নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক আসিফ নাকি আস্তিক হাসিনা: কে বেশি ক্ষমতাধর?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

নাস্তিক আসিফ নাকি আস্তিক হাসিনা: কে বেশি ক্ষমতাধর?
- আবছার তৈয়বী

আস্তিক- নাস্তিক সমস্যাটি অনেক পুরনো। এ নিয়ে যুগে যুগে অনেক বিতর্ক হয়েছে। সকল বিতর্কেই নাস্তিকরা পরাজিত হয়েছে। নাস্তিকরা বেশির ভাগই চিন্তাশীল মানুষ। সেই চিন্তা শয়তানী চিন্তা। অাশ্চর্যের কথা- খোদ শয়তানও কিন্তু আস্তিক। কিন্তু তার অনুসারী নাস্তিকরা 'খোদা' মানে না। নাস্তিকরা সাধারণতঃ ধর্মের গোঁড়ামীর বিরোধীতা করতে গিয়েই নাস্তিক হয় এবং দর্শন ও সাহিত্য পড়েই নাস্তিকতার ধারণা তাদের মন-মগজে পোক্ত হয়। মূলতঃ খৃষ্ট ধর্মের গোঁড়ামীর বিরোধীতা করতে গিয়ে নাস্তিক্যবাদের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। কিন্তু নাস্তিকতার গোড়া পত্তন হয়- খৃষ্টধর্মেরও আগে।

ইতিহাস অধ্যয়ন করলে দেখা যায় যে, নাস্তিকতা পৃথিবীর প্রতিটি সমাজ ও দেশে এবং সব সময়ই একটি অজনপ্রিয় মতবাদ হিসেবে গণ্য ছিল; যদিও ইদানীং সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা এবং তার প্রদত্ত বিধি-বিধানকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা এক ধরণের ফ্যাশনে পরিণত হয়ে গেছে। প্রাচীন সভ্যতাগুলো- যেমন গ্রীক ও রোমানরা বিভিন্ন দেব-দেবীতে বিশ্বাসী ছিল। সেখানকার লোকেরা দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরী করে সেগুলোর উপাসনা করত। এক কথায়- তারাও সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিল। সে সময় কিছু কিছু দার্শনিকরা সমাজে প্রচলিত রীতি-নীতি ও ধর্মকে নিয়ে সন্দীহান হয়ে সেগুলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং তাদের লেখনীতে মূর্তিপূজা থেকে শুরু করে স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আমি গবেষনা করে দেখেছি- সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি এরকম চিন্তা লালন-পালন করেছিলেন, তার নাম হল ‘অ্যানাক্সাগোরাস’ (Anaxagoras)। অ্যানাক্সাগোরাস স্রষ্টায় বিস্বাস করতে না। তিনি বিশ্বাস করতেন যে- সূর্য হল এক ধরণের অগ্নি-পাথর। যা তখনকার যুগের জনপ্রিয় বিশ্বাসের বিপরীত ছিল। এ জন্য তাকে নির্বাসনে যেতে হয়। তার মৃত্যু হয়েছে খৃষ্টপূর্ব (৫০০-৪২৭) সালের মধ্যবর্তী সময়। এ তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্বঘোষিত এবং অনুশীলনকারী নাস্তিকের নাম হল ‘অ্যানাক্সাগোরাস’।

