নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকার হদ্দ

আমার ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/pages/বোকার-হদ্দ/183449901736937

বোকার হদ্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় অনৈক্যের নেট ফল: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

গত সপ্তাহের শেষ দিকে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মধ্যে হঠাৎ উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ফলস্বরূপ ব্যাপক গোলাগুলির অবতারণা ঘটে। এতে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্য ল্যান্স নায়েক মিজানুর রহমান নিহত হন। নিহত মিজানুর রহমানের মরদেহ বিজিপি সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তার মরদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তারা কোন ধরনের কর্ণপাতই করেনি। পরে গত শুক্রবার তার মরদেহ ফিরিয়ে দিতে স্বীকার করলে যখন বিজিবি সদস্যরা সাদা পতাকা উড়িয়ে লাশ আনতে যায়, তখন আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বিজিপি বিজিবির উপর এলোপাথাড়ি ব্যাপক গোলাবর্ষণ করতে থাকে। এতে বিজিবিও পাল্টা গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে। ফলে উভয় বাহিনীর মধ্যে সৃষ্ট প্রচণ্ড গোলাগুলির কারণে উক্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের বসবাসকারীরা তাদের গৃহ ত্যাগ করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান গ্রহণ করে। টানা গোলাগুলির পর উভয় পক্ষই রণমূর্তিতে আবির্ভূত হয়।

ব্যাপক ভারী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তারা সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে। মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর কারণ জানতে চাওয়া হয় এবং একই সাথে কড়া হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করা হয়। পরবর্তীতে নিহত মিজানের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও সীমান্তের উত্তেজনা এখনো নির্মূল হয় নি। বাংলাদেশকে ভয় দেখাতে বঙ্গোপসাগরে মায়ানমার তিনটি যুদ্ধ জাহাজ অবস্থান নেয় বলে দেশীয় সংবাপত্র ও অনলাইন ম্যাগাজিনগুলোতে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সর্বত্র একটি উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। অনেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্যও আহ্বান করতে থাকে। অবশ্য বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সমস্যাকে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি আখ্যা দিয়ে তা সমাধান হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন।



কিন্তু এদিকে ‘বার্মা টাইমস’ নামের একটি অনলাইন সংবাদপত্র (যা পরে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে) ব্যাপক উত্তেজনামূলক কথা-বার্তা ছড়াতে থাকে। তারা ফলাও করে প্রচার করতে থাকে যে, শুক্রবারের গোলাগুলিতে বিজিবির নিক্ষিপ্ত শেলের আঘাতে ৪ বিজিপি সেনা নিহত হয়েছে। এর প্রতিশোধ হিসেবে বিজিপি বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে পার্বত্য অঞ্চল দখল করে নেবে। হতে পারে এই খবরের উৎসটি ভূয়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিন্তু মায়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে নিহত বিজিবি সদস্য পেট্রল টিমের সাথে সংযুক্ত ছিলেন না, বরং নিহত মিজানুর এবং আরেক জন অস্ত্রধারী অবৈধভাবে মিয়ানমার সীমান্তে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন। তাই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনী। এছাড়া মিয়ানমার সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে তারা কোনোভাবেই মিয়ানামারের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিষয়ে ছাড় দেবে না।



এদিকে মায়ানমার বাহিনীর আগ্রাসী ভূমিকাকে আমলে নিয়ে বিজিবি’র চট্রগ্রাম কমান্ডারও মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনীকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বিবিসির কাছে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মায়ানমারের বিজিপি অতন্ত আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সেই তুলনায় বিজিবি ছিলো আত্মরক্ষামূলক ভূমিকায়। তবে ভবিষ্যতে যদি মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনী এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায় তবে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।



এদিকে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা আপাতত প্রশমিত হলেও বিজিপির গুলিতে বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমান নিহত হওয়ার ঘটনায় কোন বিচার পাওয়া যাবে না বলেই মনে হয়। এমনকি ভবিষ্যতে বিজিপি যদি অনুরূপ ঘটনা ঘটায় তাহলে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কি হবে তাও পরিষ্কার নয়। হয়তো এবারের মতই সামান্য উচ্চ-বাচ্যের মধ্যে সীমিত থাকবে তাদের কর্মকাণ্ড।

