![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে আর কি লিখবো, অন্যেরা যা ভাবছে তা-ই শেয়ার করবো...
ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে প্রায় ৭৬ লক্ষ দরিদ্র নারীর ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন বলে গ্রামীণ ব্যাংকের দাবী। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। এর ফলে পরিবারে পরিবারে শান্তির আবহ বইছে। সমাজে শান্তি আনয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বাড়ানো। ড. ইউনূস সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি করেছেন। বিদেশেও অনুকরণীয় হয়েছে এই প্রচেষ্টা। সমাজে শান্তি স্থাপনে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা যে সর্বাগ্রে প্রয়োজন তা বুঝাতেই ড. ইউনূসকে শান্তিতে পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে মনে হয়।
আমাদের দেশে এই ঋণের কার্যকারিতা কতটুকু তা নিয়ে সম্প্রতি পেপার-পত্রিকা, টকশোতে কিছু কথা উঠেছে। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে এখন অনেক তর্ক-বিতর্ক চলছে। ক্ষুদ্রঋণ আদৌ গরীব মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে কিনা তা নিয়ে জাতি দুই ভাগে বিভক্ত। একটা কথা সত্যি যে ক্ষুদ্রঋণ কিছু ব্যক্তিকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করেছে। আবার এই ঋণের বেড়াজালে আটকে অনেকে সর্বস্বান্ত হয়েছে। জাতি হিসেবে আমরা জন্মগতভাবেই ঋণে জর্জরিত। তারপরও এই ঋণের চক্র থেকে মুক্তি পেতে আমরা চাই না। তাইতো চারিদিকে এত এত ব্যাংক, এনজিও, কো-অপারেটিভ সোসাইটির জয়জয়কার।
সাদামাটা দৃষ্টিতে ক্ষুদ্রঋণ বলতে বুঝি, ছোটখাট ধার-কর্জ। যিনি ধার দিবেন স্বাভাবিকভাবেই তিনি ধারের বিনিময়ে কিছু সুবিধা চাইবেন। ব্যাংক, এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো সুদের বিনিময়ে ঋণ প্রদান করে থাকে। ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া অনেক কঠিন। ঋণ পরিশোধে পর্যাপ্ত স্থায়ী সম্পদ আছে এই নিশ্চয়তা না পেলে ব্যাংক কোনোমতেই ঋণ দেবে না। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর এই সামর্থ্য নেই। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এনজিওগুলো বিনা জামানতে ঋণদান কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছে।
এখন আসা যাক ঋণের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনায়। ব্যাংক ঋণ হোক আর এনজিও ঋণ হোক, ঋণ তো ঋণই। ঋণের একটা সুদ আছে। সমস্যা হচ্ছে ব্যাংক এবং এনজিও উভয় প্রতিষ্ঠানই ঋণ নিয়ে এক অদ্ভূত খেলা খেলে যাচ্ছে ঋণগ্রহীতার সাথে। এতে ঋণগ্রহীতা ঋণের ফাঁদ থেকে মুক্ত হতে পারছে না কোনোক্রমেই। বরং আরও জড়িয়ে যাচ্ছে ঋণের জালে। ব্যবসায় ঋণের ক্ষেত্রে যার ব্যবসা আছে এবং লাভজনক তা দেখে ঋণ দেওয়া হয়।
এতে করে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে না। বেকার শিক্ষিত অনেক উদ্যোক্তা আছে যাদের সামান্য একটু মূলধন হলেই তারা উৎপাদনমুখী ব্যবসায় নামতে পারে। নতুন নতুন অনেক আইডিয়া নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু এরকম উদ্যোক্তাকে মূলধন সহায়তা দেওয়ার মতো সরকারের কোনো নীতিমালা নেই।
একটি উদাহরণ দেই। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামের শামছুল আরেফীন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্যান আবিষ্কার করেছে। প্রচলিত ৫৬ ইঞ্চি ফ্যানে যেখানে ৮০-১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ লাগে সেখানে শামছুল আরেফীনের ফ্যানে মাত্র ২০-৩০ ওয়াট বিদ্যুৎ লাগবে। শুধু ঢাকা শহরে যদি ৩ কোটি ফ্যান থাকে এবং এতে বিদ্যুৎ খরচ যদি এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনা যায় তাহলে বিদ্যুতের সমস্যা কতটা মিটানো সম্ভব শুধু এই উদ্যোগগুলোকে একটু পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় হতে ব্যবসায় শিক্ষায় সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়েও অনেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে এগিয়ে আসে না। এর প্রথম কারণ হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রফেশনাল উদ্যোক্তা সৃষ্টির মানসিকতা নেই। শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা তথা বিবিএ, এমবিএ শাখায় পড়াশুনা করে একজন ব্যবস্থাপক/প্রশাসক হওয়ার আশা নিয়ে। একজন উদ্যোক্তা হওয়ার আশা নিয়ে নয়।
শিক্ষাজীবন থেকেই একজন শিক্ষার্থীকে উদ্যোক্তা হওয়ার পাঠ হাতে কলমে ধরিয়ে দিতে হবে। ডিগ্রি বা সম্মান পর্যায়ের শিক্ষা থেকেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। ধরি একজন শিক্ষার্থীকে ২ লক্ষ টাকা বাজেটের একটি প্রকল্প জমা দিতে বলা হলো। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করে তাকে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২ লক্ষ টাকা মূলধন জোগান দেওয়া হলো। ফলাফল কি হতে পারে?
