![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালি নিজেদের অবস্থার উন্নতির জন্য যেকোনো মতবাদ বা গোত্রের সাথে নিজেদের একীভূত করতে চায় ।এর একটা দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। আর্যরা যখন এই দেশ দখল করে তখন তারা তাদের উন্নত সামরিক শক্তি আর মেধার মাধ্যমে এমন এক সমাজকাঠামো তৈরি করে যেখানে আর্যরা থাকবে সকল ক্ষমতার অধিকারী আর এদেশের আদি অধিবাসী বা অনার্যরা হবে তাদের এই কাঠামোর একটা যন্ত্রমাত্র ।
যাদের মুখ্য কাজ হবে প্রভু আর্যদের কল্যাণে সময়মত ফসল ফলানো আর সেই ফসলের সিংহভাগ তাদেরকে নির্দ্বিধায় দিয়ে দেয়া। এছাড়া তাদের কোন উপায় ছিল না। কারন তারা সেই সময় ছিল একটা পরাজিত জাতি। তাই বিজয়িদের সাথে আপস করাই তাদের কাছে শ্রেয় মনে হয়েছে। এছাড়া আর্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সেই সামর্থ্য আর সামাজিক বুনিয়াদ এই কৌম সমাজের লোকদের ছিল না । তাই তারা সবাই আর্যদের ধর্ম তথা হিন্দু ধর্ম গ্রহন করে নেয়। কিন্তু আখেরে তাতে কোন লাভ হয় নি। কারন হিন্দু ধর্মে প্রচলিত বর্ণপ্রথা অনুসারে তাদের স্থান হয় সমাজের সবচেয়ে নিম্নতম স্তরে । কারন তারা অনার্য । তারা কেন সমাজের উঁচু স্তরের লোক হবে? তা কি আর্য প্রভুরা মেনে নিবে?
তাই পূর্ব বঙ্গের সাধারন বাঙ্গালির এই সময়কার ইতিহাস হল নিপীড়ন, জুলুম আর বঞ্চনার ইতিহাস। তাই সব অনার্য বাঙালি আশা করত দিন বদলের। নতুন কিছুর। তাই এদেশে যখন বৌদ্ধ ধর্ম আসে তখন এদেশের নিষ্পেষিত মানুষ এই ধর্মকে হিন্দু প্রভুদের হাত থেকে রক্ষার রক্ষাকবচ ভেবে নেয়। এবং বৌদ্ধ ধর্ম বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর প্রমান পাওয়া যায় পাল শাসনামলে।কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বৌদ্ধ ধর্ম এই দেশে কোন স্থায়ী ভিত গড়তে পারে নি। এজন্য বৌদ্ধদের প্রচলিত অহিংস মনোভাব , বৌদ্ধ শাসকদের প্রতিভাহীনতা আর মূলত এদেশে উচ্চ স্তরের হিন্দুদের ষড়যন্ত্রকে দায়ি করা হয়। মূলত এই দেশে এই ধর্ম প্রচলন করার অনুকূল কোন পরিবেশ কোনদিন সৃষ্টি হয় নি। কারন হিন্দু শাসকেরা সবসময় এমন এক বর্বর দমননীতি পালন করে গেছে যার ফলে এই ধর্ম কখনো মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারে নি । একটা ধর্ম যত ভালই হোক উহার পিছনে যদি আর্থিক আর রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা না থাকে তবে সেই ধর্মের বেশি অনুসারী জোটে না। আর দুর্বল দ্বিধাসম্পন্ন বাঙ্গালিদের ো সাহস হয় নি এই ধর্ম গ্রহন করে হিন্দু প্রভুদের নিকট যাতনার বস্তু হয়ে বাস্তভিটা হারানো অথবা খুন হওয়া । তাই পূর্ববঙ্গের বেশির ভাগ মানুষ রয়ে যায় নিম্ন জাতের হিন্দু হিসেবে।কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম যে রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক সুযোগ পায় নি সেটা ইসলাম ধর্ম পেয়েছিল। বখতিয়ার খলজির নদিয়া বিজয়ের মাধ্যমে এই বঙ্গে মুসলিম শাসনের সুত্রপাত ঘটে । অবশ্য এর আগে থেকেই ইসলাম ধর্মাবলম্বী সুফিরা এদেশে এসে ধর্ম প্রচার করা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার পিছনে যখন রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক শক্তি যুক্ত হয় তখন ইসলাম এই দেশে একটা স্থায়ী ভিত গড়ে তোলে। যার ফলে নতুন জীবনের আশায় নিম্নবর্ণের বাঙালি হিন্দুরা যারা চিরকাল বঞ্ছিত ছিল সকল প্রকার অধিকার থেকে তারা এই ধর্ম সাদরে গ্রহন করে। এখানে ইসলাম ধর্মের মহত্ত যতোটা না কাজ করেছে তার চেয়ে বেশি কাজ করেছে উঁচু বর্ণের হিন্দুদের অত্যাচার থেকে বাচার ইচ্ছা আর উন্নত জীবনলাভের স্পৃহা। কিন্তু বাঙালি এবারেও মার খায়।
শাসন ক্ষমতা মুসলমানদের হাতে থাকলেও সেই শাসকরা কেউ এদেশীয় ছিলেন না। তারা প্রধানত ছিলেন তুর্কি, অথবা মোঘল । তাদের ভাষা, আচার আচরণ ও এদেশীয় ছিল না। ফলে তারা নতুন সাম্রাজ্য শাসনে ঝামেলায় পড়ে যান। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় তাদের যে প্রশাসনিক আমলারা বা রাজ দরবারের উঁচু শ্রেনির সদস্যরা অনেকেই ছিলেন উঁচু বর্ণের হিন্দু। কারন সাধারণ বাঙালিদের না ছিল সেই শিক্ষা না ছিল সেই সামাজিক অবস্থান যে তাদের শাসনকার্যে সাহায্য করে। ফলে শাসক মুসলমান আর প্রজা মুসলমান হলেও দুই পক্ষের ভিতর রয়ে যায় এক প্রকার শ্রেণিগত দ্বন্দ্ব। তাই শাসক পরিবর্তিত হলেও তাতে সাধারন বাঙালিদের কোন ফায়দা হয় নি। তারা প্রশাসনিক কোন ক্ষমতার অধিকারী হতে পারে নি। তাদের কাজ ছিল শুধুই ফসল ফলানো আর খাজনা দেয়া। তবু তারা যে হিন্দু ধর্মের শ্রেণী বৈষম্য থেকে রেহাই পেয়েছিলেন এতে তাদের ভিতর স্বস্তি ছিল। তারা ইসলাম ধর্মের ভিতর তাদের হাজার বছরের বঞ্ছনার সান্তনা পেতে চেষ্টা করে।এ সময় এদেশে বিভিন্ন সুফিদের আগমন বাড়তে থাকে। তাদের প্রচারিত সাম্য আর সমাধিকারের কথা এদেশের মানুষ গ্রহন করে উদারচিত্তে এবং ইসলামের প্রতি তারা তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে। তাই প্রশাসনিক ক্ষমতা না থাকলেও , অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি না ঘটলেও এদেশের বাঙালিরা ইসলামকে হিন্দু ধর্ম থেকে শ্রেয় জ্ঞান করা শুরু করে এবং হয়ে উঠেন বাঙালি মুসলমান। কিন্তু সেখানেও রয়ে যায় দ্বন্দ্ব। নতুন বাঙালি মোসলমানের সংস্কৃতি , ভাষা কেমন হবে ?এদের ভিতর সমাজে ২ টা ভাগ দেখা যায়। একদল পুরোপুরি ১০০% মুসলমান হওয়ার পক্ষে শর্ত দিয়ে দেন যে বাংলা সংস্কৃত থেকে আগত ।এটা হিন্দুদের ভাষা । তাই ে ভাষা ত্যাগ করে আরবি ফার্সি গ্রহন করতে হবে। নতুবা মুমিন হওয়া যাবে না। অপরদল ছিল যারা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও ছিলেন নিজ বাঙালি পরিচয়ে গর্বিত। তারা মনে করতেন মুসলমান বাংলা ভাষা ব্যবহার করেই ভালোমত হওয়া যায়। এই দলের একজন ছিলেন সন্দ্বীপের কবি আবদুল হাকিম। যিনি বাঙালি ভাষা বিদ্ধেশিদের জারজ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন । কিন্তু এমন প্রগতিশীল লোকের সংখ্যা ছিল নিতান্তই কম। বেশিরভাগ লোক বাংলা