নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব নাগেশ্বরের ঘ্রাণ ছাপিয়ে সে ঘ্রাণ আসে ফিরে।

স্বাধীনচেতা চিত্রাঙ্গদা

ঘুম ঘুম চোখে বলি ঘুম তুমি কই? ঘুমের আশায় কেন একলা জেগে রই? তবে স্বপ্নের আনাগোনা জাগরণেই।

স্বাধীনচেতা চিত্রাঙ্গদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ছবি তোলার গল্প...

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

-এক্সকিউজ মি! আপনি কোন কেবিনে

-আরশি অন্যমনস্কভাবে স্টিমারের পানি কেটে এগিয়ে যাওয়া দেখছিল।সাইফের কথা শুনে ঘুরে তাকালো।আমরা উপরের কেবিনে আছি।

-আপনার কথা তো কিছুই শুনতে পেলাম না! মুখে এমন মাফলার পেঁচিয়ে রেখেছেন কেন? অবশ্য শীতটা একটু বেশিই পরেছে...এই বলে সাইফ নিজের কান টুপিটা একটু টেনে নিল।

-না বললাম যে আমরা রাহীদের পাশের কেবিনেই আছি।ওকে তো নিশ্চয়ই চেনেন।আমাদের এই ট্যুরের অর্গানাইজারের মেয়ে।

-হুম সালাম আঙ্কেলের মেয়ে।

প্রথমবারের মত সাইফ এবং আরশির বাবাদের ইউনিভার্সিটির ব্যাচের রিইউনিয়নে সবাই পরিবারসহ সুন্দরবন ট্যুরে যাচ্ছে।আর এই ট্যুরের ম্যানেজমেন্ট,চাঁদা তোলা সবকিছুর পেছনে সালাম সাহেব একনিষ্ঠভাবে জড়িত।

-তো আর সবাই তো উপরে গানের আসরে যোগ দিয়েছে। আপনি এখানে কেন?

-আমার এসব গ্যাদারিং একদম ভালো লাগে না।একা থাকাই ভালো।

-আপনি কী পড়ছেন এখন?

-আমি ম্যাস এন্ড মিডিয়া কমিউনিকেশনে পড়াশোনা করছি।

-ওহ্..আমার আবার পড়াশোনা শেষ।নতুন চাকরীতে যোগ দিয়েছি অবশ্য।উমম.. আপনার ফোন নাম্বারটা দেয়া যাবে?

-আমার নিজের নাম্বারটা মনে থাকেনা।

-ও আচ্ছা নিন আমার কার্ড।এই যে এটা আমার ইমেইল আইডি।

আচ্ছা।এই প্রথম আরশি সাইফকে ভালোমত দেখল।সোজা বাংলায় যাকে বলে সুদর্শন।আর কিছু না বলে কেবিনে ফিরে চলল আরশি।

সুন্দরবন ঘুরে আসার পর দুই সপ্তাহ কেটে গেছে।আরশি সেই কার্ডটা মাফলারের ভাঁজে রেখে দিয়েছে। কি মনে করে ফেসবুকের ফাইন্ড ফ্রেন্ডসে ইমেইল আইডি দিয়ে ওকে খুঁজে পেল।

'সাইফ আহ্সান'।ওর মনে পড়ল।আহ্সান আঙ্কেলের ছেলে।

একটা মেসেজ পাঠিয়ে দিল ইনবক্সে।

'আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করার আগেই আপনাকে আমার ফোন নাম্বার দিলাম।কেমন আছেন তা জানান।'

সারাদিন আরশি কোন ফোন পেল না।

সকাল পৌনে সাতটায় ওর ফোন বেজে উঠল।ধরমর করে উঠে বসল আরশি। আননোন নাম্বার।রিসিভ করতেই একটা হাসি হাসি কন্ঠ বলে উঠল-কেমন আছেন মজিদ আঙ্কেলের মেয়ে?

- মজিদুল হকের মেয়ে আরশি ভালো আছে। আপনি তো আরও ভালো আছেন!

-কীভাবে? সরি এত সকালে ফোন দিলাম। আসলে কিছুক্ষণ পর অফিসের জন্য বের হব।

-ও! না মানে আপনার প্রোফাইল পিকচারে দেখলাম।

-ও..রাহীর সাথে?

-হ্যাঁ। একেবারে তো পারলে গা ঘেষে ছবি তুলেন!

-না সালাম আঙ্কেলদের বাসায় একটা দাওয়াত ছিল তো..

-ও।

-কেন আমার কার সাথে ছবি দেয়ার কথা?

-সেটা আপনিই জানেন।

-আজকে সন্ধ্যায় আপনি ফ্রী? এমনি আপনাকে ট্রীট দিতাম।

-হুম ফ্রী।

-আচ্ছা আপনার মোবাইলের ক্যামেরা কত মেগা পিক্সেল?

-বারো। কেন?

-না মানে আমাদের ছবিটা কার ক্যামেরায় তুলব ভাবছিলাম।

-আপনি একটা ফাজিল।হয়েছে ফোন রাখলাম।বাই।

-বাই আমি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পরই বলব।

-ফাজিল! ওকে বাই।

ফোনটা রেখে আবার ঘুমুতে গেল আরশি।

সবাই ঘুমিয়ে না থাকলে দেখত,ওর মুখে একটা মিষ্টি হাসি লেগে আছে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.