![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনৈতিক দলগুলোর একগুয়েমির কারণে চরম সংকটে পতিত হয়েছে দেশ। বিবদমান দুটি পক্ষই এখন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে। ক্ষমতা ধরে রাখা এবং ক্ষমতা দখলের অনড় অবস্থানে রয়েছে তারা। কেউ কাউকে সামান্যতম ছাড় দিতে রাজি নয়। বরং যে কোন উপায়ে তারা একে অপরকে নির্মূল করতে বদ্ধ পরিকর। দ্বন্দ্ব সৃষ্টি এবং সেই দ্বন্দ্বকে বাড়াতে বাড়াতে তারা এখণ এমন একটা অবস্থানে পৌঁছে গেছে তারা কেউ এখন অন্যকে ছাড় দেওয়ার অবস্থানে নেই। তাদের মনোভাব ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী’। বৈদেশিক শক্তিগুলোও অতীতে চেষ্টা করে বিফল হয়ে যাওয়ায় তারাও এদেশ নিয়ে আর ততটা আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। তাছাড়া এটা এদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে তাদের হস্তক্ষেপের সুযোগও কম। তাই নিকট ভবিষ্যতে রাজনীতিকদের মধ্যে কোন ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনাও একেবারেই ক্ষীণ। তাদের একের প্রতি অন্যের অবিশ্বাস, সন্দেহ সৃষ্টি হয়ে গেছে। এই অবস্থায় দেশ যত দিন পার করবে ততই সংকটের মাত্রা বাড়তে থাকবে। চলমান অবস্থা এভাবে আর কিছু দিন চলতে দিলে তাদের মধ্যে যদি গৃহযুদ্ধও শুরু হয়ে যায় তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। এর জন্য মারাত্মক ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হবে এদেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকেই।
আর একবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে দেশ ধ্বংসের মুখে পতিত হবে।
এর মানে হচ্ছে ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা লাভের যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র হাতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাখে লাখে প্রাণ দিয়েছিল, জীবনের বাজি রেখে দীর্ঘ নয় মাস অসম লড়াই করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল তার পরাজয়। পরাজয় হবে অপার সম্ভাবনাময় সুজলা-সুফলা এই দেশটির। এমতাবস্থায় এদেশের সকল দেশপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ, চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডাক্তার, আইনজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে স্বাধীনতা রক্ষার আরেকটি বড় সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এদেশকে নিরাপদ করে তোলা। আগেই বলা হয়েছে বর্তমান রাজনীতিবিদগণ আমাদেরকে একটি দ্বন্দ্ব-সংঘাতহীন শান্তিময় একটি দেশ উপহার দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আরো বেশিদিন তাদের উপর ভরসা করলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য। তাই এখন দেশপ্রেমিক জনতাকে আর বসে থাকলে চলবে না।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫২
বোকার হদ্দ বলেছেন: তা ঠিক। কিন্তু স্রষ্টার দেয়া স্বাভাবিক আয়ু পর্যন্ত বাচার জন্য একটা উপায় বের করা দরকার।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এখন দরকার জনতার বিপ্লব ।।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫২
বোকার হদ্দ বলেছেন: কাকে সামনে রেখে বিপ্লব করা যায় পরিবেশ বন্ধু?
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫০
নিলু বলেছেন: আমরা যে দ্বিধা বিভক্তে , নিজে বাঁচলে বাপের নাম ?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
বোকার হদ্দ বলেছেন: দ্বিধা-বিভক্তিকে দূরে সরাতে না পারলে যে নিজেও বাচতে পারবেন না।! আর তাছাড়া বাপের কথা বাদ দিলাম, সন্তান-সন্তুতির কী হবে?
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
আমার পথ চলা ১ বলেছেন: মহান নেতা নেলসন মেন্ডেলার পথ অনুসরন করাই বর্তমানে শ্রেয়। তা হল - বাইরের শত্রুর সাথে যুদ্ধ শেষ হয়, কিন্তু ঘরের যুদ্ধ চলে অনন্তকাল। বুঝতে হবে যে, ম্যান্ডেলার মত সাদা-কালো সবাইকে নিয়েই আমাদেরকে এদেশে বসবাস করতে হবে। ম্যান্ডেলার ফর্মুলা অনুযায়ী সব দলকে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে, কারণ এরা অন্য দেশে যাচ্ছে না। একই ভাবে শিবসেনা, বিজেপি, কংগ্রেস, হিন্দু মহাসভাকে নিয়েই ভারতের রাজনীতি। (১৯৯১ সালে মেন্ডেলা পশ্চিমে এসে পশ্চিমাদের সহায়তা ব্যাপক লবির মাধ্যমে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখে বর্ণবিদ্বেষীদের পতন ঘটিয়েছিলেন। এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই সাদা-কালোদের সম্মানজনক সহাবস্থান তৈরী করে দেশ গঠনে অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত রেখে জাতিকে অনিবার্য গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচিয়ে দিলেন ম্যান্ডেলা। বর্তমানে বাংলাদেশে ম্যান্ডেলার ফর্মুলার বিকল্প নেই)।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫২
আহ্নিক অনমিত্র বলেছেন: তখন জনগণের ইয়ে দিয়ে বাঁশ দেবে !
আর কি ! এখন বিএনপি করছে , বিএনপিকে বানিয়ে দেয়া হচ্ছে দেশদ্রোহী , সন্ত্রাসী , এই সে !
মানুষ করতে শুরু করলে ওই একই লেবাস পরিয়ে দেয়া হবে !
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে,প্রশ্নটি এসে যাচ্ছে।। আমিতো পারবো না।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৫
গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ও তার জনগনের যে দুর্দশা তাতে নিজেদেরকে স্বাধীন জাতি মনে করতে কষ্ট হচ্ছে ।