![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-“হ্যালো আম্মু”
-“হুম মামনি , কোথায় তোমরা?”
-“এইতো মাত্র restaurant এ আসলাম, রাস্তায় যেই জ্যাম, বলো কি হয়েছে?”
-“ওহ আচ্ছা, তাড়াতাড়ি খেয়ে বাসায় চলে যেও।
-“আচ্ছা ঠিক আছে।“
-“ শুন, Latest news পেয়েছ??”
-“Latest news? কি আবার Latest news?”
-“ তোমার বাবার যে একটা নতুন Girlfriend হয়েছে এখানে জানো?”
-“ মানে ? কি বলছ তুমি এইসব?”
“ হুম, তোমার বাবা যে এইখানে কি কি কাহিনী করে বেরায় সেইসব ধরা পরেছে।“
-“ আম্মু, clearly বলত কি হয়েছে?”
-“ আমরা এখানে তোমার বাবার একজন বন্ধুর সাথে restaurant এ lunch করতে এসেছিলাম, সাথে ঐ ভদ্র লোকের wife ও ছিলেন। ঐ ভদ্র লোক যখন আমাকে উনার wife এর সাথে পরিচয় করানোর সময় বললেন, “ উনি Mrs. Iqbal” তখন ভাবি কি বললেন জানো? ভাবি বললেন, “ ওহ আপনি লিপি আপা? “ এই কথা টা শুনে তোমার বাবার মুখ পুরা যেন শুখিয়ে গেল, যেন গলা দিয়ে আর ভাত নামছিল না। লোকটা তখন সাথে সাথে বললেন যে আমি লিপি আপা না, আমি সেলিনা আপা। ভাবি তখন থতমত খেয়ে মাফ চাইলেন। আমি সাথে সাথে হাত ধোওয়ার বাহানায় টেবিল থেকে উঠে যাই। এর মধ্যে নিশ্চই তোমার বাবা উনাদের কিছু বলেছে, কারন আমি ফিরে আসার পর ভাবি আমাকে বললেন, “ আসলে ভাবি আপনার সাথে কখনো দেখা হয়নি তো, তাই ভুল হয়ে গিয়েছে, কিছু মনে করবেন না।“ আমিও উনাকে স্বাভাবিক গলায় বললাম যে এইটা কন ব্যাপার না।“
-"তো, তুমি বুঝলা কিভাবে যে এই লিপি আপাই বাবার বান্ধুবি? বাবা কিছু বলেছে?
-" তোমার বাবা আর কি বলবে? শুন, চোর যতই সাধু থাকার চেষ্টা কোরুক না কেনো, চুরি ধরা পোরলে মুখ ঠিকই বিবর্ণ হয়ে যায়। তোমার বাবার চেহারাটা তখন ঠিক এমন ই হয়ে ছিলো।"
-“হুম....। তারপর কি হল?”
-“ তারপর আর কি হবে? ঐ ভদ্র লোক রীতি মত শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলেন। আমাকে বললেন, “ ঈকবাল ভাই আপনার অনেক প্রশংসা করেন, আপনাকে নাকি খুব লক্ষ্মী একজন মেয়ে”। আমি ও বললাম যে আমি কোন লক্ষ্মী মেয়ে নই, আমি খুব ই সাধারন একজন মেয়ে।“ এই বলে আমি ওইখানে থেকে উঠে চলে আসলাম।“
-“ হুম......”
-“ হুম কী? তুমি চিন্তা করতে পারো? তোমার বাবা এইখানে ঐ লিপি নামক মহিলার সাথে আতই মেলা মেশা করে যে লোকে তার আসল বউ কেই চিনেনা, চিনে ঐ লিপি কে!!!বলো এই লোক কে নিয়ে আমি কই যাই? মেয়েদের বিয়ের বয়স হয়ে আসছে আর এই লোকের এইসব ফাইজলামি গেল না, কি যে করি আমি বুঝতে পারছিনা।“
মেয়েদের জন্য চিরাচরিত সেই dialogue টা মুখের ডগায় চলে এল – “ কী আর করবা আম্মু? যা হওয়ার তা তো হয়েই গিয়েছে, এখন মুখ বন্ধ করে সয়ে যাওয়া ছাড়া আর কী ই বা করারাছে বোলো?” …… কিন্তু গলায় ঢোক গিলে শান্ত গলায় বললাম,” তুমি আর কিছু বলনাই?”
