এমন অবস্থা দেখে অনি তারাতারি ডাক্তার কে ডেকেছে। নাইট ডিউটিরত ডাক্তার সকালের দিকে চলে গেছেন। একজন নার্স এসেছে তার পরিবর্তে। অনিকে দেখে নার্স বিরক্ত হয়ে গেলেন,
--আপনি আবার তার বেডে বসেছেন। আপনাকে না বলেছি বেডে বসবেন না। আপনাকেতো কথা শুনতে হয়না। স্যার তো আমাকে কথা শোনায়। স্যারতো একটু পরেই রাউন্ডে আসবে।
--স্যরি।
অনি তার স্বামীর বেড থেকে উঠে দাঁড়ালেন।প্রতিদিন সে স্কুলে যাবার আগে একবার রিফাতের সাথে দেখা করে আবার স্কুলের কাজ শেষ করে বাসায় যাবার আগে দেখা করে। সংসারের সব দায়িত্ব এখন অনির উপরে। আজকাল অনির বড্ড একা লাগে।কোনো মতে স্কুলের জবটা অনি করছে।সন্ধ্যার দিকে অনি দুইটা ব্যাচও পড়ায়।এই নিয়েই চলে যায় তার সারাটা দিন।স্কুলের সময় হয়েগেছে। ঠিক সময়ের মধ্যেই অনির আজ যেতে হবে।এর আগেও অনেক বার সে দেরি করেছে স্কুলে যেতে।ঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারলে কত রকমের কথা শুনতে হয়।টিচারদের তো আর দেরিকরে ক্লাসে গেলে চলেনা। অনি আরেকবার রিফাতের দিখে তাকালো। রিফাত আবার ঘুমিয়ে পরেছে। কি সুন্দর লাগছে রিফাত কে দেখতে। ঘুমন্ত রিফাতকে দেখতে অনির বড্ড ভাল লাগে। কে বলবে রিফাতকে দেখে যে একসময়ে সে ডাক্তার ছিলো।নাম করা ডাক্তার! চোখের কোনে আসতে থাকা জল শাড়ীর আঁচল দিয়ে মুছতে মুছতে অনি রুম থেকে বাইরে চলে আসলো।
.
*****
অনি অষ্টম শ্রেণীর ক্লাস টেস্টের খাতা টিচার্স রুমে বসে দেখায় ব্যস্ত। দশ মিনিট পর তার একটা ক্লাস নিতে হবে। অনি ভাবছে দশ মিনিট লেট করেই ক্লাসে যাবে। তাহলে বিশ মিনিট সময় পাবে।এতক্ষণ বাম পাশে দিলরুবা মেডাম বসে ছিলেন।এখন খাতাপত্র নিয়ে সে ক্লাসের দিকে রওনা হলেন। রুমে আর কেউ নেই। সবাই সবার ক্লাসে চলে গেছে। দরজা থেকে হঠাৎ ফারুক ভাইয়ের দাক পড়লো,
--ম্যাডাম,একজন লোক আইছে।ভিতরে পাঠামুনি?
--পাঠিয়ে দিন ফারুক ভাই।
অনি বুঝলো, আর খাতা দেখা সম্ভব না।বাকি গুলো তার বাসায় নিয়ে যেতে হবে। সুন্দর কন্ঠস্বরে একজন বলে উঠলেন,
--আসতে পারি ম্যাডাম?
অনি মাথা তুলে দেখলেন,সুন্দর চেহারার এক ব্যক্তি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।গালে তার হালকা খোঁচা খোঁচা দাড়ি।মাথার চুল একটু এলোমেলো। হাতে একটি সুন্দর মলাটের নোটবুক।
--জ্বী, ভিতরে আসুন। বসুন।
--ধন্যবাদ ম্যাডাম।
--বলুন কিভাবে সহযোগীতা করতে পারি।
--আমার ছোট ছেলে এখানে পড়তো।এখন পড়েনা।তার নাকি পড়ালেখা ভালো লাগেনা। বলুনতো ম্যাডাম,আজকের দিনে লেখাপড়া ছাড়া চলে।
--আপনার ছেলের নাম কি?
--আমার ছেলের নাম রিফাত।
অনি একটু হকচকিয়ে গেল।
--কি হল ম্যাডাম,নামটা শুনে একটু অবাক হলেন মনে হচ্ছে।
--আমার স্বামীর নামও রিফাত,তাই একটু আরকি...
--ও আচ্ছা,আপনার স্বামী কি করে?
--জ্বী,উনি ডাক্তার ছিলেন।
--ছিলেন বলতে কি বুঝাচ্ছেন? এখন কি ডাক্তার না?
--আসলে সে এখন অসুস্থ।
--কি হয়েছে তার?
--রিফাত,মানে আমার স্বামী সাইকিয়াস্ট্রিক ছিলেন। একজন মানসিক পেসেন্ট তার চেম্বারে দু'বছর আগে এসেছিল।সেই পেসেন্ট বিভিন্ন ভাবে রিফাতকে ইনফ্লুয়েন্স করে মানসিক ভাবে ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে।
--কি বলছেন,তাই নাকি?