নিরীশ্বরবাদ বা নাস্তিকতাবাদ (Atheism) একটি দর্শনের নাম- যাতে ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। 'আস্তিক্যবাদ' এর বর্জনকেই নাস্তিক্যবাদ বলা যায়। নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয়; বরং অবিশ্বাস এবং যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত কাল্পনিক মতবাদ। দর্শনের ভাষায়- এরা সংশয়বাদী। বিশ্বাসকে খণ্ডন নয়; বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই এখানে মুখ্য। সে হিসেবে কোন মুসলিম, খৃষ্টান, ইহুদী, হিন্দু, বৌদ্ধসহ পৃথিবীতে প্রচলিত কোন ধর্মের মানুষরই 'নাস্তিক' হতে পারেন না। তবে কোন ধর্মের অনুসারীরা পৌত্তলিক হতে পারে, বহু খোদায় বিশ্বাসী হতে পারে, কিংবা মুশরিকও হতে পারে। তাই বলা যায়- কোন ধর্মের অনুসারী মানুষই 'নাস্তিক' নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী- বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার ২.৩% মানুষ নিজেদের 'নাস্তিক' বলে পরিচয় দেয় এবং ১১.৯% মানুষ কোন ধর্মেই বিশ্বাস করে না। নাস্তিকদের নিয়ে কোন ধর্মের মানুষরাই কখনো মাথা ঘামায়নি বা জোর করে তাদের আস্তিক বানানোর চেষ্টাও করেনি। কেউ যদি স্রষ্টা প্রদত্ত জীবন ধারণ করে, স্রষ্টা প্রদত্ত অন্ন-জল গলাধঃকরণ করে, স্রষ্টা প্রদত্ত আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠে খোদ স্রস্টাকেই অস্বীকার করে- তার মতো মহা-মূর্খের সাথে কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু কেউ যদি নাস্তিকতার নাম করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও পরিকল্পিতভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ও বিষোদগার চালাতে থাকে- তাহলে কোন মুসলমানই চুপ থাকতে পারে না। মজার ব্যাপার হলো- আমাদের দেশের নাস্তিক ও আধা-নাস্তিক সবাই কিন্তু ইসলামী নাম ধারন করেই ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন- তারা কেউই কখনো হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদী, শিখ ইত্যাদির বিরুদ্ধে একটি শব্দও বলে না। তার মানে শুধু নাস্তিকতা নয়; বরং নাস্তিকতার অন্তরালে 'ইসলাম বিদ্বেষ'। আমি গত বছরে এপ্রিলের দিকে ‘নাস্তিকদের প্রতি আমার ভালোবাসা’ শিরোনামে নাস্তিকদের নিয়ে একটি ধারাবাহিক লেখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমার সেই আইডিটি হ্যাকড হওয়ার কারণে সেটি নিয়ে লিখতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলি।

কিন্তু নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং স্বগোষিত নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দীনের উদ্ধত্যপনার প্রেক্ষিতে নাস্তিকদের নিয়ে লিখতে আবারও উৎসাহিত হয়েছি। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোদেলা প্রকাশনী বইমেলায় ‘নবি মুহম্মদের ২৩ বছর’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করলে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রথম 'খোলা চিঠি' লিখি। আমার লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যেই সরকার রোদেলা প্রকাশনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। আমি এজন্য পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি এবং শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকীর নির্মম হত্যাকান্ডের পর তার ১ম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর ২য় 'খোলাচিঠি' লিখি। কিন্তু অদ্যাবদি এ নিয়ে সরকারের কোন প্রতিক্রিয়া বা কার্যকরী পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। আমার ১ম চিঠিতেই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম- 'তথাকথিক নাস্তিক নামধারীরা মুক্তচিন্তার নামে ইসলাম, আল্লাহ, নবী-রাসূল (আলাইহিমুস সালাম), নবী পরিবার, সাহাবী এবং ইসলাম ধর্মের নিয়ম নীতি, অনুষঙ্গ ও ইবাদাত নিয়ে যে কটাক্ষ ও অনৈতিক অশ্লীল কথাগুলো লিখছে- তা প্রধানমন্ত্রী একলাইনও পড়তে পারবেন না'। শুধু প্রধানমন্ত্রী কেন কোন মুসলমানই পড়তে পারবেন না। এমন কুরুচীপূর্ণ মিথ্যাচার ও বিষোদগার কেউই বরদাশত করতে পারবেন না।