জোরদার মনিটরিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর প্রকল্পটিকে এগিয়ে নেওয়া যায়। আর্থিক সহায়তা পেলে এরকম ছোটখাট প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক শিক্ষার্থী এগিয়ে আসবে নিশ্চিত। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যবসায় শিক্ষা বলতে তাত্ত্বিক কিছু বিদ্যা মুখস্ত করিয়ে পরীক্ষার খাতায় তা উগড়ে দেওয়ার ব্যবস্থাকেই বুঝায়। ব্যবসায় শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা। উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য মূলধনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আামদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য আলাদা কোনো রিসার্চ সেন্টার নেই। এরকম রিসার্চ সেন্টার গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিবছর বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখতে হবে। এভাবেই আমরা উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে পারি। তাই ক্ষুদ্রঋণ নয় বরং ক্ষুদ্র মূলধনের সংস্থান করে উদ্যোক্তা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: সহজ কথায় ব্যবসা হচ্ছে পণ্য বা সেবার বেচাকেনা। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা না করেও অনেকে ব্যবসায়ে সফল হতে পারে। আবার প্রচুর পড়াশুনা থাকলেও বাস্তবে ব্যবসায়ে নেমে অনেকে ধরা খেতে পারে।
কাউকে যদি ব্যবসায় শিক্ষাদানের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়, সেটা অনেক কার্যকর হবে। এটা একমাত্র শিক্ষাতেই সম্ভব। ব্যবসায় শিক্ষা কারিকুলামে 'ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা' নামে একটি বিষয় আছে। কিন্তু এই বিষয়টিও শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা বানাতে কার্যকর হচ্ছে না। কেননা আমাদের মানসিকতা আসলেই 'কেরানী' হওয়ার/বানানোর মানসিকতা।
কেউ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে শুনলে আমাদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হয়। আর সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী কেউ ব্যবসা করছে শুনলে তো আমরা চোখ কপালে তুলে ফেলি।
ব্যবসা করতে পড়াশুনার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। শিক্ষিত ব্যক্তিরা যতদিন পর্যন্ত ব্যাপকহারে ব্যবসায়ে না আসবে ততদিন ব্যবসায়ে নৈতিকতা দূরেই থাকবে। কারণ অধিকাংশ অশিক্ষিত ব্যবসায়ী জানেই না যে সামাজিক দায়িত্ববোধ কি?
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৩ শে জুন, ২০১২ সকাল ৯:১২
মতামত চাই বলেছেন: আপনার চিন্তাধারার সাথে আমি একমত। ধন্যবাদ।
২৩ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৪০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার নিকটাই এমন যে আমি আমার মতামত দিয়ে খুব খুশী হলাম।
৩| ২৪ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:০৫
অদম্য১২৩৪ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখেছেন
২৪ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদম্য। শুভকামনা জানবেন।
৪| ২৪ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব,
শুধু ধন্যবাদ নয়, আপনার জন্যে রইলো অকৃতিম শুভাকাঙ্খা ।
এতো অলোচিত বিষয়টি নিয়ে আপনার মতো এতো সহজ করে দেখার চোখ আর কারো ছিলো বলে আমি জানিনে ।
ক্ষুদ্রঋণ নয় ক্ষুদ্র মূলধন দিন- ঋণগ্রহীতা নয় উদ্যোক্তা বাড়ান আপনার এই লাইনটিই আমাদের জাতীয় শ্লোগান হয়ে উঠুক ।
ষ্টিকি করার আহ্বান জানাচ্ছি তাদেরকেই যাদের দেখার চোখ আছে ....