এমনিতেই বাংলাদেশের তিন দিক দিয়ে ঘিরে থাকা পার্শ্ববর্তী বৃহৎ রাষ্ট্র ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর হাতে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছে। আজও ঝিনাইদহের মহেষপুর সীমান্তে রিপন হোসেন নামে এক যুবককে হত্যা করেছে বিএসএফ। এসবের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজিবির কর্মকাণ্ড শুধু লাশ উদ্ধারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এর বেশি কিছু বলা যায়না, কারণ তারা ঐক্যবদ্ধ এবং আমাদের চেয়ে শক্তিশালী। বাড়াবাড়ি করলে তারা আমাদের টুটি চেপেও ধরতে পারে। দখলও করে নিতে পারে আমাদের দেশ।



স্বাধীনতার ৪২ বছর পার হয়ে গেছে। এক নদী রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এদেশের স্বাধীনতা। অথচ আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ প্রতিবেশীদের হাতে হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের সাথে নতজানু হয়ে মেনে নিতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনাকে। মূলত আমাদের জাতীয় ঐক্যহীনতা, দলাদলি, হানাহানি কারণে দুর্বল হয়ে পড়ায়ই আমাদের এই দুরাবস্থার প্রকৃত কারণ।



এটা প্রাকৃতিক নিয়ম যে, দশজন ঐক্যবদ্ধ লোক একশত জন ঐক্যহীন লোকের বিরুদ্ধে বিজয়ী হবে। উন্নতি, প্রগতি ও সমৃদ্ধির পূর্ব শর্ত হচ্ছে একটি জাতির ঐক্য। পশ্চিমাদের শেখানো রাজনীতি এবং এদেশের ধর্মব্যবসায়ীদের ছড়িয়ে দেওয়া বিভেদের কারণেই জাতি আজ নানা ভাগে, নানা মতে বিভক্ত হয়ে আছে। এ কারণে একদিকে আমরা ঐক্যহীন হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছি, অন্যদিকে নিজেরা নিজেরা মারামারি, হানাহানি, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, গুম, খুন, অপহরণ ইত্যাদিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছি। কেউই আজ নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবতে পারছি না। সবার মনেই মৃত্যুর আতঙ্ক। কে কখন কার শিকারে পরিণত হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। অথচ এরই মধ্যে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা দেশের সম্পদ অবৈধভাবে পাচার করে বাড়ি-গাড়ি কিনছে বিদেশে। উপর তলার অধিকাংশ মানুষই সময় হলে যেনো বিদেশে পালিয়ে যাওয়া যায় সে জন্য অগ্রীম টিকেট কেটে রেখেছেন। আমাদের এই দুর্বলতার সুযোগে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোও আমাদের ভাগ-বাটোয়ারা করে খাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই গোপন ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত প্রকাশ না পেলেও তাদের মুখ থেকে ফসকে যেসব কথা মাঝে মধ্যে বেরিয়ে পড়ে তা থেকেই আমরা অনুমান করতে পারি আমাদের নিয়ে তাদের পরিকল্পনা কতদূর। তাদের ঘৃণিত ষড়যন্ত্রের কবলে আমাদের এই সবুজ-শ্যামল শস্যে ভরা দেশ আজ হুমকির মুখে। তাদের কেউ (ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির অন্যতম নেতা স্বামী সুব্রাহ্মমানিয়াম) বলে সিলেট থেকে খুলনা বরাবর দাগ টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা, কেউ বলে পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে যাবার কথা। এমনকি প্রায় এক দশক আগে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ে আলাদা ‘বঙ্গভূমি’ নামে একটি রাষ্ট্র গঠনে আন্দোলনের সূচনাও হয়েছিলো।

স্বাধীন একটি সার্বভৌম দেশ, যা নয় মাসের একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সেই জাতিই আজ স্বাধীনতার ৪৩ বছরে এসে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে। আমাদের ভূ-খণ্ড দখল করে নেওয়ার মত এই দুঃসাহস এরা পায় কোথায়? আসলে দুঃসাহস আমরাই তাদেরকে যুগিয়ে দিয়েছি। ক্রমাগত নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে ষোল কোটি মানুষের বত্রিশ কোটি পরিশ্রমী হাত থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মর্যাদাটুকুও তাদের কাছে পাচ্ছি না। প্রতিনিয়ত আমরা আতঙ্কে থাকি কখন কোন চিল এসে মুরগির বাচ্চার মত আমাদেরকে ছোঁ মেরে নিয়ে যায়, পাখির শিকারের মত আমাদের নাগরিককে হত্যা করা হয়, আমাদের ফেলানীর গুলিবিদ্ধ লাশ ঝুলে থাকে কাঁটাতারের বেড়ায়। আমাদের উপর এ অন্যায় চালাতে তারা বিন্দুমাত্র ভয় পায় না। আমরা যেন তাদের বন্দুকের টার্গেট অবজেক্ট।