আমি অতি বিনয়ের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি- নাস্তিক নামক ইসলাম বিদ্বেষী এই জাহান্নামের কীটগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে। না হয় বাংলদেশে এর প্রতিক্রিয়া 'জঙ্গীবাদ' মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এবং খুন-খারাবি অব্যাহত থাকবে এবং এতে জন-জীবন বিপন্ন হবে। দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে। কিন্তু ফল হলো উল্টো। এরপর খোদ সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হলো। আমরা কুখ্যাত লতিফ সিদ্দীকীর ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার দেখেছি। কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী উদ্ধত্যপনা হজম করেছি। অন্য কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি আমলাকেও ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখেছি। এসব দেখে আমাদের আশার সলতেটি যখন একেবারে নিভু নিভু হয়ে জ্বলছিল; ঠিক তখনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যে সেই আশার আলো আবার চারিদিক আলোকিত করে প্রজ্বলিত হলো।

আসুন দেখা যাক- কী বলেছেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? মুক্তচিন্তার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া 'বিকৃত রুচি ও নোংরা রুচির পরিচয়' বলে মন্তব্য করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘একটা ফ্যাশন দাঁড়িয়ে গেছে, ধর্মের বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখলেই তারা হয়ে গেল মুক্তচিন্তার। আমি তো এখানে মুক্তচিন্তা দেখি না।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখা কখনো গ্রহণযোগ্য না। আমার ধর্ম আমি পালন করি। আমার ধর্ম সম্পর্কে কেউ যদি নোংরা কথা লেখে, সেটা আমরা কেন বরদাশত করব? এখন একটা ফ্যাশন দাঁড়িয়ে গেছে, ধর্মের বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখলেই তারা হয়ে গেল মুক্তচিন্তার। আমি তো এখানে মুক্তচিন্তা দেখি না। আমি এখানে দেখি নোংরামি, পর্ন। এত নোংরা নোংরা লেখা কেন লিখবে? যাকে আমি নবী মানি, তাঁর সম্পর্কে নোংরা কথা কেউ যদি লেখে, সেটা কখনো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। ঠিক তেমনি অন্য ধর্মের যাঁরা আছেন, তাঁদের সম্পর্কে কেউ যদি লেখে, এটাও কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। এই সমস্ত নোংরা কথা, পর্নের কথা কেন লিখবে? আমি তো মনে করি, এটা সম্পূর্ণ নোংরা মনের পরিচয়, বিকৃত মনের পরিচয়। এটা কোনো ধর্ম পালন নয়। এটা সম্পূর্ণ তাদের চরিত্রের দোষ এবং তারা বিকৃত মানসিকতায় ভোগে। এ জন্য তারা এ ধরনের লেখে। আশা করি, এই ধরনের লেখা কেউ লিখবেন না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একজন মুসলমান হিসেবে প্রতিনিয়ত আমার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি। সেখানে কেউ যদি লেখে, এতে আমার নিজেরও কষ্ট হয়। আর এই লেখার জন্য কোনো অঘটন ঘটলে দোষ সরকারের ওপর আসবে কেন? সবাইকে সংযমতা নিয়ে চলতে হবে। সবাইকে একটা শালীনতা বজায় রেখে চলতে হবে। অসভ্যতা কেউ করবেন না। অসভ্যতা করলে তার দায়িত্ব কে নেবে? আমরা নেব না।’

প্রধানমন্ত্রীর কথা প্রকাশের পরপরই স্বগোষিত কুখ্যাত নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দীন স্ট্যাটাস দিয়ে বসে। সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে লিখে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধর্ম বিষয়ে সরাসরি বিতর্কের আহবান জানাচ্ছি। আপনি ধর্ম বিষয়ে কী জানেন এবং বোঝেন আমি জানি না, কিন্তু আপনার বক্তব্য শুনলে ধর্ম সম্পর্কে নিতান্তই জ্ঞানহীন বলে মনে হয়। যার যে বিষয়ে সেরকম জ্ঞান নেই, তার মুখ থেকে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত শুনতে খুব কুৎসিত এবং নোংরা লাগে। শুনলে মানসিক বিকারগ্রস্থ বলে মনে হয়। তাই অনুগ্রহ করে আমার সাথে বিতর্কে অবতীর্ণ হোন। দেখা যাক, আপনি ধর্ম বিষয়ে কতটা জ্ঞান রাখেন। প্রতিজ্ঞা করছি, বিতর্কে পরাজয় বরণ করলে নাস্তিকতা নিয়ে লেখা ছেড়ে দেবো। ইসলামের সমালোচনা আর কোনদিনই করবো না, সেই সাথে সহি মুসলমান হয়ে যাবো। একই সাথে, অন্য কেউ নাস্তিকতা নিয়ে লেখালেখি করলে আমি তাদের বিরুদ্ধেও লেখালেখি করবো'।