২৪ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
আপনার মন্তব্যটি খুবই প্রেরণাদায়ক।
মূলধনের সংস্থান করে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। এটা খুবই সহজ। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় 'ব্যবসায় শিক্ষা' এবং উচ্চতর পর্যায়ে সম্মান, বিবিএ, এমবিএ ইত্যাদি আছে। এগুলোতে উদ্যোক্তা সৃষ্টির তাত্ত্বিক পাঠ আছে। এখন প্রয়োজন প্রায়োগিক পাঠ। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রকল্প আহ্বান করে সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক যোগ্য প্রকল্পগুলোকে মূলধন জোগান দেওয়া যায়।
এভাবে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা সম্ভব। শিক্ষিত যুবকরা ব্যবসায়ে আসতে চায় না কারণ এখানে আসার সুনির্দিষ্ট কোনো পথ নেই। প্রায় সবাই চাকুরি না পেয়েই বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ে আসে। তখন না থাকে ব্যবসার মানসিকতা, না থাকে স্বপ্ন দেখার মানসিকতা। ফলে রাতারাতি বড়লোক হবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে।
ব্যবসায় হওয়া উচিত খুবই স্বচ্ছ। একজন শিক্ষার্থী যখন শিক্ষারত অবস্থা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা নিয়ে ব্যবসায়ে আসবে তখন ব্যবসায়টা আপনা আপনিই সুস্থধারায় চলে আসবে।
৫| ২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব,
আবার না এসে পারা গেলনা । আপনি যা বলেছেন, সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর কোন বিকল্প নেই । আমরা " গরিবি হঠা্ও" বলে চীৎকার করে মজা পাই । দু'টো হাততালি জোটে । এই ই আমাদের অর্জন ।
আপনার মতো লোকেদের জন্যে দরকার একজন লীডার ...ন্যাশনালিষ্ট । একটি প্লাটফর্ম । এ এক বিশাল কর্মযজ্ঞের ব্যাপার । আদৌ তা আমাদের নাগাল হবে কিনা, সন্দেহ থেকেই যায় ।
তবে একটা সহজ হিসাব, যারা ভেবে দেখার তারা ভেবে দেখতে পারেন ।
আমরা দেখেছি শত শত কোটি টাকা ঋন নিয়ে খেলাপী হতে । " খেলাপী" শব্দটি একটি আই ওয়শ । ওটার আর এক নাম স্রেফ মেরে দেয়া । ব্যাংকাররা সে টাকা তুলতে আশা ছেড়ে দেন । যদি এইসব পন্ডিত ব্যাংকাররা এবং গদিনশীন সরকার তাদের মাথাটি একটু খাটান তবে একটা কাজ করতে পারেন । একজনকে কোটি টাকা না দিয়ে, আপনার
( আন্দালিব) প্রস্তাবিত মতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে ৫/১০ লাখ টাকা দিয়ে দেখতে পারেন । এভাবে শুধু একজনকে ১০০ কোটি টাকা ( পাবার আশা ছেড়ে দিয়েই এইসব লোন পাশ হয় ) না দিয়ে ১০ লাখ করে হিসাবে শত শত বেকার যুবক এবং পূঁজিহীন উদ্যোক্তাদের দিতে পারেন, কো-ল্যাটারাল ছাড়াই ( গ্রামীন ব্যাংকের মতো ) । এদের মধ্যে ক'জন টাকা মেরে দেবেন ? ধরা যাক ৫০ % । তাহলেও ব্যাংক তাদের অর্ধেক টাকা ফেরৎ পাচ্ছেন । আর পাশাপাশি ৫০% শিল্প প্রতিষ্ঠা পেলো । বেকার সমস্যার চাকা খানা গর্ত থেকে খানিকটা তোলা গেল । সরকারের যুব "ভোট ব্যাংক" তৈরী হয়ে গেল কোন ও চাকুরীর লোভ দেয়া ছাড়াই । তখন ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়ার প্রয়োজনই পড়বেনা ।
হয়তো সবাই বলবেন , অবাস্তব । খুবই খাটি কথা । লাখ টাকা আবার একটা টাকা নাকি! আরে ভাই , কচুগাছ কাটতে কাটতেই তো ডাকাত হয় ! ছোট্ট ছোট্ট করেই শুরু করুকনা সবাই ।
কিন্তু আপনার এই বই-পুস্তকের মতোন অর্থনৈতিক প্রস্তাবনাগুলো কি এর চে' বেশী বাস্তব ? কারন কে করবেন এগুলো ? কোন পলিসি মেকাররা ? জনাব মাল মুহিতের মতো খান কয়েক এরকমের মাল থাকলেই ভবিষ্যত ফরসা ।
আপনার বক্তব্যের প্রতি সশ্রদ্ধ সম্মান রেখেই বলছি , এভাবে করারও একটা আ্ওয়াজ তুলুন । পলিসি মেকারদের বোঝান, বিনা পুঁজিতে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলের এর চে' ভালো রাস্তা আর নেই । আমাদের উদ্দেশ্যটা সফল হলেই হলো । এটা হলো - ডেভিল'স অল্টারনেটিভ ।
