নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু হতে না পারা কেউ আমি এই জীবনের ঢেউ
ঠুকরে খেয়ে গ্যাছে দিন ধান শালিকে,
হুশ করে দুখানি ডানার আন্দোলন,
চুপিসারে নিভিয়ে গেছে আলো।
মায়ের আঁচলের কি দারুণ ছোঁয়া কপালে
বাবার দুবাহুর ধীর আলিঙ্গন-আশীষ
মানুষের মনে থাকে সব;
শিশির অথবা দোয়েলের শিশ।
মুক্তির আনন্দের চেয়ে নিরানন্দ...
মেঠোপথখানি ভালোবেসে তাই শুধু বুনোফুল হবো,
সহজ কবিতার শব্দের মতো ভালোবেসে যাবো।
কতদিন হেলায় ধূলিরং মেখে হেটে যেতে যেতে,
কতবার জোছনায় বেলা অবেলায় তোমারে চেয়েছি পেতে।
সময়ের রং ধূসর হয়ে বিকেল বন্দী ফ্রেমে,
তোমার ঠোঁটের...
একদিন দম বন্ধ আসা এরকম দিন দরজায়,
জানালায়, বিছানায়, উঠোনে, মেঘলা দিন,
ধবল জ্যোৎস্নার দিন, তারার দিন, অদ্ভুত অন্ধকারের দিন,
শ্বাসনালিকার দীর্ঘ তুফান নিঃশ্বাসে-
ইচ্ছে করে দু\'গাল কষে চেপে ধরে জিজ্ঞেস করতে-
"কি কথা তার...
জীবনের হাটে নিষেধের ডালি,
"বেঁচো না স্বপ্ন যাতনা",
তবু নিষেধের দেয়ালে বেখেয়াল হয়ে
দুজনেই ভেঙেছি মানা।
বিষাদের ডানায় যে স্বপ্নে মেতেছি,
স্বপ্নটা তোমারো ছিলো,
জানোনা কোকিল পলাশের বুকেও
একটা হৃদয়ই ছিলো।
ভেঙে গেলে পরে গ্যাছে যে দিন
একেবারে চলে...
প্রেয়সীর নির্জন হাতের চকিত চুড়িয়াল সুর নয়,
বরং এখানে পাবেন,
নিশ্ছিদ্র অন্ধকার ঘন তৃষ্ণার খোঁজ।
তরঙ্গের উল্লাস এখানে নেই;
বরং ময়ূর-ভদ্রা-মুক্তেশ্বরীর মতো
মৃতপ্রায় ব্রহ্মপুত্র এবং যৌবনাবতী সাবেক ইরাবতীর সন্ধান।
সেখানে বিগত শোকসন্ধ্যার বিষণ্ণ ভায়োলিনটির
একটানা আর্তনাদ...
জানি তোর যত আছে কুঠি ঠিকুজি
ঘরখান ভেঙে দিতে অজুহাতই পুঁজি।
সস্তার সংলাপ ভরা রাস্তা কত
আমি তবু সবখানে আমারই মতো।
দেখে যাই ক্লান্তিতে শান্তির উল্লাস
ভ্রান্তির বিভ্রমেই চিরায়ত বাস।
চমকাই মেকি কিছু ভালো কথা শুনে
বেঁচে...
একদিন,
ফিরলে নাহয়।
ফেরাবার মেঘেরা যদিও ফেরারি তখন!
এবং আজন্ম ক্ষুধা নিয়ে চলে গেছে দূরে
ফেরাবার তাড়া নিয়ে জলভরা চোখ।
শুকিয়ে গেছে যে অনন্ত নদী, ঝর্ণার মতো।
একদিন ফিরলে তবে কিহয় বলো?
ফের জাগালে নাহয় শুকনো ক্ষত?
একদিন-
ফিরে...
তারপর ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলো সুপুরির বন , কত বোশেখ এলো গেলো , কতবার গাঙ্গে এলো বান ,
পূবের সূর্যকে মেঘে ঢেকে ঢেকে এসে গেছে তুফান।
আর বালকের দল , বালিকারাও...
ফেরাবো বলে,
আমার বিধর্মী ঈশ্বরকে পূজো দিয়েছিলাম।
আর মসজিদের মুয়াজ্জিনকে বলেছিলাম-
বলেছিলাম, \'তুমি আযান দিয়ে যাও ক্রমাগত\',
দ্বীনের নবীর কসম তুমি আযান দিয়ে যাও ক্রমাগত।
শুধু ফেরাবোই বলে!
কুয়াশা ফিরেছে, ফেরে নাই শুধু একজন।
ইশ!...
আমাদের পাশাপাশি হাঁটা হয় না বহুদিন
ইকোপার্ক কিংবা লাল মিয়ার ক্যন্টিনে চায়ের কাপ
আমদের কত কিছুই ছুঁয়ে দেখা হয় না কতদিন
তোমার কমলা পোষাকের সেই গোলাপী দিনে
আমি ভাদ্রের বান ডেকেছি হৃদয় পুরে।
কতবার অবুঝের...
বিচ্ছেদ জানে কতটা প্রগাঢ় এই একান্তর অনুভব।
আমাদের দেখা হবে না জেনেও
এই সমান্তরাল বেঁচে থাকা;
পৃথিবীর অক্ষীয় ও প্যারাবোলা সহস্র ঘূর্ণনের মতো-
একা এবং চিরন্তন।
অনুরূপ নির্জনতায় তুমিও তো বেখেয়াল হও; হও না?
ইচ্ছে জানানোর...
পৃথিবীর পথে কাঁটা।
কাঁটায় কেটেছো পড়ে
জীবনের মরীচিকা-বন্ধু
তুমিও বোশেখী ঝড়ে।
▫️
তবু হাসিমুখ নিয়ে ফুল দেখি
বাসি বেদনায় ঝরা
জানতে দিলোনা তোমায় কখনো
আমারো কোথাও খরা।
▫️
মাটি সরে যায়, ধীরে আর ধীরে,
কথারা ফুরায়।
নটকান মেঘ চিরে বোনা নকশি ব্যথারা
আকাশ...
খিল এটে কেউ খিড়কি খোঁজে;
পালাই পালাই উঠছে স্বর।
আমার দোরে খিড়কি কোথায়!
ফাঁক ফোকরেই ঢুকছে জ্বর।
বোহেমিয়ান বাতাস নাতিদীর্ঘ গোধূলিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনতিদূরের প্রায়ান্ধকার নীলাভ পান্না রঙ্গিন সন্ধ্যার কাছে! হেরিকেন-কুঁপি-পিলসুজের এই সন্ধ্যা- জোনাকের, ঝিঁঝিঁদেরও। এই সুরভিত সন্ধ্যা, বাতাবি-বেলী-হাস্নাহেনা-মাধবীর। অনতিদূরের একাকিত্বের নির্জন তিমির একরাশ ক্লান্তি...
জল পাথরের মফস্বলের স্মৃতির প্যারাগ্রাফ
রাত্রি হাওয়া ধুয়ে গেছে জল তুফানের ঝাপ।
ঘুম ভেঙ্গেছে ঝাপটা জলে ; মাতাল হাওয়ার জোর!
এমনি কবে ঘুম ভাঙ্গাবে আকাঙ্ক্ষিত ভোর!
পলকা হাওয়ায় অলকা বাঁধন স্মৃতির ঝাঁপির বাধন ছিড়ে,
স্মরণকালের...
©somewhere in net ltd.