থেকে আরবি ফার্সির প্রতি বেশি শ্রদ্ধাবোধ দেখানো শুরু করে । কিন্তু তবুও বাংলা ভাষা মুছে যায় নি। কারন সাধারন বাঙালিরা যে আরবি ফার্সি শিখবে সেই সামাজিক কাঠামো ছিল না আর তাদের সেই শিক্ষাও ছিল না । আর রাজভাষা ছিল ফার্সি। তাই দেখা যায় প্রশাসনিক কার্যাবলী চালানোর জন্য উচুবর্ণের হিন্দুরাই ফার্সি শিখে নিলেন। আর যেহেতু সাধারণ বাঙালি কোন প্রশাসনিক কার্যে নেই সেহেতু তাদের ফার্সি আরবিও আর শেখা হয় নি। মুসলমান শাসকেরা শুধু ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য সুরম্য মসজিদ, মাজার ি তৈরি করেছেন কিন্তু মুসলিম প্রজাদের জীবনমান আর সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কোন কাজ করেন নি। ফলে বাঙালি মুসলমান পড়ে যায় এক অদ্ভুত অবস্থায়। যেখানে তারা রাজধর্মের অনুসারী হয়েও তারা কোন ক্ষমতার স্বাদ পান নি।তবুও এই ইসলামিক ভাতৃত্তবোধের প্রতি তারা আস্থা হারান নি। তাদের মনে সবসময় কাজ করত সেই হাজার বছরের আর্যদের শোষণ আর তাদের থেকে প্রাপ্ত ঘৃণা আর লাঞ্ছনার ভয়। তারা তাই ইসলামের প্রতি আর বিদেশি ইসলামি শাসকদের প্রতি থেকে যান বিশ্বস্ত ।
আর এই বিশ্বাসের জোড়েই ১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তানের পক্ষে বিপক্ষে ভোট হয় তখন দেখা যায় পূর্ব বাংলার বেশিরভাগ মানুষ পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেয়। আর ভারতবর্ষে একমাত্র বাংলাতেই ছিল মুসলিম লীগের প্রাদেশিক সরকার । ফলে বলা যায় পাকিস্তান ছিল এই দেশের মানুষেরই আকাঙ্ক্ষা । তবে ১৯৫২ তে এই গণ্ডগোল আর ৭১ এ পাকিস্তান বিভাজনে বাঙালি কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠলো ?
আগেই বলেছি বাঙালিরা সবসময় যেই পক্ষে থাকলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া যায় সেই পক্ষেই গিয়েছে। আর তারপর যখন সে দেখল পাকিস্তানিরা তাদেরকে সেই আর্যদের মতই নিম্বশ্রেণীর হিসেবে দ্যাখে আর তাদেরকে তাদের ন্যায্য আর্থিক, সামাজিক আর রাজনৈতিক সুবিধার হিসসা থেকে বঞ্চিত করছে তখন তারা এই মুসলিম ভাতৃত্তবোধের প্রতি সন্দিহান হয়ে পড়ে। তারা খুজতে থাকেন নতুন কিছুর । নতুন কোন আশ্রয়ের। আর এই আশ্রয় হয় উঠে বাংলা ভাষা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ।
তাহলে মধ্যযুগে এই বাঙালি জাতীয়তাবাদের এই চেতনা গড়ে উঠেনি কেন ? এর উত্তরে বলতে হয় তখন বাঙালি কৃষিভিত্তিক সমাজ ছিল অশিক্ষা আর কুসংস্কারে জর্জরিত । তখনও তাদের মধ্যে "জাতীয়তাবাদ" এর মত একটি প্রগতিশীল ধারনাকে মানসিক ভাবে হজম করার ক্ষমতা গড়ে উঠে নি।কিন্তু ব্রিটিশ শাসনামলের সময় বাঙালী পুনরজাগরন ঘটে । বাঙ্গালির ভিতর "আধুনিকতা", "সাম্যবাদ" "জাতীয়তাবাদ" প্রভৃতি প্রগিতিশীল ধারণার জন্ম নেয়া শুরু করে। ইহা মূলত হিন্দু মধ্যবিত্তের মাঝে প্রথম ব্যাপকভাবে দেখা দিলেও এর প্রভাব কিছুটা পরে হলেও মুসলমান সমাজে পড়তে শুরু করে।
