![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নাই! আমি নাই! আমি আমাতে নাই!
-আবছার তৈয়বী
আমি নাই! আমি নাই! আমি নাই! আমি আমাতে নাই। আমি হারিয়ে গিয়েছি। আমাকে আজকে আর আপনারা খুঁজে পাবেন না। কী- আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না? যদি বিশ্বাস না হয়- তাহলে আপনার হাতের কাছে থাকা মাউসটা দিয়ে নিচের লিঙ্কটাতে একটা ক্লিক করলেই তো হয়! অথবা আপনার হাতে থাকা এন্ড্রয়েড মোবাইলটাতে শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে একটা গুঁতো দিলেই হয়! আমার কথা বাদ দিন। আপনাদের নিজ নিজ হৃদয়টা নিয়ে চিন্তা করুন। আগে আপনাদের বলেছিলাম- দু’চোখ বন্ধ করতে। আজ বলবো- আপনার দু’চোখ উম্মীলিত রাখুন আর প্রাণভরে দেখতে থাকুন আপনার স্ক্রিনে ভেসে থাকা প্রাণকাড়া সেই ‘সবুজ গম্বুজ’। তবে খবরদার! কেউ কাঁদবেন না। কারণ এই না’ত শরীফটি লেখার সময় আমি কেঁদে কেঁদে লিখেছি। শুনার পরও কাঁদছি। যতোবার শুনবো ততোবার কাঁদবো। আমি আজ আরো কাঁদতে চাই। আপনাদের চোখের সব অশ্রুগুলি আমায় একদিনের জন্য ধার দিন। আমি কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাই। আর আমার অপবিত্র চোখগুলোকে আমার কামলিওয়ালার স্মরণের পানি ঝরিয়ে পবিত্র করে তুলি।
পূর্বকথা: ‘রিয়াজুল জান্নাতে’ বসে আছি- উস্তুনে আয়েশার (রা.) পাশে। বাম দিকে গর্দান ফিরিয়ে এক নয়নে দেখছিলাম- আমার কামলিওয়ালার পবিত্র রওজা পানে। হঠাৎ ‘ঘোমটাওয়ালা মুতাওয়ার’ নজর পড়ে আমার ওপর। ওই খবিসটা পদ্মাসনে বসে চোখমুখ কড়মড় করে বললো: ‘লেইশ শূপ হেনাক? শূফ ইলাল ক্বিবলা’ (এদিকে কেন দেখছো? কিবলার দিকে তাকাও) । নবীর দরবারে উঁচু স্বরে কথা বলা যায় না। বললে সব আমল ‘বরবাদ’ হয়ে যায়। (সূরা হুজুরাত- আয়াত: ২) এই খবিস লোকটার ব্যবহারে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। সেই ঘটনা মনে হলে আজো ‘কষ্টে নীল’ হয়ে যাই। বেয়াদবির ভয়ে কোনরূপ উচ্চবাচ্য না করে চোখের জল ফেলেছিলাম সেদিন। আর কামলিওয়ালাকে আরজ করেছিলাম: ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার দরবারে এ কেমন ব্যবহার! হে আল্লাহর নবী (দরুদ)! আমি কী দোষ করেছি? এই লোক কেন আমায় আপনার রওজার দিকে তাকাতে দেয় না? আর কতোদিন এই নজদীদের জুলুম সইতে হবে আমাদের? পরে আসার দিন প্রাণভরে দূর থেকে পবিত্র সবুজ গম্বুজ দেখে দেখে আমার কামলিওয়ালাকে সালাত ও সালাম দিয়ে সেই ক্ষতে মলম লাগিয়েছিলাম।
প্রেক্ষাপট: মাসখানিক আগে একরাতে আমরা কয়েকজন বন্ধু অনলাইনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। রাত তিনটা। কে কে ছিলেন পুরো মনে নেই। সম্ভবত ওমানের আমার বেয়াই জনাব জিএম আকবর খান ও জনাব ওহান হাসান সাহেব, দুবাইর শামীম ভাই ও মাসুদভাই, আল আইনের মুনীর ভাই, সৌদি আরবের বোরহান ভাই, মুহতারাম সৈয়দ আলাউদ্দীন ভাই ও মুহতারাম সুলতান মাহমুদ ভাইসহ আরো কয়েকজন অনলাইন বন্ধু ছিলেন। বোরহান ভাই রসিকতা করে একটা কথা বললেন। আমি আর শামীম ভাই লেগে গেলাম কাব্য রচনায়। ওটা আমি শামীম ভাইকে দিতে