![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসম্ভব মাত্রায় অলস হয়ে যাচ্ছি। সারাদিন খালি ঘুমাতেই মন চায়। এখন এমন বদোভ্যাস হয়ে গিয়েছে যে আমি চাইলেও নিজের ঘুম কে নিয়ণ্ত্রণে রাখতে পারিনা। যেখানে-সেখানে, যখন-তখন চোখ লেগে আসে। আমি জীবনেও যা স্বপ্নেও চিন্তা করিনি, আজ তাই করছি। ইতমধ্যে ক্লাসের সামনের সিটে বসে টিচারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিব্বি ঘুমানোর কৌশোল টও রপ্ত করে ফেলেছি। আমি একি সাথে ঘুমাই এবং খাতায় হাত চালাতে থাকি। টিচাররা দেখে নিশ্চই মনে করেন যে আমি তাদের লেকচার ডিকটেশনে বসেছি, কিন্তু বাসায় এসে খাতা খুলে যা চোখে পরে তা নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস হয়না।
ছোটবেলায় আমি অনেক ভালো ছাত্রী ছিলাম। সবাই আমার অনেক প্রশংসা করতো। স্কুলে আমার বেশ নাম-যশ ছিলো। তখন ক্লাসের অন্যান্য ছা্ত্র; যাদের কিনা ক্লাসে ঘুম আসতো, বাসায় পড়তে বসতে ই্চ্ছা করতো না, পড়তে বসলেই নাকি যাদের ঘুম চলে আসতো, সেই গল্প গুলা শুনতাম আর ভাবতাম, এমন আদৌ সম্ভব কিনা যে ক্লাসের এত মজার লেকচার শুনে মানুষের ঘুম আসতে পারে? কিন্তু কথায় আছেনা? অন্যের ব্যাপারে বেশি বললে সেটা এক সময় নিজের উপোর ই আসে? এখন ছোটবেলার ক্লাসের সেই ঘুমন্ত শিশুরা বড় হয়ে এক একজন দেশের বাইরে যেয়ে পড়া-শোনা শেষ করে,চাকরি করে নাম-খ্যাতি অর্জন করছে, আর আমি তাদেরকেই আমার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সমিস্টার পার করার গল্প শুনাই।
মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে। আমার জীবন টা এমন হওয়ার কথা ছিলো না। আমার মা-বাবর আমাকে নিয়ে হতাশ হওয়ার কথা ছিলো না। আজ তারা আমার জীবন নিয়ে হতাশ।আমাকে নিয়ে তারা এখন আর স্বপ্ন দেখে না। যত স্বপ্ন দেখার আমি ই দেখি। বাস্তবাতা বোহির্ভুত স্বপ্ন। এবং সেই স্বপ্ন গুলাকে জীবনে গড়ার লক্ষ বানিয়ে ফেলেছি ঠিকই, কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিতে যেমন ভয় লাগে, তেমন আলসেমিও লাগে। আলসেমি টাই বেশি লাগে। এখন না পারি জীবনের ব্যাপারে নতুন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করতে (অবশ্য সেটার প্রয়োজোন পরবেনা, আমার অবাস্তব স্বপ্ন যে কখনো বাস্তবাতার মুখ দেখবেনা তা আমি হলপ করে বলতে পারি, আমি সেই এক সাধারণ মেয়েই রয়ে যাবো) আর না পারি নিজের উদ্যমে কিছু একটা করার লক্ষে উঠে-পরে লাগতে।
আজ একটা ডাক্টারের অন্বেষনে আছি। একজন ভালো মানসিক ডাক্তারের খোঁজ দিতে পারবেন কেও; যে কিনা আমার চেহারা দেখেই হাতে ঘুমের ওষুধ ধরিয়ে দিয়েই দায় সাড়া হওয়ার চেষ্টা করবেন না বরং আমাকে একটা ভালো কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে সাহায্য করবেন। আর আমার ঘুমের ব্যাপারটা কেও ঠিক করতে সাহায্য করবেন।
বি.দ্র: দয়া করিয়া কেও বলবেন না যে আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাকেই উঠে-পরে লাগতে হবে, অন্য কেও আমাকে সাহায্য করবেনা। আমার অলসতা আমার শরীর থেকে শুরু করে বুদ্ধিমত্তা কে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজে থেকে কোনো কিছু করার অবস্থায় আমি আছি কিনা জানিনা। আর আমার ঘুমের ব্যাপারটাতেও কেও কোনো টিপস্ দিলে অনেক খুশি হব। কিন্তু টিপস্ গুলা যেনো ইকটু সহজ হয়।
ই্য়ে, মানে, আমি ইকটু অলস তো, তাি
৩০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: ধন্যবাদ, আমিও তাই ভাবছিলাম। একটা ডাক্তার দেখাতে হবে,এই ঘুম মারাত্বক ভাবে আমার নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গিয়েছে। কোনো ভাবেই কোনো উপায় বের করতে পারছিনা। আপনার দেয়া পরামর্শ গুলোর জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো এইসব করার। সাথে থাকবেন।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬
SwornoLota বলেছেন: বেশি করে পানি খান কম পক্ষে ঘন্টায় ২/১ গ্লাস।
আর হরর মুভি দেখুন।
এই দুইটা আপনার ঘুমকে মনে হয় না বেশি একটা প্রশ্রয় দেবে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: হাহাহ!! হরর মুভি অনেক দেখা হয়, এখন ভুত আর ভয় পাই না। তবুও পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৩০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি লিখেছেন, সারাদিন খালি ঘুমাতেই মন চায়। এটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ। আপনি ভালো কোন ডক্টর দেখিয়ে পরামর্শ নিন। প্রবাসে থেকে দেশের ডক্টরের খোঁজ দিতে পারছিনা বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত তবে আমি অনেকটাই নিশ্চিত এটা যতটানা মানসিক তার চেয়ে বেশী শারীরিক ইস্যু। সকালে ঘুম থেকে উঠে বড় এক মগ কফি খেয়ে দেখতে পারেন, উপকার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। আমার ক্ষেত্রে বেশ কাজে দিয়েছে। কলেজ লাইফে সকাল ৮-৫টা অফিস করে, সন্ধ্যা ৬-১০টা পর্যন্ত ক্লাস, বাসায় ফিরে হোম ওয়ার্ক শেষ করে রাত্র ২/৩ টার দিকে প্রায়ই ঘুমুতে গিয়েছি। সকালে উঠতে সমস্য হতো তাই এলার্ম দিয়ে ঘুম থেকে উঠেই বিশাল বড় মগে কফি দিয়ে দিন শুরু করতাম। খুব বেশী সমস্যা হয়নি। শুভ কামনা থাকলো।