আর এই পরিক্রমা পূর্ণতা পায় যখন বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্তের বিকাশ ঘটে । আর এই বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্তের বিকাশের ফলেই পাকিস্তানের প্রতি বিমুখ হয়ে বাঙালী তাদের স্বার্থের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলা ভাষা তথা "বাঙালী জাতীয়তাবাদ " কে বেছে নেয় ।
বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলোন শুরুতে ছিল মূলত মধ্যবিত্তের আন্দোলন ।কারন শিক্ষিত মধ্যবিত্তই প্রথম বুঝতে পারে এই মুসলিম ভাতৃত্তবোধ একটা বায়বীয় ধারণা মাত্র। তাই দেখা যায় ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক আর ছাত্রসমাজ থেকে উৎসারিত । গ্রাম বাংলায় অশিক্ষিত সমাজের ভিতরে তখনো এটা তেমনভাবে জেগে উঠে নি।কিন্তু ধীরে ধীরে যখন পাকিস্তানিদের অত্যাচার আর লুটপাট আরও দৃশ্যমান হয় তাদের কাছে তখন তাদের ভিতরেও জন্ম নেয় সন্দেহ পাকিস্তানের প্রতি। তারা "বাঙালি জাতিয়তাবাদ" তাত্তিকভাবে হয়ত বুঝত না কিন্তু তারা শুধু এইটুকু বুঝত যে এই জিনিস ই হবে তাদের মুক্তির হাতিয়ার ।তাই মূলত মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজের প্রভাবে, পাকিস্তানিদের অত্যাচারের প্রতিক্রিয়ায় জন্ম নেয় প্রথমত ভাষা আন্দোলনের । পরে বাঙালি জাতীয়তাবাদের । যার জোরে স্বাধীন হয় পূর্ব বাংলা । সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের । তাই বলা যায় বাঙালীর এই হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য যতবার পক্ষ বদল করেছে ততবারই বঞ্চিত হয়েছে। শুধু তার একমাত্র ব্যতিক্রম হল বাংলা জাতীয়তাবাদ। ের মাদ্ধমেই বাঙালি সৃষ্টি করেছে তার ইতিহাসের সবচেয়ে অমর আর শ্রেষ্ঠ কীর্তি । স্বাধীন বাংলাদেশ। এখন অনেকে বলবে মানুষ ভালো নেই। তবু বলতে হবে এই বাংলাদেশেই বাঙালিরা তথা সাধারন বাঙালিরা আগের যেকোনো সময় থেকে সবচেয়ে বেশি ভালো আছে।তারা প্রশাসনিক ক্ষমতা পেয়েছে। হয়ত আমরা এখনো আশানুরুপ ফল পাই নি স্বাধীনতার। তবু সেটা আমাদের গলদ। পর্যাপ্ত সময় আর সঠিক নেতৃত্বে সেটা অর্জন করা যাবেই। কিন্তু আমাদেরকে মনে রাখতে হবে এই রাষ্ট্রের ভিত্তির কথা আর ঐক্যের কথা। এটি হবে একমাত্র বাংলা ভাষা আর এই জাতীয়তাবাদকে কেন্দ্র করে।
তাই আজকে যখন দেখি শহীদ দিবসে অনেকে বলছেন শহীদ মিনারে ফুল দেয়া পৌত্তলিকতা তখন আমি ভীত সন্ত্রস্ত হই। আতঙ্কিত হই।এইরকম কথা মূলত আবার সেই মুসলিম ভাতৃত্ববোধের প্রেতাত্মার অপলাপ ছাড়া কিছুই না। বাঙালিকে বুঝতে হবে তার অস্তিত্ব একেবারে ওতপ্রতভাবে বাংলা ভাষা আর জাতীয়তাবাদের সাথে জড়িত । আবার পালা বদল করলে সেই একই বঞ্চনা জুটবে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৭
পাঠক১৯৭১ বলেছেন:
"তাই আজকে যখন দেখি শহীদ দিবসে অনেকে বলছেন শহীদ মিনারে ফুল দেয়া পৌত্তলিকতা তখন আমি ভীত সন্ত্রস্ত হই। আতঙ্কিত হই।এইরকম কথা মূলত আবার সেই মুসলিম ভাতৃত্ববোধের প্রেতাত্মার অপলাপ ছাড়া কিছুই না। "
নিজের লেখা ধর্মের দোহাই দিয়ে গুহা-মানবেরা বাংলায় স্হান করে নিচ্ছে; এদের স্হান আফগান।