নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধার পেরিয়ে এক কণা আলোর খোঁজে

ছন্নছাড়া ছেলেটি

"আমি হয়তো তেমন না যেমনটা তোমরা ভাবো....!! হয়তো আমি তেমন , যাকে তোমরা বুঝতে পারো না....!!" আমার খুব সাধারন থাকার সাধ । অসাধারন হবার মত কোন গুন আমার ভেতর নেই । সমালোচকদের চোখে : আমি একটা 'অ' টাইপ ছেলে । ((অসহ্য, অসভ্য, অসামাজিক, অতিভদ্র, অস্থির, অধৈর্য্য, অনিয়ন্ত্রিত, অনাকাঙ্খিত (তাদের জীবনে), অবিশ্বাসী, অগোছালো, অতিরিক্ত ভাব, অত্যাচারী, অভিশপ্ত + ..... )) মানবিক গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং অসাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণ করি । বন্ধুদের চোখে : আমি আমি বিনয়ী, ভদ্র, বিশ্বাসী, প্রকৃতিপ্রেমী, আঁতেল, মেধাবী, ফানি, দুর্ভাগা এবং রোমান্টিক :) । মনুষ্যত্বের সংজ্ঞায় নিজেকে মানুষ বলে মনে করি । এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় ।

ছন্নছাড়া ছেলেটি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ -- WALL-E (2008)

০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

আমার বিশ্বাস এনিমেটেড মুভি লাভার'স রা এই মুভিটি একাধিকবার দেখেছেন । তারপরও খুব লিখতে ইচ্ছে করলো । কারন এটি আমার দেখা একটি সেরা এনিমেটেড মুভি । ছবিটির দায়িত্বে ছিল বিশ্বখ্যাত এনিমেশন মুভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান PIXER

দূরবর্তী ভবিষ্যতে, একটি ট্র্যাশ সংগ্রাহক ছোট্ট রোবট WALL-E নিয়ে কাহিনী। যার হাত ধরে নির্ধারিত হয় মানবজাতির ভবিষ্যৎ।



অসাধারণ গল্প, যেখানে মধ্যাকর্ষণবিহীন পরিবেশে মানুষ হারাতে থাকে তার আপন বৈশিষ্ট্যসমুহ। গল্পের ছোট ছোট ব্যাপারগুলোও যথেষ্ট অর্থপূর্ণ। এনিমেশন শুনেই বাচ্চাদের মুভি ভেবে বসবেন না। এটি সকল বয়সীদের জন্য একটি উপভোগ্য মুভি। পিক্সারের মাস্টারক্লাস এনিমেশন, পাওয়ারফুল মিউজিক, ইমোশন ও ইউনিক স্টোরি সবকিছু মিলে অসাধারণ। এটাকে ধরা হয় পিক্সারের করা সেরা মুভিগুলোর একটি।



সুদূর ভবিষ্যৎ , পৃথিবী সম্পূর্ণ নিঃশেষ, ভেঙ্গে পরেছে পরিবেশগত সিস্টেম। পৃথিবী এখন মানবশুন্য, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে থাকা পৃথিবী এখন পরিত্যাক্ত। মানুষের বাস এখন 'এক্সিয়ম' নামক এক বড় শক্তিশালী মহাকাশযানে। একসময়ের সবুজ পৃথিবী এখন ধুলো ও আবর্জনায় ভরা। বিরূপ পরিবেশের কারনে পৃথিবী এখন প্রাণশূন্যও বটে। বাসিন্দা বলতে কেবল WALL-E নামক ছোট্ট বর্জ্য সংগ্রাহক রোবট এবং তার তার একমাত্র সঙ্গী একটি তেলাপোকা। যাইহোক, বহু বছর ধরে ওয়াল-ই দায়িত্ব সম্পাদন করা যাচ্ছিলো নিষ্ঠার সাথেই। WALL-E র চিন্তাভাবনা অনেক উন্নত মানের, তার আছে মানুষের মতই আবেগ অনুভূতি। একমাত্র সঙ্গী তেলাপোকা আর পুরানো "হ্যালো ডলির" ভিডিও টেপ নিয়ে দিন কেটে যাচ্ছিলো ভালো ভাবেই। এমন সময় তার জীবনে আবির্ভাব হয় বিপজ্জনক অনিন্দ্যসুন্দর রোবট EVE-এর। তাকে অনুসরণ করতে গিয়েই WALL-E নিজেকে আবিস্কার করে অচেনা মহাকাশের এক যান্ত্রিক পরিবেশে। যেখানে মধ্যাকর্ষণহীনতা ও উন্নত যান্ত্রিক পরিবেশ মানবজাতীর জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়ায়। EVE ও WALL-E, সকল প্রতিকূল পরিবেশ ও যান্ত্রিক বাধা ডিঙিয়ে মানুষকে উপহার দেয় সবুজের নিদর্শন।



মানব চরিত্রের পাশাপাশি এ্যানিমেশনে দেখা গেছে রোবটদের প্রেমও। আর তা আমরা দেখেছি WALL-E ছবিতে। এই রোবট চরিত্রগুলো এ

সুন্দর করে একে অপরের প্রতি কেয়ার দেখায় যা নিঃসন্দেহে অসাধারণ । EVE যখন স্ট্যান্ডবাই মোড এ চলে যায় তখন তার প্রতি WALL-E র কেয়ারিং নজর কাড়ে বেশি।



এভাবেই চলতে থাকে এক অনবদ্য কাহিনী। এক টুকরো আশা, মানুষ ফিরে পায় সংগ্রামী চেতনা। বাধা হয়ে দাড়ায় এক শক্তিশালী পক্ষ, যারা নিয়ন্ত্রন করছে সমাজ সভ্যতা। দুর্বল শারীরিক বৈশিষ্টের বিবর্তিত মানুষ কি পারবে সিস্টেম কে পরাজিত করতে নাকি আত্নসমর্পণ করবে নিজের অসহায়ত্বের কাছে? সবুজ পৃথিবী ফিরে আসবে কি?



যারা দেখেন নি তাদের দেখে নেয়ার অনুরোধ রইলো ।।



--আআ/AA

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

ছন্নছাড়া ছেলেটি বলেছেন: =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.