-“ আমি আর কি বলব তখন সবার সামনে? তবে তোমার বাব যে সেই রকম একটা ভয় পেয়েছে সেতা একদম স্পষ্ট। এমন কি সে তো ভয়ে আর আমরা সামনেই আসেনাই, দোকানে কাজ আছে বলে আমার কাছ থেকে পালাল। কাহিনী তো আরও আছে, আমি পরে বাসায় এসে বলব।“
-“ আচ্ছা ঠিক আছে, পরে কথা হবে। Bye.”
-“ Bye ”
কথা গুলা মিতুর কাছে খুব ই স্বাভাবিক মনে হলো এবং সে কথা গুলা বিশ্বাস ও করলো, কারন সে জানে যে তার বাবার দ্বারা এই কাজ করা টা স্বাভাবিক। যেন অন্য কোনো লোকের, তার স্ত্রীর সাথে পরোকীয়ার গল্প শুনলো মিতু। কিন্তু সে জানে যে তার মা'র মন এখন গগণ-বিদারী চিৎকার করে কাঁদছে। এই বেদনা, এই জ্বালা যে সহজে মেটার মত নয়। এমন ঘটনার সম্যুক্ষিন যে তার মা আগে কখোনো হন নি, তা কিন্তু নয়,কিন্তু একজন পরিপূর্ণ সাংসারিক গৃহিনীর জীবনে এমন ঘটনা শতবার ঘটে গেলেও, প্রতিবার ই আঘাত টা খুব তীব্র হয়। পৃথিবীর কোন জলের সাধ্য নেই মনের এই আগুন নেভানোর।
মিতু পারত, 'মেয়ে হবার দহাই' দিয়ে,সব কিছু সয়ে নিতে বলে তার মাকে শান্ত করতে। কিন্তু একজন মুক্ত-মনা, স্বাধীন চেতা 'নারী'র মন তা সায় দিলো না।
তাই বলে কি এর কোন সমাধান নেই? অবশ্যই আছে। তবে তা অভিমান করে, ঘর-সংসার ছেড়ে,দূরে কোথাও যেয়ে মুখ লুকিয়ে থাকা নয় বরং সংসারের মধ্যে থেকেই তা করতে হবে। যা করতে হবে সে কাজ টি খুব সহজ ও আবার খুব কঠিন ও। কাজ টা হলো, অন্য এর বিরুদ্ধে, সমাজের তথা-কথিত নিয়মের বিরুদ্ধে যেয়ে, ঘরের লোক কে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য স্ব-উচ্চ স্বরে 'আওয়াজ তুলে, প্রতিবাদ করা'।
অণ্বেষনের জন্য এই অজ্ঞাতের প্রশ্ন, " কোন নারী যখন এমন কোন কাজ করে অথবা সে পরোকীয়ায় লিপ্ত বলে সন্দেহ করা হয়, তখন তার উপোর এসে পরে শত ধিক্কার, শত লাঞ্চনা। আর এমন কাজে যখন ঘরের কর্তা কে লিপ্ত দেখা যায় তখন লোকে কেন সামান্য এই একটি বলে কথা উড়িয়ে দেয় যে 'ছেলেরা তো এমনই হয়, স্ত্রী কেনো পারে নি স্বামী কে আঁচলে বেধে রাখতে? যত দোষ সব কি তবে নন্দ ঘোষের ই?"
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১
অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮
একটি মিসকল বলেছেন: এই সমস্যাটা আমাদের সমাজের। সমাজই দায়ী এই সব দোষ নন্দ ঘোষের জন্য। তবে এরপরও এমন কিছু মানুষ এখনো বেঁচে আছে যাদের না পাওয়ার কষ্টগুলো শুধু তার রাতই বলতে পারে... আর কেউই না। ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে...