![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাস্তাঘাটে দীর্ঘক্ষন জ্যামে থাকা, কিংবা ক্যাম্পাস থেকে লম্বা দুরত্বে কোন ট্যুর ফুরে যাওয়ার জন্য একাকী মানুষের একজোড়া হেডফোন থাকা মুশকিলে আসানের মত।আর মোবাইলে কোন শায়খের লেকচার সিরিজ থাকা মানে বিনা পরিশ্রমে অনেকগুলা হার্ডকপি আনমনেই পড়ে ফেলা।ব্যাপারটা টেকনিকাল,সাথে ডিফেন্সিভ ও। আজকাল রাস্তাঘাটে বাঈর হওয়া মানে,পুলিশের অহেতুক প্যানপানানি।আন্তাজে ধইরা হুদাই ভুংভাং করা।কি করবে, সারাদিন বইসা ডিউটি করে, চান্স পাইলে বাজাই দেখতে দোস কি?পেইন দিতে এদের জুড়ি নাই।কানে হেডফোন থাকলে, এরা একটু আনইজি ফীল করে, দূর দিয়া কাউরে ডাকদিল, আর পাত্তা না দিয়া মানুষ টা হাইট্যা গেল । নিজের জন্যেই বিব্রতকর
তা যেটা বলতেছিলাম, একদিন ঠিক এইরকম ইমাম আনওয়ার আল আওলাকীর লেকচার শুনতে শুনতে হাটতেছিলাম।উনার স্ট্রেইট কাট কথাগুলা আমার ভীষন পছন্দ। যা বলে,গুছায় বলে। অনেক জটিল জিনিসের এক্সপ্লানেশানও এত্ত সুন্দর কইরা দ্যায়, যেটা আপনে দুই তিন বার পইড়াও অন্য কাউরে বুঝাইতে পারবেন না।
দাওয়াহর গুরুত্ত্ব বুঝাইতেছিলেন ওই লেকচারটায়।ঘটনার সিকোয়েন্সে একটা বাস্তব উদাহরন দিলেন ঠিক এইরকম, যে আমেরিকাতে একটা দাওয়াহ টীম , রাস্তায় দাড়ায়া র্যান্ডমলি কুরআনের কপি দিতেছিল।সম্ভবত অর্থসহ কুরআন ছিল ওইগুলা।তো একজন খ্রিষ্টান ছেলের কাছে এরকম একটা কুরআনের কপি গেল। সে বাসায় গিয়া ওইটা লাড়াচাড়া দিয়া দেখলো। নতুন বই, সাথে অন্য একটা রিলিজিয়নের।ঊল্টাই পাল্টাই দেখাটাই স্বাভাবিক।
সূরা আলবাকারাহ থেকে কিছু পড়ার চেষ্টা করল ছেলেটা। প্রথম আয়াত আলীফ লাম মীম।পড়ের আয়াত "য্বা লীকাল কীতাবু লা রাইবা..." । আয়াত টার অর্থ পড়তে গিয়াই আনমনে একটা প্রশ্ন চলে আসলো মাথায়। অর্থটা ছিল এরকম, যে "এটা এমন এক কিতাব,যাতে কোন সন্দেহ নাই"। আর এই একটা লাইনই তার মাথায় কড়া নাড়লো।দুনিয়ার যত বই আছে, সববইয়ের শুরুতে লিখা থাকে,বইটাতে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে। পাঠক খুজে পেয়ে জানালে, সেটা পরের সংস্করনে ঠিক করে দেয়া হবে। খালি এই বইটাতেই এর ব্যাতিক্রম। লেখকের কনফিডেন্স, তার মস্তিস্কে অন্য রকম একটা অনূভূতির সঞ্চার করলো। সেই অনুভূতির জের ধরে, কুরআনের শুরুটা পড়লো, শেষদিকের সূরা গূলোও পড়লো।তার উদ্দেশ্য বইটা পড়া না, উদ্দেশ্য বইয়ের লেখককে খুজে বের করা।
আলহামদুলিল্লাহ, শেষমেষ সে উত্তর টা কুরআন থেকেই পেয়েছিল।কুরআনের লেখক তো তিনিই,সেই
রাহমানুর রাহীম, আল্লাহু আজওয়াজাল !
এই একটা ঘটনা তার ভিঊ চেইঞ্জ করার জন্য যথেষ্ট হয়েছিল। সে ওই দিনই ইসলাম গ্রহন করেছিল বলে জানা যায়।পরবর্তীতে জানা যায় তিনি একজন স্বনামধন্য দ্বা'য়ী হিসেবে কাজ করেছিলেন আমৃত্যু।
এই একটা ঘটনাকে স্পিরিট ধরেই কিন্তু আমরা অনেক অনেক দূর আগাতে পারি বলে মনে হয়।দাওয়াত যে অনেক ফর্মাল কোন জিনিশ, তা কিন্তু নয়।মানুষের ওঠাবসা কথাবার্তায় ও অনেক সময় দাওয়াহর ম্যাসেজ পৌছে দেওয়া যায়।আজকাল অনেক ভালো ভালো ইসলামিক ভিডিও তৈরী হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ সেগুলো এত্ত এট্রাক্টিং, যে আপনি কোন ইয়ো ইয়ো টাইপের ছেলের কাছেও সেটা দিলে সে এটলিষ্ট পুরোটা না দেখে উঠতে চাইবে না।আর মানুষের মনের খবর তো আল্লাহই ভালো জানেন। কখন কার, কিভাবে, কোন কথা দিয়ে মন চেইঞ্জ হবে,সেটা কী বলা যায়? কে ভাবছিল যে,ওই খ্রীষ্টান ছেলেটাই, এই ছোট্ট ঘটনার মধ্যে দিয়ে ইসলামের এতবড় উপকারে আসবে?
ফেইসবুকে একটা কুরআনের আয়াত শেয়ার করার পরে,সেটা যদি একজন প্র্যাকটিসিং মুসলমান কেও আল্লাহর রাস্তায় ফিরিয়ে নিতে পারে, সেটা তো কিয়াময়াতের দিন আপনার জন্যেই সারপ্লাস ! আবার আপনি একটা হাদীস জানেন, সেটা কোন বন্ধুকে নরমাল কথার ছলে বললে আপনারে কি ও মারবে? নাকি এরজন্য অনেক ফরমাল প্রিপারেশন দরকার?
বিশ্বাস করেন, আল্লাহ কোনদিন আপনার কাছে,কয়জন মুসলমান বানাইছেন সেই কইফিয়ত চাইবেন না।বরং আপনার চেষ্টাটাই আল্লাহর কাছে মুখ্য। হিদায়াত দেয়া বা না দেয়া তো স্বম্পূর্ন তার হাতে।
যতদূর জানি কিয়ামাতের দিন এমন অনেক নবীকেও ওঠানো হবে,যাদের কোন ফলোয়ার থাকবে না।অথচ তা্রাও জান্নাতে যাবে, শুধুমাত্র তাদের চেষ্টার কারনে।
একবার ভাবুন তো,কিয়ামাতের প্রখর রোদে, যখন আপনার সাথে আর কোন অবলম্বন নাই, ঠিক সেই মূহূর্তে আপনার কথায় মোটিভেট হওয়া ওই ইয়ো ইয়ো ছেলেটাই, আপনার জন্য নাজাতের উসিলা হয়ে আসলো !
দুনিয়া, আর আখিরাতে এর চেয়ে ইম্পরট্যান্ট কি আর কিছু থাকতে পারে?
তবে শুরু হোক পথচলা।
আজ থেকেই।
আল্লাহ সহায় হোন আমাদের।
©somewhere in net ltd.