![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রিজিকভূমির জন্মদিন- শুভেচ্ছা মোর সারাদিন
- আবছার তৈয়বী
প্রথমেই আমি ইউ.এ.ই’র মহামান্য প্রেসিডেন্ট সাহিবুসসুমু আশশেখ খলিফা বিন যায়েদ আল নাহিয়ান, ইউ.এ.ই'র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধামন্ত্রী এবং দুবাইর শাসক সাহিবুসসুমু জেনারেল আশশেখ মুহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতূম, এবং আবুধবির যুবরাজ, ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার অব ইউ.এ.ই আর্মস ফোর্সেস সাহিবুসসুমু আশশেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং আমিরাতের সকল প্রদেশের মাননীয় শাসকবৃ্ন্দ ও ইউ.এ.ই'র সর্বস্তরের জনগণ এবং সকল দেশের অভিবাসীদের ইউ.এ.ই’র স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অশেষ শ্রদ্ধা, আন্তরিক অভিনন্দন ও অফুরন্ত ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আল্লাহ্ ইউ.এ.ই'র নেতৃবৃন্দের হায়াতে বরকত দান করুন। সকল বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করুন। দেশের জনগণ, ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে তাঁদেরকে কাজ করার তাওফিক দিন! আমিন!
আজ আমার দ্বিতীয় মাতৃভূমির জন্মদিন। আমার সম্মানিত পাঠকরা চোখ কপালে তুলে বলবেন- মাতৃভূমি আবার ২টা থাকে নাকি? কথা সত্য। হ্যাঁ, ২টা মাতৃভূমি থাকে না। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাকে যে স্নেহ দিয়েছে, মায়া দিয়েছে, মমতা দিয়েছে, অন্ন দিয়েছে, নিরাপত্তা দিয়েছে, ভালোবাসা দিয়েছে- তাকে আমার মাতৃভুমির মতোই মনে হয়। আমি পাগল মানুষ। মনের ওপর জোর খাটাতে পারি না। আমার মন যদি কাউকে ‘মা’ ডাকতে বলে আমি তাঁকে ‘মা’ই ডাকি। আর অন্য কারো মাকে ‘মা’ ডাকলে আমার জম্মদাত্রী ‘মা’ বরং খুশিই হন। আমার সহজ-সরল মা সব সময়ই বলে থাকেন- ‘বেটা! তোমাকে আমি জম্ম দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু তুমি আমার একার সন্তান নও। তুমি বাংলাদেশের প্রতিটি মায়ের সন্তান। তুমি এমন কোন কাজ করবে না- যেন দুনিয়া-আখিরাতে আমাকে লজ্জিত হতে হয়। তোমার মায়ের অসম্মান হয়।‘ আমি মাকে ভালোবাসি। মায়েদের ভালোবাসি। কিন্তু মায়ের সব কথা কি আমি রাখতে পারি? পারি না। একটু এদিক-ওদিক হলেই কেমনে জানি আমার মায়ের জানা হয়ে যায়। পরদিন প্রথমে বুঝাবেন, না বুঝলে বকা দেবেন, তারপরও না শুনলে অভিমান করবেন। আমি মনে করি- প্রতিটি মা-ই এ রকম। ঠিক আমার মায়ের মতো। মায়েদের অন্তরের ‘টেলিপ্যাথী’ মেশিনটা সব সময় সন্তানদের জন্য ‘অন’ থাকে। কোন সন্তানের শোকে, দুঃখে মায়ের অন্তরেই আগে খবর হয়, মনটা উটাচন হয়।
মায়ের কোল সব সময় সন্তানের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। কিন্তু আমার মাতৃভূমিতে, প্রিয় বাংলাদেশে মায়ের কোলে নয়- মাতৃজঠরেও সন্তান নিরাপদ নয়। এইতো সেদিন মায়ের পেটে গুলি করলো কোন এক হারামী। সেই গুলি মায়ের পেট ভেদ করে গিয়ে লাগে মায়ের গর্ভে সুরক্ষিত সন্তানের গায়ে। না, সন্তানের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয় নি। কেন জানেন? মায়ের ভালোবাসার জন্য। পৃথিবীতে এমন কোন গুলি এখনো আবিষ্কার হয়নি- যেটি মায়ের ভালোবাসা ছিন্ন করতে পারে। আমি আশ্চর্য হয়ে ভাবি- আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা মায়েদের ভেতরে কত ভালোবাসা দিয়েছেন! কত কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দিয়েছেন! সুবহানাল্লাহ্! ভাবতেও অবাক লাগে। যখন কোন সন্তান তার নিজ জম্মদাত্রী মা-কে কষ্ট দিতে দেখি, মা-কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে দেখি, মা-কে রাস্তায় ফেলে চলে যেতে দেখি, মা-কে যেন-তেন ভাবে ফেলে রেখে বউকে নিয়ে ‘মৌজ’ করতে দেখি এবং মা-কে প্রহার করতে দেখি- তখন আমার ইচ্ছে করে ওই কুলাঙ্গার সন্তানটির বুকটা ছিঁড়ে কলিজাটা বের চিবিয়ে চিবিয়ে খাই। আরে কমবখত! মাকে কষ্ট দাও কী জন্য? মা তোমার বেহেশত- মা তোমার দোজখ। তুমি নিজের মাকে কষ্ট দিচ্ছ তো তুমি অন্যের মাকে সম্মান দিবে কীভাবে? মাতৃভূমিকে ভালবাসবে কীভাবে?