পরিশেষে - মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করে আবারো এই পোষ্টখানিকে "ষ্টিকি" করার অনুরোধ জানাচ্ছি ।
২৫ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:২১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনাকে আবারও ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
আমি, আমরা যেভাবে ভাবছি অন্য অনেকে হয়তো সেভাবে ভাবছে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত সরকার যদি উদ্যোক্তা উন্নয়নের পলিসি হাতে নেয় তবে এদেশে ভবিষ্যতে ব্যবসায় ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
আপনার স্বচ্ছ পরিকল্পনাটা ভালো লাগলো। উদ্যোক্তাদের মূলধন দিতে হবে তবে পরিকল্পিতভাবে। বাংলাদেশে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক আছে। এই ব্যাংক থেকে কতজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা আমার জানা নেই। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য কি কি কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয় তাও জানিনা। বিচ্ছিন্নভাবে অনেক পরিকল্পনাই নেওয়া হয় কিন্তু শেষে তা অশ্বডিম্ব প্রসব করে।
প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ বেকার যুবক আমাদের শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান থাকার পরেও এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা যাচ্ছে না তা অবিশ্বাস্য। তবে সমস্যা হলো যে কোনো উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত লুটপাটের ভাণ্ডারে পরিণত হয়।
উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজটা করতে হবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে। ধরা যাক, কোনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে এ বৎসর ২০ জন ছাত্র ভর্তি করা হলো 'ব্যাচেলর অব বিজনেস এন্টারপ্রিনিউরশীপ' বিষয়ে। প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুত, প্রকল্প যাচাই, মূল্যায়ন ইত্যাদি করা হলো। সবশেষে তাদের মূলধন সংস্থান করে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসায় আরম্ভ করার জন্য প্র্যাকটিকেল ফিল্ডে নামানো হলো।
এই বিশ জনের সবাই যে উদ্যোক্তা হয়ে যাবে এমনটি নাও হতে পারে। এর অর্ধেকও যদি সফল উদ্যোক্তা হয় তাহলেও একটি শিক্ষিত উদ্যোক্তা শ্রেণী পাওয়া যাবে। প্রতি বছর যদি শিক্ষার্থীদের এ সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হয় আর সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এ বিষয়টি থাকে তবে আমরা অচিরেই একটি বিশাল উদ্যোক্তা শ্রেণী পাবো।
আপনার প্রস্তাবিত মতে সরকার শিক্ষিত বেকার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি কর্মসূচি হাতে নিতে পারে। উপবৃত্তির নামে শতকোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এই খয়রাতি সাহায্য শিক্ষার্থীদের কিছুটা স্কুল কলেজগামী করলেও শিক্ষার মানোন্নয়নে তেমন প্রভাব ফেলছে না। এরকম অর্থ উদ্যোক্তা উন্নয়নে ব্যবহার করলে তার সুদূরপ্রসারী ফলাফল আসতো।
আবারও ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। পোস্টটি স্টিকি হলে হয়তো বিষয়টি নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা আসতো। আলোচনার ফলাফল হিসেবে একটি ফর্মূলা দাঁড় করিয়ে পলিসি মেকারদের বুঝানোর একটি কর্মসূচি হাতে নেওয়া যেতো। তারপরও আপনাদের কয়েকজনের কাছ থেকে যে সুচিন্তিত মতামত এসেছে তার প্রেক্ষিতে আমার এই ধারণাটি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে।