চাই। শামীম ভাই পারলে আমার গলায় বেঁধে দেন। প্রিয় বোরহান ভাইয়ের কথায় সেই কাল্পনিক জিনিসটাকে নিয়ে ভ্রমণে বের হলাম। বাংলদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, ইরান, ওমান ও আরব আমিরাত ইত্যাদি পরিভ্রমন করে (কাব্যে) সৌদি আরব যাই। ওমরা করি। এরপর যখন মদীনার দিকে রওনা দিলাম তখন কয়েক বছর আগের ওই খবিস ‘নজদী মুতাওয়া’র ঘটনাটি মনে পরে যায়। কাল্পনিক বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে আমার কামলিওয়ালার শানে হৃদয়ের আকুতি দিয়ে লিখে ফেললাম এক অনবদ্য না’ত শরীফ। যা আপনার এখন শুনছেন। প্রিয় বোরহান ভাই ও শামীম ভায়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। ‘আই লাভ ইউ’- বোরহান ভাই! আপনি ভ্রমণে বের হতে বলায় এই না’ত শরীফটি লিখতে পেরেছি। আপনি ও আপনার সেই কাল্পনিক বিষয়টার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা
https://www.youtube.com/watch?v=ONZ03Wvw3vk&feature=youtube_gdata_player
প্রিয় বন্ধুগণ! আজ আমার জন্য দোয়া করার দরকার নেই। আপনাদের দোয়ার আমার অংশ আমি আমার ‘হৃদয়ের নতুন মেহমান’ সেই নাঁত খাঁ ভাইটির জন্য উৎসর্গ করলাম। যিনি আমার এ না’তখানিকে তাঁর অনুপম কন্ঠে তুলে নিয়ে ‘অমর’ করে দিয়েছেন। মদীনার সবুজ গম্বুজকে সাক্ষী রেখে আমার সাথে তার কথা হয়েছে- ‘আমি তার জন্য লিখবো আর তিনি আমার জন্য গাইবেন’। আমি তার হৃদয় জয় করতে পেরেছি কি-না জানিনা। কিন্তু বিশ্বাস করুন- তাঁকে আমি আমার হৃদয়ে সামান্য জায়গা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি করলেন কী জানেন? আমার পুরো হৃদয়টা দখল করে বসে আছেন। এখন আপনারা আমাকে বলুন- কারো পুরো হৃদয়টা যদি অন্যের দখলে চলে যায়, তার আর থাকে কী? আমি পুরোটাই ফতুর হয়ে গেছি। তাই আমি নাই! আমি নাই! আমি আমাতে নাই! ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইকা ওয়া আলিকা ওয়া সাহবিকা ওয়াসাল্লাম! আপনি আমাকে আর আমার না’ত ভাইটিকে কবুল করুন! আমার কলমে শক্তি দিন! ভায়ের কণ্ঠে বরকত দিন। আমিন! (দয়া করে কেউ শায়ের ভাইটির নামটি জানতে চাইবেন না। না’তের লীরিক্স কমেন্ট বক্সে দেখুন।)
বি.দ্র: এই না’ত শরীফটির ৩টি সূর আছে। মাত্র একটি সূরে গাওয়া হলো। বাকি ২টি সূরেও গাওয়া হবে- ইনশাআল্লাহ্। যে কেউ এই না’ত শরীফটি গাইতে পারবেন এবং প্রচার করতে পারবেন। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে এর মুদ্রণ, প্রকাশ এবং ভিডিও অডিওতে ধারণ সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ।
আবছার তৈয়বী: প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক,‘উজ্জীবন’ সাংস্কৃৃতিক সংস্থা (উসাস)।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস)- দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।
তারিখ: ২রা মুহররম, ১৪৩৭ হি.
মোতাবেক: ১৫ অক্টোবর, ২০১৫ খৃ.
সময়: বা’দে ইশা।
আবুধাবি, ইউ.এ.ই
https://www.youtube.com/watch?v=ONZ03Wvw3vk&feature=youtube_gdata_player
©somewhere in net ltd.