যেটি বলছিলাম- নিরাপদ আশ্রয়ের নাম যদি মায়ের কোল হয়, আলহামদু লিল্লাহ্! আমি আমার মায়ের কোলে নিরাপদেই আছি। হ্যাঁ, দ্বিতীয় মাতৃভুমিতে বেশ নিরাপদেই আছি। এখানে আমার ব্যবসায় কেউ জোর করে চাঁদা নিতে আসে না। কোটি টাকা নিয়ে একাকী রাজপথে চললেও কেউ ছিনিয়ে নিতে আসে না। দিন-দূপুরে নয়- রাতের অন্ধকারেও কেউ বুকের ওপর পিস্তল ঠেকিয়ে বলে না- ‘যা আছে তা বাইর কর্- নইলে পিতলের বড়ি খাওয়াই দিমু’। এখানে কেউ ছোরা মেরে পালিয়ে যায় না, যেতে পারে না। পৃথিবীতে ২৬৭ টি দেশের মধ্যে সবচেয় নিরাপদ দেশ হলো- ‘সংযুক্ত আরব আরব আমিরাত’। সৌদি আরব থেকেও বেশি নিরাপদ, হ্যাঁ মহাশক্তিধর ‘এ্যম্রিকা’ খেকেও বেশি নিরাপদ। তাছাড়া আমার ক্ষুদ্র জীবনের একটি বিরাট অংশ পরবাসী হিসেবে এই দেশেই অতিবাহিত করেছি। সে হিসেবে এটি আমার দ্বিতীয় মাতৃভূমি। সবচেয়ে বড় কথা- এখানে যে কোন মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় কর্তাটির কাছে অনায়াসে যাওয়া যায়, তাঁকে ডাইরেক্ট সংশ্লিষ্ট সমস্যার কথা বলা যায়। আমাদের দেশে যা কল্পনাও করা যায় না। আমি নিজেই আমার পাসপোর্ট নবায়ন করতে গিয়ে যখন ডাইরেক্টরের সাথে কথা বলতে চাইলাম, তখন অফিস বয় চোখ কপালে তুলে জিজ্ঞেস করলো- আপনার সাহস তো কম না! আপনি ডাইরেক্টরের সাথে কথা বলবেন!? ওই ঘুষখোর অফিসবয় এমন ভাব দেখালো যে, আমি 'দেখা করার কথা' বলে বড় ধরনের অপরাধ করেছি! আমাদের বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে ভেতর থেক মেজর পদবির এক সামরিক কর্তা বেরিয়ে আসলেন এবং আমার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলেন, আমি তাঁকে বিস্তারিত খুলে বললাম। তিনি ওই অফিসবয়কে বললেন- ’এই! ওনাকে ডাইরেক্টর সাবের কাছে নিয়ে যাও’। অফিসবয় কাচু-মাচু করে বলল- আপনি মেজর স্যারকে বললেন কেন? না বলে কী করতাম- তোমাকে ঘুষ দিতাম? সে লজ্জিত হয়ে বললো- অমুক দরোজা দিয়ে আসুন। ডাইরেক্টর মহোদয় বেশ ভদ্রলোক। তিনি এক মিনিটেই আমার সমস্যাটি সমাধান করে দিলেন।
আমি যেহেতু ছাপোষা মানুষ- সেহেতু ছুটিতে গেলে কোন বড় অফিসের কর্তাবাবুদের কাছে ধর্না দিতে হয় না। কিন্তু প্রতিবার যাওয়া আসার সময় এয়াপোর্টে আমার 'ঝগড়া করা' ললাট লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এয়ারপোর্টের ট্রলিম্যান-দারোয়ান থেকে শুরু করে বড় কর্তাটি পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীদের