নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাখাল বালক ও বুদ্ধিমান শেয়াল

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

রাখাল বালক ও বুদ্ধিমান শেয়াল
-আবছার তৈয়বী

এক রাখাল বালক খুবই গরীব ছিল। শতচ্ছিন্ন কাপড় পরিধান করিত। খাইয়া না খাইয়া দিন গুজরান করিত। বালকটি রাখাল হইলেও খুবই মেধাবী ছিল। সে তার ক্লাসে সব সময় প্রথম হইত। বড় পরীক্ষায় পাশ করিয়া সেই রাখাল বালককে লেখা-পড়া করিবার জন্য শহরে আসিতে হইবে। কিন্তু নগদ-নারায়ণ বলিতে কিছুই নাই। উপায়ান্তর না দেখিয়া বালকটি পিতৃ-সমতুল্য হেড মৌলভীর দ্বারস্থ হইল। নীতিবান হেড মৌলভীর আর্থিক অবস্থাও 'নূন আনতে পান্তা পুরায়'। কোন উপায়ান্তর না পাইয়া মৌলভী সাহেব হাতে ধরিয়া বালকটিকে বাজারে নিয়া গেলেন। বাজারে যাইয়া মৌলভীর কাঁধে যে হাজি রুমাল ছিল- তাহার একপাশ বালকটির হাতে দিলেন। আরেক পাশ ধরিলেন মৌলভী নিজেই। এইবার গুরু-শিষ্য দুইজনে মিলে বাজারে আসা গ্রাম্য লোকজন এবং দোকানদারদের দ্বারস্থ হইলেন। কেউ কেউ তাহাদের দেখিয়া নাক সিঁটকাইলেন। কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করিলেন এবং কেউ কেউ তাহাদের রুমালরূপী ঝুলিতে সিকি-আধুলি দিতে লাগিলেন। বাজারের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত ঘুরিয়া সন্ধ্যার উপক্রম হইল। অবশেষে গুরু-শিষ্য সেই সিকি আধুলি গুণিতে লাগিলেন। গণনার পর সাকূল্যে এক শত পঁয়ত্রিশ টাকা হইল। গুরু মৌলভী সেই টাকাগুলো শিষ্য রাখাল বালকের হাতে দিয়া বলিল- 'বাবা! আমার ক্ষমতা এইটুকু! তুমি এইগুলি নাও। শহরে যাও। মন দিয়ে লেখা পড়া-করিও। মানুষের মতো মানুষ হও। অনেক বড় মানুষ হও। একটি কথা মনে রাখিও- প্রত্যেকটি সিকি-আধুলির সাথে মানুষের স্বপ্ন জড়িত আছে। বাবা! আর যাই কর- মানুষের স্বপ্ন ভাঙিও না'। তারপর...?

তারিখ: ১৮ মার্চ, ২০১৬ খৃ.
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.