নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার আকাশে বাতাশে

স্বাধীন বাংলার স্বাধীন ব্লগার...... . . .

বেনজির আহম্মেদ শাওন

আমার ব্লগ আপনার কতটা ভাল লাগবে জানি না, ভাল না লাগলে কিছু যায় আসে না। (2012-2014) ©Benzir Ahammed Shawon http://www.facebook.com/BDBSX

বেনজির আহম্মেদ শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অক্সিজেন দেওয়ার লোক না পাওয়ায় রোগীর মৃত্যু!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫২

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালে অক্সিজেন দেওয়ার লোক

না পেয়ে আজ সোমবার শহিদুল ইসলাম

(৪৫) নামের এক রোগীর মৃত্যু

হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ

ঘটনার পর রোগীর স্বজনদের

সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের

হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় রোগীর

স্বজনদের কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়

বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মৃত শহিদুলের বাড়ি নগরের চণ্ডিপুর

এলাকায়। তিনি রাজশাহী জনস্বাস্থ্য

প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী ছিলেন।

শহিদুলের ছেলে নাহিদুল ইসলাম জানান,

বিকেল সাড়ে তিনটা বা পৌনে চারটার

দিকে শহিদুল অসুস্থ

হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালের

জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তাঁরা। সে সময়

তিনি শ্বাস নিতে পারছিলেন না। অক্সিজেন

দিতে বললে সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক

বলেন, অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এরপর তাঁদের ২৬ নম্বর

ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর নার্স বলেন,

অক্সিজেন দিতে হবে,

স্যারকে (কর্তব্যরত চিকিত্সক) ডাক

দেন। কিন্তু ওই চিকিত্সকের কক্ষের

দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেক

ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলা হয়নি।

এসব করতে প্রায় আধা ঘণ্টা সময়

পেরিয়ে যায়। তিনি (নাহিদুল)

ফিরে এসে দেখেন তাঁর বাবা আর নেই।

নাহিদুলের চাচাতো ভাই রাজু বলেন,

অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ কি না,

সেটা দেখতে লাশ নিয়ে আবার

জরুরি বিভাগে যান তাঁরা। সেখানে গিয়ে এক

কর্মচারীকে মেশিন ছাড়তে বলেন তাঁরা।

মেশিন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, নল

দিয়ে অক্সিজেন বের হচ্ছে। এটা দেখে আর

সহ্য করতে না পেরে সাদা পোশাক পরা ওই

কর্মচারীকে ঘুষি মারেন তিনি (রাজু)।

এরপর কর্মচারীরা তাঁদের ঘিরে ফেলেন।

পুলিশ আসার কিছুক্ষণ পর

ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের।

রাজু বলেন, তখন অক্সিজেন

দিতে পারলে এই দুর্ঘটনা আর ঘটত না।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালকের

সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও

কথা বলা যায়নি। তাঁর ফোনটি বার বার

ব্যস্ত পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার

রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালের ১৩ নম্বর

ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া এক রোগীর

চিকিত্সা দিতে বিলম্ব হওয়ার কারণে ওই

রোগীর একজন স্বজনের হাতে একজন

শিক্ষানবিশ চিকিত্সক লাঞ্ছিত হন।

এরপর তাঁরা চিকিত্সকের

কাছে ক্ষমা চেয়ে রোগীটির

চিকিত্সা দেওয়ার অনুরোধ জানান। এর

পরও তাঁরা সম্মত হননি। এ

নিয়ে কথা বলতে গেলে রোগীর

ভাইকে শিক্ষানবিশ চিকিত্সকেরা বেদম

প্রহার করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

শিক্ষানবিশ চিকিত্সকেরা রোগীর

স্ত্রীকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

এ খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা হাসপাতালের

ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে ওই

চিকিত্সকেরা রোগীর স্বজনদের

ফেলে সাংবাদিকদের ওপরে হামলা চালান।

এতে অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হন।

পাঁচটি ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর

করা হয়। ঘটনার পর

থেকে চিকিত্সকেরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০০

ডাঃ মোঃ কায়েস হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ঔ মিয়া মিথ্যাচার করার আর যায়গা পান না। হাসপাতালে রোগীর অবস্থা ত ডাক্তার থেকে রোগীর আত্মীয় স্বজনরাই বেশি বুঝে নাকি??????

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৫

বেনজির আহম্মেদ শাওন বলেছেন: আরে ভাই মিথ্যাচার কি একজন রোগী মারা যাচ্ছে আর তাদের কোন রিসপন্সই নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.