দুঃখজনক এই যে, এই যখন আমাদের অবস্থা তখন আমাদের নেতারা ব্যস্ত আছেন ফরমালিন রাজনীতি নিয়ে। ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি এখানেও। রোম নগরী যখন পুড়ে যাচ্ছিলো তখন সম্রাট নিরো নাকি বাঁশি বাজাচ্ছিলেন! আর আমাদের নেতারা কে কাকে ফরমালিন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন তা নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করছেন। পুরো জাতিকে ফরমালিনে ডুবিয়ে, বিষাক্ত খাবার খাইয়ে তারা নিশ্চিন্তে রাজধানীতে বসে আছেন।



ওদিকে সীমান্ত প্রহরীদেরকে খুন করে লাশ নিয়ে যাচ্ছে বার্মিজ সীমান্তরক্ষীরা। বিএসএফ গুলি করে মেরে ফেলছে শত শত রিপন হোসেনদের। উলঙ্গ করে পেটানো হচ্ছে হাবিবুর রহমানদের। আবার তা মোবাইল ফোনে ভিডিওও করা হচ্ছে। এদেরকে প্রমাণ করা হয় গরু চোর। এমনটাই হয়। জেরুজালেমের খ্রিস্টান পণ্ডিতরা যখন ঈসা (আঃ) এর প্রস্রাব ও পায়খানা পবিত্র না অপবিত্র তা নিয়ে কনফারেন্স আয়োজন করে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলো তখন নাকি মুসলিম বাহিনী আক্রমণ করে তাদেরকে পরাজিত করে। আজ আমাদের মধ্যেও এমনি মতভেদ, অনৈক্য, দ্বন্দ্ব-সংঘাত। আর এর ফল পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীদের এ জাতীয় আচরণ। তারা আমাদেরকে সামান্যতম মূল্যায়নও করে না। তাই আমরা পুরো জাতিসুদ্ধ তাদের হাতে আক্রান্ত হলে কয় মিনিট টিকতে পারবো তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সুতরাং এই মুহূর্তে এ সকল মেরুদণ্ডহীন দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদেরকে বিদায় করে জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ না হয় তবে ভবিষ্যতে আমাদের রাষ্ট্র, প্রিয় বাংলাদেশ টিকে মর্যাদা নিয়ে থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪১

পংবাড়ী বলেছেন: বাংলাদেশের অবস্হানের ফলে, ও জাতির মানসিকটার কারণে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কখনো হুমকির মুখে; আপনার মত দুর্বলেরা সব সময় কাঁপতে থাকবেন।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪২

পংবাড়ী বলেছেন:


"তাই আমরা পুরো জাতিসুদ্ধ তাদের হাতে আক্রান্ত হলে কয় মিনিট টিকতে পারবো তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। "


-আপনি ১ মিনিট টিকবেন।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:০১

াহো বলেছেন:

মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশের এক সীমান্ত রক্ষীর নিহত হওয়া ও তার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনার পরেই আলোচনায় উঠে আসে বার্মা টাইমস নামের একটি ওয়েবসাইট। হঠাৎ করেই রহস্যজনক নানা সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে এ ওয়েবসাইটটি থেকে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বারবার আলোচনায় আসে বার্মা টাইমসের নাম। কারা এই বার্মা টাইমস? কারা তাদের প্রতিবেদক? কাদের উস্কে দেয়ার জন্য এসব সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে?