কুলি-মজুরের চেয়ে বেশি মর্যাদা দিতে চান না। মুখে দাঁড়ি আর মাথায় টুপি থাকলে তো আারো বেশি সমস্যা। একটি স্বাধীন দেশে, আমার নিজের মাতৃভূমিতে কেন এমন হবে? এখানে আপনি হালাল পথে যা উপার্জন করতে পারেন- তা কেড়ে নেওয়ার কেউ নেই। আর আমাদের দেশে আপনার উপার্জন কেড়ে নিতে বা ছলে-বলে কৌশলে হাতিয়ে নিতে ১৭ জন লোক ওঁৎ পেতে থাকে। কেনরে বাবা! তোমরাও খাও তবে কাজ করে খাও। পরধনে এত্তো লিপ্সা কেন ভাই? তোমরা নিজেরা নিজে না শুধরালে আইন-কানুন ও পুলিশ দিয়ে কতক্ষণ শোধরানো যায়? আমাদের দেশের পুলিশের কথা কী আর বলবো? পুলিশ যে সত্যিকার অর্থে ‘জনগনের বন্ধু’- তা ইউ.এ.ইতে না আসলে বুঝতামই না। আমাদের দেশের পুলিশও বন্ধু। তবে জনগণের নয়- সরকার ও সরকারি দলের। যে সরকার ক্ষমতায় থাকে- পুলিশ সে সরকারের ‘লাঠিয়াল’ হয়। সরকার কাউকে ধরে আনতে বললে ওরা বেঁধে নিয়ে আসে। বেঁধে আনতে বললে পিটিয়ে পিটিয়ে ‘ওমানী হালুয়া’ বানিয়ে নিয়ে আসে। আমি এই পুলিশ কর্তৃক সব সরকারের স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর মাথা ফাটাতে দেখেছি। মাত্র ক’দিন আগে স্যার স্যার করে পুলিশের সবচেয়ে বড় কর্তাটি মুখে ফেন তুলতেন- তার সবচেয়ে নিম্মস্তরের সহকর্মীটি যখন খোদ স্বরাস্টমন্ত্রীর মাথার ‘লালরস’ বের করে ফেলে, মাতিয়া চৌধুরীর মতো নেত্রীকে যারা রাজপথে পিটিয়ে শুইয়ে দিতে পারে, বড় দুই দলের সবচেয়ে বড় দুই নেত্রীকে টেনে-হেঁচড়ে মুরগীর ছানার মতো নিয়ে যেতে পারে- তাদের কাছে আমার-আপনার নিরাপত্তা কতটুকু- তা একবারও কি ভেবেছেন? আরে ভাই! বড় দুই দলের বড় দুই নেতাদের অন্তত সম্মান দিন। কারণ, বাংলাদেশে তাঁদের কোটি কোটি ফলোয়ার আছেন। সে হিসেবে ‘লুকিং ফর শত্রুজ’ খ্যাত বাবর মিয়ার ভাগ্যটা ভালোই! মাথা ফাটার আগেই সোজা শ্রীঘরে! এমন নসিব কয় জনের হয় বলুন? কোন অপরাধী অপরাধ করলে বিচারে তার জেল-জরিমানা বা ফাঁসি যা হবার হবে। তার আগে তোমরা ইয়া মোটা লম্বা ডান্ডা দিয়ে পিটিয়ে জ্যান্ত মানুষকে 'আধমরা' করার বিধান তোমাদের কোন বইয়ে লেখা আছে? চাচাকে এয়ারপোটে রিসিভ করতে গিয়ে অযাচিতভাবে একবার এক আনসার পুলিশের লাঠির বারি খেয়েছিলাম আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে। আমবস্যা-পুর্ণিমায় এখনো ওই জায়গাটাতে ব্যথা করে। আচ্ছা-পুলিশের লাঠির সাথে কি গোখরা সাপের বিষ মেশানো থাকে? নাকি ধুতরা পাতার কষ?
