নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.... দুই ঈদে আর পরীক্ষা শেষে ছুটিতে রাজীব বাড়ি যেত। এবার সে পৌঁছেছে প্রায় এক মাস আগেই। বরাবরের মতোই মা মনোয়ারা বেগম ছেলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। তবে এই অপেক্ষা ছিল দমবন্ধকর।
.... রাত আটটার দিকে মৃতদেহ বরফে মুড়ে লাশবাহী গাড়িতে করে তাঁরা নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাটে পৌঁছান। আবার বরফ দিয়ে নৌকায় করে নেওয়া হয় হাতিয়ার চৌমুহনীতে। হাতিয়ায় নানার কবরের পাশে জায়গা হয়েছে রাজীবের।
..... ছেলেকে দাফন করে কাল সন্ধ্যায় মনোয়ারা বেগম রওনা দিয়েছেন হাতিয়া থেকে।
........ যে ঘরে ছেলে থাকত, সে ঘরে এসে ছেলের স্মৃতি খুঁজবেন বলে এত দূর পথ পাড়ি দেওয়া তাঁর।
..... এটা উপরওয়ালার লেখা গল্প....
এই গল্পে কষ্টটা বেশি..... বাস্তবে স্বজন হারানোর কষ্ট পেতে হয় এমন গল্পে.... আমরা জানি আমরা একদিন মৃত্যুবরণ করবো।
তাহলে কেন স্বাভাবিকভাবে নয়?
কেন অস্বাভাবিক ভাবে মরবো?
কেন বাস চালক আর হেল্পার মিলে একটা ছেলেকে মেরে লাশ নদীতে ফেলে দিবে...
কেন প্রশিক্ষণবিহীন,লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার গাড়ি চালাবে...
কেন ১৮ বছর বয়সের নিচে গাড়ির ড্রাইভার দেখলে পুলিশ আটকাবেনা?...
কেন ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামবে?...
কেন দুর্ঘটনা হলে কোনো মন্ত্রী অন্য দেশের সাথে তুলনা করলে দূর্ঘটনার পক্ষে সাফাই গাইবেন?...
কেন জীবনের নিরাপত্তা চাওয়া বাচ্চাগুলাকে শ্রমিকরা পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিবে?...
......... এমন হাজারো 'কেন?'র উত্তর যতদিন এ দেশ পাবে না ততদিন অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া লাশের চাপে বাংলাদেশ শুধু ভারি হবে।
....... লাশটা আপনার অথবা আমারই হবে কিন্তু.... কোনো মন্ত্রীদের না।
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২০
রাজীব নুর বলেছেন: চারিদিকে শুধু কষ্ট আর কষ্ট।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: লেখাটা মনেহয় প্রথম আলোতে পড়লাম?