এই স্বঘোষিত নাস্তিক কী বলেছে- খেয়াল করেছেন? এটি শুধু সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নয়, এটি সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের বোধ ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধেই অবস্থান। কারণ, মাননীয় প্রধামন্ত্রী যে কথাগুলো বলেছেন, তা শুধু তাঁর নিজের কথা নয়, এই কথাগুলো বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মনের কথা। প্রতিটি মুসলমানের মনের অলিন্দে এই কথাগুলো প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খায়। কিন্তু সবাই বলার সাহস ও সুযোগ পান না। আমি একজন মুসলমান হিসেবে উক্ত স্বঘোষিত নাস্তিকের ব্যাপারে চুপ থাকাটা সঙ্গত মনে করিনি। উক্ত কুখ্যাত নাস্তিকের ওয়ালে ঢুকে দেখি- সেখানে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এবং বেশির ভাগ কমেন্ট পড়ার অযোগ্য। আওয়ামী এবং জঙ্গী চিন্তাধারার লোকেরা আসিফের মা-বোন ধরে সমানে গালাগালি করছে এবং তার চৌদ্ধগোষ্ঠী উদ্ধার করছে। আর এই খবিসটা গালিগুলো গোগ্রাসে হজম করছে। কিন্তু এটা কোন সমাধান না। সমাধান হলো- সেই নাস্তিকের মুখোমুখি বসা। তার প্রতিটি কথাকে খণ্ডন করা। তার অশান্ত মন শান্ত হয় মতো, তার উদ্ধত্য মনোভাব দূরীভুত হয় মতো যুৎসই জবাব দেয়া। তাই আমি তাকে উদ্দেশ্য করে তার পোস্টেই লিখলাম- ‘নিজেকে ফুটানোর আর জায়গা পান না- বুঝি? পোস্টে তো কারো জবাব দিতে দেখলাম না। তো জ্ঞানী মহোদয়! আপনার কি সময় হবে দু'চার মিনিট বাতচিত করার? অসুবিধে নেই- আপনাদের রক্ষিতা তসলিমা নাসরিনসহ পৃথিবীর সকল নাস্তিকদের খবর দিতে পারেন। দেখি- নাস্তিকদের জ্ঞানের দৌঁড় কতটুকু'?

সে এ পর্যন্ত আমার কমেন্টের কোন জবাব দেয়নি। পরবর্তীতে দেখলাম- সে আরেকটা কমেন্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য ব্যবহার করেছে, ব্যঙ্গ করেছে এবং অপবাদ দিয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো- এই কুখ্যাত স্বঘোষিত নাস্তিক বনাম ঘৃণ্য ইসলাম বিদ্বেষী আসিফ মহিউদ্দেনের খুঁটির জোরটি কোথায়? আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের 'লৌহ মানবী'- বাংলাদেশের ভুখণ্ডে আসমানের নীচে ও জমীনের উপরে যার ক্ষমতা সর্বাধিক, তার সাথে এ রকম উদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহার করার সাহস সে কোথা থেকে পেলো? এটা কি 'দুধ-কলা দিয়ে সাপ পোষা'র পরিণতি নয়? অন্য আরেকটি স্ট্যাটাসে সে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। যারা তার সাথে আলোচনায় বসে নাস্তিকতাকে পরাজিত ইচ্ছুক- সে রকম চারজন লোক ঠিক করতে বলেছে। চারজনের প্রয়োজন নেই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো- নাস্তিক নামধারী এই খবিস ইসলাম বিদ্বেষীর মুখ চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার জন্য এই অধমের সাথে বসার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাস্তিক্যবাদের অন্তরালে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার বন্ধ করতে চাইবেন কি-না, সেটা এক মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।

তারিখ: ১৮ এপ্রিল, ২০১৬ খৃ.
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.