আমার প্রিয় মাতৃভুমি 'বাংলাদেশ' আর আমার অন্নভূমি 'ইউ.এ.ই' মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে একই বছর স্বাধীন হয়। এই ৪৪ বছরে তারাও উন্নতি করেছে, আমরাও উন্নতি করেছি। দু'টোর গতিই সমান। তাঁরা দ্রুত গতিতে শালীন হয়েছেন, কুলীন হয়েছেন, নম্র হয়েছেন, ভদ্র হয়েছেন, সভ্য হয়েছেন, শিক্ষিত হয়েছেন আর উন্নত হয়েছেন। আর আমরাও দ্রুতগতিতে অশালীন হয়েছি, অভদ্র হয়েছি, কঠোর হয়েছি, কর্কশ হয়েছি, নিষ্ঠুর হয়েছি, বর্বর হয়েছি এবং মানুষ থেকে পশুতে উন্নত হয়েছি। দুই দেশের উন্নয়নের গতি ঠিকই আছে। মাগার এদের উন্নতিটা ওপরের দিকে আর আমাদেরটা নিচের দিকে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্থাপনা, এবং মাল-কড়ি তথা জীবনমানের উন্নতি চলছে এদেশের রকেটগতিতে, আর আমাদের উন্নতি কচ্ছপ গতিতে। এর জন্য দায়ী কে? আমার মনে হয়- দায়ী আমাদের রাজনীতি, দায়ী আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এদের কাছে ‘তেলের খনি’ আছে তো আমাদের কাছে ‘মানুষের খনি’ আছে। এরা এদের খনি থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ব্যরল তেল রপ্তানি করছে, আর আমরা আমাদের খনি থেকে প্রতিদিন হাজার হাজর মানুষ রপ্তানি করতে পারছি না। পারলে আমাদের উন্নতির পথে কেউ হিমালয় পর্বত দাঁড় করিয়েও ঠেকিয়ে রাখতে পারতো না। যে দেশে ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত আছে পৃথিবীর কোন শক্তি আছে যে, সে দেশকে দাবিয়ে রাখে?! আমাদের এই ৩২ কোটি হাতকে ভিক্ষুকের হাত না বানিয়ে কর্মীর হাত বানাতে পারলে পৃথিবীর কারো কাছে আমাদের সাহায্য চাইতে হবে না। এজন্য আমাদের বেশি বেশি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ খুলতে হবে। না পারলে যে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা (কওমীসহ) আছে- প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল ব্রাঞ্চ চালু করতে হবে। ইতিহাস, দর্শন, রাস্ট্রবিজ্ঞান, সাহিত্য এসব পড়িয়ে লাভ নেই। আমাদের সন্তানদের পাইপ ফিটিং, প্লাম্বিং, মেসনারী, সেনিটারী, ইলেক্ট্রিসিটি, সেপটিং, পেইন্টিং, ড্রাইভিং, মেকানিং, ডেন্টিং, গার্ডিং, ওয়াশিং, মেইডিং, ফিশারিং, কালটিভ্যাটিং, ফারমারিং, ফারমিং, বিউটি পারলারিং, বারবারিং, নার্সিং, ব্যাংকিং, নেভিগ্যাটিং, মেরিনিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডক্টরিং, কম্পিউটিং, ব্রডকাস্টিং, জার্নালিজিং, টেলি কমুনিক্যাটিং, ম্যনারিং, বিহেভিং, কারেক্টারিং ইত্যাদি পেশাগত শিক্ষা দিন। আর মাধ্যমিক পর্যন্ত মাতৃভাষা, ধর্ম, ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞান- শুধু এই ৫টি সাবজেক্ট বাধ্যতামূলক রাখুন। দেশের চেহারা যদি পাল্টে না যায়- তো আমার নামে কোন মিসকীনকে একবেলা 'খাওন' দিয়েন। কিন্তু তাও আপনাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ, তখন দেশে 'মিসকীন' বলে কোন শব্দ বা লোক আপনি খুঁজে পাবেন না।
তারিখ: ০২ ডিসেম্বর, ২০১৫
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।
আবছার তৈয়বী: প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক,‘উজ্জীবন’ সাংস্কৃৃতিক সংস্থা (উসাস)।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস), দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।
©somewhere in net ltd.