আমি সীমিত সামর্থ্য নিয়ে কিছু কিছু কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কন্ঠস্বরগুলো একদিন জোটবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে এ আশা করতেই পারি।
শুভকামনা জানবেন।
৬| ২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব,
প্রথমেই আবারো বলে নেই - "ডেভিল'স অল্টারনেটিভ" বলে একটা কথা আছে , যেটা আগেও বলেছি। আপনার সকল প্রস্তাবনায় আমি একমত ।
লিখেছেন - "....উদ্যোক্তাদের মূলধন দিতে হবে তবে পরিকল্পিতভাবে। বাংলাদেশে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক আছে। এই ব্যাংক থেকে কতজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা আমার জানা নেই। যুব উন্নয়ন ... ...."কিন্তু আপনার প্রস্তাবনার এই জাতীয় আকাঙ্খার ব্যাপারে আমার কেন সকলেরই সন্দেহ আছে শতভাগ । তাই আমার "ডেভিল'স অল্টারনেটিভ" কথাটি বলা এবং ঐ প্রস্তাবনা্ও । কারন আপনার আশা মতোন উদ্যোগ যারা নেবেন তাদের নাকের সামনে একটা মুলো না ঝোলালে এরা নড়বে চড়বে না মোটেও । যেখানটায় জনসেবা আছে কিন্তু লাভ নেই সেখানটাতে আমাদের নেতৃবৃন্দ নাক দিয়ে শুকেও দেখবেন না । এটা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য ।
সংক্ষেপে এটাই বলতে চাচ্ছি , পিঠে খামচি দেয়ার কথা বলে কাউকে দিয়ে পিঠখানা চুলকে নেয়া আর কি ... ! দু'পক্ষই খুশি । একপক্ষ খুশি এই কারনে যে , খামচি দিতে পেরেছে । আর অন্যপক্ষ খুশি পিঠটা চুলকানো হয়েছে ভেবে ।
বোঝাতে পেরেছি ?
এছাড়া আমাদের আর তড়িৎ কোন পথ খোলা নেই ...
" ষ্টিকি হোক "
পুনঃশ্চ - আপনার ব্লগে অনেক শক্তিশালী লেখা দেখলুম । তাই আপনাকে অনুসরনে রেখেছি ।
২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:১০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: 'ডেভিলস অল্টারনেটিভ' কথাটি খুব মনে ধরেছে।
তাই আমার "ডেভিল'স অল্টারনেটিভ" কথাটি বলা এবং ঐ প্রস্তাবনা্ও । কারন আপনার আশা মতোন উদ্যোগ যারা নেবেন তাদের নাকের সামনে একটা মুলো না ঝোলালে এরা নড়বে চড়বে না মোটেও । যেখানটায় জনসেবা আছে কিন্তু লাভ নেই সেখানটাতে আমাদের নেতৃবৃন্দ নাক দিয়ে শুকেও দেখবেন না । এটা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য ।
ঐতিহাসিক এই সত্য কথাটির জন্যইতো সেই ডেভিলদের কাছে যেতে ইচ্ছে করে না।
তবে আমার মনে হচ্ছে আপনার কাছ থেকে পরামর্শমূলক আরও সহায়তা পেতে পারি। দয়া করে যদি আপনার মেইল অ্যাড্রেসটা দিতেন...আমারটা [email protected]
৭| ২৬ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৫৮
নাসরীন খান বলেছেন: আমি মনে করি গ্রামীন ব্যাংক এর মত ঋণ নয়।গ্রামের মানুষ সে সূদটা জায়েয মনে করে।তাদের মধ্যে তাই সূদ প্রথায় ঋণ দেয়ানেয়াটা বেশী। শুধু তাই ব্যাংকের টাকাও শোধ করে ঋণ নিয়ে। তাই উৎপাদনশীল খাতে সরকারী সহযোগীতা দরকার।তাতে দেশটা দাঁড়াবেকোনদিন সগেৌরবে।
২৬ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: শুধু তাই ব্যাংকের টাকাও শোধ করে ঋণ নিয়ে।
একেবারে সঠিক কথা। আমার নিজ চোখে দেখা।
তাই উৎপাদনশীল খাতে সরকারী সহযোগীতা দরকার।তাতে দেশটা দাঁড়াবে কোনদিন সগৌরবে।
পূর্ণ সমর্থন।
৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৯
শহীদুল্লাহ খান বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: প্রিয়তে রাখার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১২ ভোর ৫:৫৪
সংবাদিকা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন....... আমাদের দেশে ছোট কাল হতেই বাচ্চাদের শেখানো হয় ভালো "চাকুরী" পেতে কি কি করতে হয় তা........... ওই বৃটিশ আমলে "কেরানি" হবার ব্যাপারে যে দীক্ষা দেওয়া হত তারই উন্নত সংস্করণ।
অনেক মানুষই মনে করে ব্যবসা করতে পড়াশুনা করতে হয়না !!!