বার্মা টাইমসের উৎপত্তি খুঁজলে পাওয়া যায় বেশ রহস্যজনক কিছু তথ্য। সেখানে দেখা যায় মোহাম্মদ ইব্রাহীম নামের এক ব্যক্তি বার্মা টাইমস ডট নেট নামের ওই ডোমেইনটি কেনেন ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। প্রতিষ্ঠানের নাম হিসেবে এসেছে বাংলাটাইমস ডট কম ডট বিডি, যাদের কার্যালয়ের ঠিকানা দেয়া হয়েছে ঢাকার কাজীপাড়ায়। আর মোহাম্মদ ইব্রাহীম তার ঠিকানা হিসেবে দিয়েছেন জার্মানির একটি শহরের নাম। টেলিফোন নম্বরও দেয়া হয়েছে জার্মানির

আর বিভ্রান্তিকর তথ্য সংবলিত ও রহস্যজনক এই ওয়েবসাইটটি হঠাৎ করে তাজা হয়ে উঠেছে। হালনাগাদ হচ্ছে নিয়মিত। মূলত বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পরপরই তাজা হয়ে ওঠে বার্মা টাইমস। প্রকাশ হতে থাকে উস্কানিমূলক তথ্যেপূর্ণ কিছু সংবাদ।

বার্মা টাইমসের সূত্র ধরেই পাওয়া যায় বাংলা টাইমসের নাম, বাংলা ভার্সনে যাদের সর্বশেষ সংবাদ ‘ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাই: ৮ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড।’



এ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় নামসর্বস্ব এই নিউজপোর্টালটি একেবারেই হালনাগাদ করা হয় না। এর সম্পাদকের নাম দেয়া রয়েছে সোহেল চৌধুরী। যোগাযোগের জন্য ঠিকানা দেয়া হয়েছে- বাসা: ৫৬২, গ্রাউন্ড ফ্লোর, পূর্ব কাজীপাড়া, ঢাকা ১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইল ঠিকানা দেয়া রয়েছে- [email protected]

আবার বাংলাটাইমসের মূলপাতা থেকেই পাওয়া যাচ্ছে ইব্রাহীম নামে একব্যাক্তির টুইটার অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক। ওই অ্যাকাউন্টের টুইটগুলো পর্যবেক্ষণ করে এ কথা মনে করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে যে, এই ইব্রাহীমই সেই মোহাম্মদ ইব্রাহীম, যিনি জার্মানি থেকে ২০১৩ সালে বার্মা টাইমস ডোমেইনটি কিনেছিলেন।

ওই টুইটার অ্যাকাউন্টে ইব্রাহীমের পরিচয়ে দেয়া রয়েছে তিনি একজন রোহিঙ্গা অ্যাকটিভিস্ট। ঠিকানা দেয়া রয়েছে- জার্মানি।

এসব বিষয় বিবেচনায় এনে একথা স্পষ্ট যে, বার্মা টাইমস, বাংলা টাইমস ও মোহাম্মদ ইব্রাহীম একই সূত্রে গাঁথা এবং তার সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুও সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পর হঠাৎ উৎসুক হয়ে ওঠা বার্মা টাইমস ও তাদের বিশেষ ধরনের সংবাদ প্রকাশের প্রবনতা থেকে ওই গোষ্ঠীর বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

এদিকে ৩০ মে বার্মা টাইসম প্রকাশ করে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লড়তে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ‘বার্মিজ ইউনাইটেড আর্মড ইউনিট’ (বিইউএইউ)। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল দল সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে সামনে এগোলে তা মোকাবিলা করতে ভালোভাবেই প্রস্তুত। বার্মিজ সেনাবাহিনীর একজন মেজরের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ‘বার্মা টাইমস’।

তবে নিরাপত্তার কথা জানিয়ে তারা ওই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেনি। ওই মেজর বলেন, ‘বার্মা-বাংলাদেশ সীমান্তে বিইউএইউকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে মিয়ানমার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং টাটমাডাও (সেনাবাহিনী) টেকনাফ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত দখল করে নেয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ!’

অবশ্য বার্মা টাইসে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক।

বাংলামেইল২৪ডটকম/ এনএফ

বন্ধ বার্মা টাইমস ফের চালু
« আগের সংবাদ
পরের সংবাদ »


Click This Link

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:০২

াহো বলেছেন:
বার্মা টাইমস নামে খবর মিথ্যা
burmatimes.net
একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট. আপনি ওয়েবসাইটে যে কোনো নামে খুলতে পারেন জাপান / ইউএসএ টাইমস .
whois রেকর্ড থেকে, এই ডোমেন সেপ্টেম্বর 2013 নিবন্ধিত
Registrant Organization: Banglatimes.com.bd
Creation Date: 04-Sep-2013
whois record check bd time 0500hours 03 June 2014

প্রথম পাতা --মানবজমিন 03 June 2014
বার্মা টাইমস-এর খবর
পার্বত্য চট্টগ্রাম দখলে নেয়ার প্রত্যয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.