নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উর্বর মস্তিষ্কের কার্যকলাপে জবাবদিহি করতে বাধ্য নহে।

ছোট সাহেব

উর্বর মস্তিষ্কের কার্যকলাপে জবাবদিহি করতে বাধ্য নহে।

ছোট সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ হতে পারলাম না!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬

আমি সবসময়ই ভেবেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় হলো মানুষ তৈরির জায়গা। কিন্তু বাংলাদেশে যে বাস্তবতা, সেখানে যেন দানব তৈরি করা হয়!

গতকাল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সামনে থেকে চুরির সন্দেহে ৩২ বছর বয়সী এক যুবককে ছাত্ররা পিটিয়ে হত্যা করেছে। একই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনির মাধ্যমে মেরে ফেলা হয়েছে।

এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয়, তাদের অনেক খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, তারা সবার ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখাচ্ছে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। যে ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে মারা হয়েছে, পরে জানা গেছে, তিনি একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু ধরে নিলাম, যদি তিনি চোরই হতেন, তারপরও কি একজন মানুষকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা যায়? তাও আবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে? আর শুধু ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেই কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অধিকার দেওয়া হয়? দেশে কি আইন-আদালত নেই?

এই তরুণরা একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাহলে ভাবুন, কারা আমাদের দেশ পরিচালনা করবে! আমাদের মেধাবী ও যোগ্যতার ন্যারেটিভে ফাঁকফোকর রয়েছে। মেধাবী হলেই যেন সাত খুন মাফ হয়ে যায় না। অথচ, এ দেশে 'মেধাবী' পরিচয়ে একসময় একদল লোক চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করেছে—এসব ঘটনা আমরা জানি। আমরা ভেবেছিলাম, নতুন প্রজন্ম এসব সিস্টেম ভেঙে দেবে।

আমরা কি সত্যিই জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলাম? আমরা তো সিস্টেমের পরিবর্তন চেয়েছিলাম।

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই ঘটনার জন্য দায় নিতে হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে শিক্ষার্থীরা কীভাবে এভাবে একজন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলার সাহস পায়?

এই ঘটনার দায় নিয়ে আজই আপনাদের পদত্যাগ করা উচিত। যদি পদত্যাগ না করেন, তবে ধরে নেবেন, আপনারাও একই সিস্টেমের অংশ। অন্তত একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য হলেও আপনাদের সরে দাঁড়ানো উচিত, যাতে দেশের মানুষের কাছে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছায়।

যেসব শিক্ষার্থী এই ঘটনায় জড়িত, তাদের শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করাই যথেষ্ট নয়, প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করতে হবে।

সরকারের প্রতিও আমার অনুরোধ—এই শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনুন। দ্রুত বিচার আইনের অধীনে দুই দিনের মধ্যেই বিচার করুন। অন্যথায় দেশের মানুষের কাছে বার্তা যাবে যে, আপনারাও সেই একই ফাঁদে আটকা পড়েছেন।

মনে রাখবেন, এসব ঘটনা আপনারা উপেক্ষা করতে পারেন না; সবই আপনাদের আমলনামায় জমা হচ্ছে। বাংলা প্রবাদ আছে, "এক মাঘে শীত যায় না।" বাকিটা আপনাদেরই বুঝে নিতে হবে।

অন্যায় সবসময় অন্যায়—তাতে কোনো আপোষ নেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.