--এই সকল বিষয়ে আসলে কথা বলতে চাচ্ছিনা।আপনার ছেলে পড়ালেখা কেনো করতে চায়না?
--আমার ছেলে বলে আমার মত লেখক হতে চায়।সে এখন ছোট ছোট গল্প লিখে।
--লেখক হতে চায় সেটা ভাল কথা,তা পড়ালেখা বাদ দিয়ে কেনো।
--এই জন্যইতো আপনার কাছে আসা। আমার মনে হয়, আমার ছেলের মানসিক সমস্যা আছে।কি সব যে লেখে সে।দেখুন আমি তার ডায়রি নিয়ে এসেছি।
অনির সামনে তার হাতের ডায়রিটা রাখলো,ডায়রির পাতা উন্টিয়ে অনি একটা লেখা পড়া শুরু করলো,
"রচনা- ১৭: (নাম নির্ধারণ হয়নি)
মানুষ তার পুরনো অর্জিত অভিজ্ঞতা বর্তমানে প্রয়োগ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কেনো করে কাজটা ? আমি জানিনা! জানার জন্য শ খানেক আজাইরা সাইকোলজিকাল আর্টিকেল ঘাটা ঘাটি করেছি। তাদের ওয়েব সাইটের রেটিং বেড়েছে তবে আমার প্রশ্নের উত্তরের লাইন খুব একটা বাড়েনি।..."
অনি পড়া থামিয়ে দিয়ে সামনে বসে থাকা ব্যক্তির দিকে তাকালো।অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো-
--এই লেখা আপনার ছেলে লিখেছে?
--জ্বী ম্যাডাম।
--এটাতো একটু Higher Level এর লেখা মনে হচ্ছে।
--এই জন্যই তো আপনার কাছে আসা।আমার ছেলের চিন্তা ভাবনা অন্যরকম হয়েগেছে।আমার মনে হয় আমার ছেলেকে কোনো সাইকিয়াস্ট্রিকের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়ে আপনি কি সহযোগীতা করতে পারবেন?
--চিন্তা ভাবনা কি খুবি অদ্ভূত রকমের হয়ে গেছে?
--জ্বী ম্যাডাম!
--রিফাত,মানে আমার স্বামীর এক ক্লাসমেট বন্ধু আছে।আমি তার নাম ঠিকানা আপনাকে লিখে দিচ্ছি।আসা করি সে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। উনি ভাল একজন সাইকিয়াস্ট্রিক।
অনি কাগজে নাম ঠিকানা লিখে দিলেন। সামনে বসা ব্যক্তিটি চেয়ার থেকে উঠে যেতে যেতে এক মৃদু হাসি দিয়ে অনিকে বলল,
--ধন্যবাদ ম্যাডাম, আমার নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে!!
--ধন্যবাদের কিছু নেই, নতুন অধ্যায় মানে? ঠিক বুঝতে পারলাম না!
--হাহাহা, ছেলেকে নিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় আরকি!!
--ও আচ্ছা। এই দেখুন,আপনার নামটাইতো জানা হলনা। আপনার নাম?
--নামে কি আসে যায় ম্যাডাম, আমি কাজে বিশ্বাস করি,কাজটাই তো আসল। আমার ক্ষেত্রে লেখালেখির কাজ ম্যাডাম! আপনি দুটো ভূল করেছেন,জানেন সেটা কি?
দু বছর আগে একটা ফোন কল করে ভূল করেছেন! আর একটা ভূল এই মাত্র করলেন, "রচনা ৩" পড়েন নি।
--কি বলছেন, ফোন কল,"রচনা ৩" মানে কি?
--কিছুনা ম্যাডাম,লেখক মানুষতো সাসপেন্স মূলক কথা বলতে পছন্দ করি! আপনি প্রশ্ন করেছিলেন,আমার নাম কি- আমি তুহিন!
.
#সাইকিয়াস্ট্রিক
#থ্রিলার
#সাইকোলজি
#সাইকো
#মেন্টাল_ডিস_অর্ডার
#ছোটগল্প
#আরিয়ান_রাইটিং
০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮
মৌরি হক দোলা বলেছেন: সুন্দর গল্প.....ভালো লাগল......
০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
৩| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: লেখাটা অনেক ভালো লাগলো। প্রথমেই ভাবছিলাম এটা একটা উপন্যাস এর খন্ডচিত্র। তবে গল্পের টুইস্টটা ভালো ছিল। উপন্যাস হলেও মন্দ হতোনা।
০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: হাহাহা... ভাল বলেছেন। শুনে সত্যি ভাল লাগলো।
৪| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:২২
রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম পোষ্ট আরও দিন।
০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: অবশ্যই চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
সফেদ বিহঙ্গ বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।লেখাতে বেশ সাসপেনস ছিলো।