নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব নাগেশ্বরের ঘ্রাণ ছাপিয়ে সে ঘ্রাণ আসে ফিরে।

স্বাধীনচেতা চিত্রাঙ্গদা

ঘুম ঘুম চোখে বলি ঘুম তুমি কই? ঘুমের আশায় কেন একলা জেগে রই? তবে স্বপ্নের আনাগোনা জাগরণেই।

স্বাধীনচেতা চিত্রাঙ্গদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তন্দ্রার জীবনের মানুষগুলো...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

-এই মেয়ে ওদিকে তাকিয়ে না থেকে মাকে হেল্প কর।
আমার হাতে দেখছই তো দুইটা ব্যাগ। এটা ধর।
- সরি মামনি!
তন্দ্রা তাড়াতাড়ি হাত বাড়িয়ে সব্জির ব্যাগটা হাতে নিল। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে ওকে শুনিয়ে মা বলল,
-আমার সাথেই কেন এমন হল? গুন তো তার কম ছিল না? এমন অকর্মা লোকের সাথে আমার বিয়ে হল, ঘর থেকে যে এক পা ও নড়ে না।
তন্দ্রা মুখটা যথাসম্ভব গোমড়া রেখে কলিংবেল চাপল। জানতো,তার বাবা হাসিমুখে দরজা খুলবে।
-এই তো এসে পরেছে আমার ফুলপরীটা!
মাহফুজা,যাও মেয়েকে নিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসো। দেখ তোমাদের জন্য চাওমিন বানিয়েছি।
তন্দ্রা আড়চোখে মার দিকে তাকালো। এবার মায়ের গোমড়া মুখ দেখে মনে মনে খুব হাসি পেল ওর। জানে আজকে মা সারাদিন নিজেকে মনে মনে দোষারোপ করবে।


বিকালে তন্দ্রা ছাদে যায়। কখনো একা একা হাঁটে, তো কখনও পুষ্প আপুর সাথ গল্প জুড়ে দেয়। পুষ্প চারতলায় কাজ করে। ওদের গল্পের কোন আগামাথা থাকেনা।কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় গিয়ে থামে তা নিজেরা মনে করে এক সময় হেসে দেয়।
-জানেন আপু, ঐ বাসার জুয়েল ভাই এর সাথে আমার ওঠাবসা আছে।
-এটা আবার কে?
-চিনবেন না। ঐ বস্তির সামনে একটা মেস বিল্ডিং এ মা বাবা আর ছোটবোন নিয়ে থাকে। আপনে দেখবেন?
-চল।
ছাদের আরেকপাশ থেকে সে বিল্ডিং এর জানালাটা খুব কাছে।


তন্দ্রা খুব অবাক হল।এটা জুয়েল ভাই না? ঐ তো পত্রিকা অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে পপকর্ণ বিক্রি করছে।


সেদিন বাসায় ফিরে ওদের ছুটা বুয়ার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছিল।সেখানে বুয়ারাও থাকে। বুয়ার কথায় উঠে এসেছিল অনেক কথা। মা- বাবা কষ্ট করে কাজ করে। ছোটবোনটা স্কুল ফাঁকি দেয়, আর বড়ভাই বখে গেছে।তবে কি কাজকর্ম করে সে সম্পর্কে আর জানতে চায়নি তন্দ্রা।


ছাদে তন্দ্রার সাথে পুষ্পর আবার যেদিন দেখা হল, এ ব্যাপারে কিছু জানালো না।
- জুয়েল ভাই এর সাথে ফুচকা খাইতে গেসিলাম। খালাম্মা হোটেল থেকে ডালপুরি আনতে পাঠাইসিলো, তখন আর কি...
-ও...তারপর?
-না তার সাথে আমার আর সম্পর্ক নাই।
সেদিনের কথা মনে করল পুষ্প..
জুয়েল জানিয়েছিল, সে দুইটা টিভি চ্যানেলে চাকরি পেয়েছে।একটাতে ডিপার্টমেন্টাল
হেডের পজিশন।
পুষ্প মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জুয়েলকে বলেছিল সে খালার বাসায় থেকে নার্সিংএর উপর ট্রেনিং করছে।পরাশুনা সে গ্রামেই শেষ করেছে।
কিন্তু পরে কোনোভাবে তার মিথ্যাটা জুয়েল জেনে গিয়েছিল।আর সেখানেই সব কিছুর ইতি।
পুষ্পকে চুপ থাকতে দেখে তন্দ্রা বলে উঠল, এর পেছনের কারণটা নিশ্চয়ই তুমি আমাকে বলতে চাও না?
-না। থাক বাদ দেই এসব কথা। খালাম্মা তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে বলসে।

ঘরে ফিরে তন্দ্রা দেখল, মামনি আর বাবা একসাথে বসে মুড়িমাখানি খাচ্ছে আর টিভি দেখছে।
তন্দ্রা জানে বাবা খুব ভালো মুড়ি মাখায়...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

শুভ্র গাঙচিল বলেছেন: ভালো লাগলো। ++++++

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৩

স্বাধীনচেতা চিত্রাঙ্গদা বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: জুয়েল পপকর্ন বিক্রি করে আবার টিভি চ্যানেলের হেড ! তালগোল পাকিয়ে ফেললাম ! B:-)

ভালো থাকবেন ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৫

স্বাধীনচেতা চিত্রাঙ্গদা বলেছেন: জুয়েল মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে যেটা পুষ্প জানতো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.