নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু হতে না পারা কেউ আমি এই জীবনের ঢেউ
তুমি বললে রাত্রির অন্ধকার এবং
জ্যোৎস্নার প্রগাঢ় রঙে একটি জোনাকীর ঝলমল পাখার গল্প।
আমি বললাম- রাত্রি!
সে তো আমার মায়ের চোখের মত নীল!
১.
সারারাত ফোটার পরে/ সুরভীর খুশ ফাটিয়ে/
নিশিফুল নিভে গেলে/ তবে তো ভোর ফুটাবে/
পালকের উম নিয়ে যে/ ডেকে যায় ভোরের কুহু/
সেও জানে/ ভুলে গিয়ে/ ভালো থাকা/ যায় না, উহু।/
২.
ছুটির ঐ ঘন্টা হাতে/...
তোমার ওই মন নামে সে ভেতরবাড়ি
সেখানে আমার জন্য আড়ির বাজার
তবু সে হাড়ির খবর ভাঙছে হাটে
তুমি তো কেটেই গেছো ঘুড়ির মাঠে।
▪️
তুমি সেই ঢাউস ঘুড়ি আমার ছিলে
আমি এক বোকা ফানুস সঙ্গে যেতাম
তোমাকে...
রাত তিনটে। বাজে রিংটোন। টেলিফোনটায়!
তুমি বিনতে ? আমি চিনতাম। প্রতি ঘন্টায়।
সাড়ে তিনটে। ঘুম আসছে। তুমি আসতে।
আমি জানতাম। ওটা মিথ্যে। ভালোবাসতে।
তুমি বেঁচতে। আমি কিনতাম। অভিমানটা।
তুমি বলতে । আমি শুনতাম। বাসি পানতা।
পৌনে...
তোমারও অন্যপুরুষ আমারও অন্য নারী
তবুও হলদে পোষাক, তবুও হলুদ শাড়ী
এখানে রোদের মিছিল ওখানে বৃষ্টি ছাতি
অপেক্ষার ট্রাফিক জুড়ে দুরাশার হলুদ বাতি।
রাত ভোর হয়ে যায়।
আমি কি করছি জেনে
তোমাদের বুকের আগুন নেভে না তবু
জ্বলছো, জ্বলে উঠছো, পুড়ে যাচ্ছো।
জলে নামছো, তবু নিভছে না,
বরং আরো দাউদাউ পুড়ে যাও।
মানুষের চেয়েও আরো বেশি...
উঠবে নামবে, পাহাড়িয়া ঢল
মরমি মর্মের আকুতি নিয়ে জন্মাবে জাতিস্বর।
তার ডানায় সুগন্ধি রোদের ঋণচিহ্ন।
পালকে বৃষ্টির জলছাপ।
পলকে অপলক চেয়ে থাকা দিন।
সহস্র রজনীর ক্লান্ত চোখ তুলে
অস্পষ্ট স্বরে তোমাকে চেনাবে ভোর,
তুমি ফিরবে নীড়ে -...
গিলে খাচ্ছি, সব গোগ্রাসে গিলে খাচ্ছি।
আপনি আমাকে খেতে দেখছেন। আপনারাও দেখছেন।
ঈশ্বর দেখছেন।
সম্মিলিত জনতা আমাকে দেখে চিৎকার করে উঠলো-
\'সব গিলে খেয়ে ফেললো\'!
অথচ বেদনা আমাকে যখন গিলে খাচ্ছে;
তখন দিবাগত রাত। তুমুল অন্ধকার।
আপনি/আপনারা...
পাথর জানে শুধু,
এসবের কোন মানে নেই;
বৈরী প্রদেশে নাটাই ছিড়ে
সাধের ঘুড়িখান উড়ছেই।
কি দারুণ গুছিয়ে নিয়েছো,
সামাজিক ইরেজারে মুছে ফেলে গতকাল!
দেয়ালগিরি আলোকে ভুলেছ
আগুনের দিন; সহস্র আহতকাল।
কি যেন রিয়েলিজমে নিজেকে বোঝাও অন্যভাষা।
অর্ধেক জলের...
তারপর ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলো সুপুরির বন , কত বোশেখ এলো গেলো , কতবার গাঙ্গে এলো বান ,
পূবের সূর্যকে মেঘে ঢেকে ঢেকে এসে গেছে তুফান।
আর বালকের দল , বালিকারাও...
বহুদূর হেটে এসে বহুদিন পর,
হৃদয়ে রয়ে যায় সে অনন্ত স্বাক্ষর।
নিয়ত অসহায় স্মৃতির চারণভূমি,
তুমি তো জানো প্রেম; তোমায় কতটা আমি........
ধূসর জ্যোছনার মতো প্রগাঢ় ভালোবেসে
নত হয়ে বেঁচে আছি কবিতার কাছে
তারপর
বাতিদান নিভে ছন্দহীন
তেমন...
তারপর অনেক ভাত বেঁচে যাবে
জোনাকির সন্ধ্যার আগে তবু দারুন কাটবে ফাল্গুনের বিকেল।
সহস্র বেকুব বাজখাই জানাবে একহাজার বোকার গল্প।
মন্দির মাজারে সুগন্ধি ধুপ আতর,
অদেখা ঈশ্বরের পূজোর থালায়-
একরাশ লালকালো পিপড়ের দৌড়,
মানুষ তবু...
নিঃশ্বাসে অনুভব আসে? অপ্রেমিক অসহ্যতা অনুভব হয়? দম বন্ধ লাগে না? ইচ্ছে জাগে না তোর? আমার মতো! পিপাসা হয় কি অবিকল আমার মতো? ঝাপসা হয়ে আসে না আয়নাজোড়া?
▪️
এইসব বেপোরোয়া স্বাধীনতা...
অনুরোধ নেই, প্রিয় রোদ নেই
প্রিয়তম নেই রাতও;
তুমি তো বেশ পাশাপাশি থেকেও
অন্য কোথাও হাঁটো।
ভেঙোনা বন্ধু; তোমারও হবে
জোড়া শালিকের ভোর,
তোমারও হবে আটপ্রহরের ঠাঁই - ভিটেমাটি ঘর।
যেতে দাও।
শেকলের ঝনঝন যতদূর যায়; আরো দূর
ঈশানের মেঘ ধোয়া মাটিতে বুনে বীজ,
পথের দিশারি হবে নিশানের সুর।
সময়ের ছাকনিতে জীবনের থেকে
নির্লোভ...
©somewhere in net ltd.