![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনোবিজ্ঞানে একটা বিষয় আছে, "XENOPHOBIA". এটার অর্থ হচ্ছে অন্য জাতি অথবা বিদেশীদের সম্পর্কে ভীতি পোষন করা। এখন কথা হচ্ছে, ফেবুতে এই কঠিন মনোরোগ নিয়ে জ্ঞান কপচানোর মানে কী? মানে হচ্ছে আমরা ***আশরাফুল মাখলুকাত***(একটু ব্যাঙ্গ করেই বললাম, মনে আঘাত পেলে আপনার মনে দোষ আছে।) বিজ্ঞানীদের ভাষায় Homo Sapiens জীনগত ভাবেই " XENOPHOBIC"। বুঝলেন না তো? কঠিন হলেও বোঝা দরকার। তাইলে আরেকটু সহজ করে বলি,
ইতিহাস ঘাটাঘাটি করে যত যুদ্ধ, বিবাদ যা যা পাবেন সেইগুলা তো শুধু সম্পদ, সীমানা আর ভোগের জন্য হয় নাই। যদি ভেবে থাকেন এগুলোর জন্য এত কিছু তাইলে আপনে বোকারাম। কারন এগুলো কোনো কারনই না। মুল কারন হচ্ছে, একদল ভাবে তারা অন্যের দলের থেকে উচ্চ শ্রেনীর। কারণ নিম্নশ্রেনীর দলের উপরে আক্রমন করে তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করে। এই যে ক্ষমতা প্রদর্শনের যেমন-মানসিকতা এটা আসে জাতিগত ভীতি থেকে। আর এই জাতিগত ভীতির আরেক নাম "XENOPHOBIA"।
"Peace comes after the War, then Greed takes over. And the cycle begins... So basically we are not peaceful by nature. We are peaceful when tired of being fought. In historical literature we often read that, 'In the beginning there was nothing...,' Then the chaos started everything. What you expect from something that begins with destruction. Obviously it'll devour everything that comes in its way. Look around yourself, it will look familiar if you can see.!"
কথাটা কোথায় যেন পড়েছিলাম মনে নেই, তবে মনে গেঁথে রয়েছে। উপরের কথা গুলো অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও, মুল কথায় যাবার আগে একটু ভূমিকা দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। আশা করি ক্ষমা করবেন। চলুন তাহলে মুল প্রসঙ্গে যাই।
সাল ২০২৪
দেশ উত্তাল!
আন্দোলন চলছে কোটা পদ্ধতির বাতিলকরণ নিয়ে। কোটা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। না জেনে থাকলে অনুগ্রহপূর্বক গুগলের সহায়তা নিন। এই কোটা পদ্ধতি স্বাধীনতার পর থেকেই চলছে।
BBC এর সূত্র মতে জানা যায়
"১৯৭২ সালের নির্বাহী আদেশে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ মেধা এবং বাকি ৮০ শতাংশ জেলা কোটা রাখা হয়। এই ৮০ শতাংশ জেলা কোটার মধ্য থেকেই ৩০ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধা এবং ১০ শতাংশ কোটা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অর্থাৎ কোটার বড়ো একটা অংশই বরাদ্দ করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।
“সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের বেশিরভাগই ছিল– কৃষক, শ্রমিক, মজুর, তাঁতি। এরা কিন্তু সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ ছিল। সেই কারণেই যখন দেশ স্বাধীন হলো তখন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার চিন্তা থেকেই বলা হলো যে তারা কোটা পেতে পারে এবং সেই কোটা ব্যবহার করে তাদের পরিবারের উন্নতি হতে পারে। সে কারণেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা আসছে,” বলেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান।
এরপর ১৯৭৬ সালে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন করে কমিয়ে আনা হয় ৬০ শতাংশে, এরপর ১৯৮৫ সালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের কোটায় অন্তর্ভুক্ত করে এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ১ম ও ২য় শ্রেণির পদসমূহের জন্য মেধাভিত্তিক কোটা হবে ৪৫ শতাংশ এবং জেলাভিত্তিক কোটা হবে ৫৫ শতাংশ করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে পরিবর্তন করে এই হার ৩০ শতাংশে আনা হয় ২০০২ সালে। যা ২০১৮ সাল অর্থাৎ প্রথম কোটা সংস্কার আন্দোলন পর্যন্ত থাকে।”
সূত্র BBC News Bangla (Link: https: //shorturl.at/WD1If)
কোটা আন্দোলন প্রথমবারের মতো বড়ো আকারে রূপ নেয় ২০১৮ সালে। হাইকোর্টে দায়ের করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও দুই সাংবাদিক এর রিটে এই পদ্ধতির সংস্কার চেয়ে পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট সেই রিট খারিজ করে দিলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা। পরবর্তীতে এতে যোগ দেন বিভিন্ন বয়স-শ্রেনীর ছাত্র এবং অন্যরা। একই আদর্শে ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর মাধ্যমে আন্দোলন পরিচালিত হতে থাকে। অবশেষে ১১ এপ্রিলে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের ভিত্তিতে অক্টোবর মাসে কোটা পদ্ধতির বাতিলের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলে সেই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখে।
তারপর গত ৫ই জুন ২০২৪ সালে এই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আগের ব্যবস্থা বহাল করে করে হাইকোর্ট। এতে বিস্ময় এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র জনতা। আবার আন্দোলনে নামে তারা। শুরু হয় বিভিন্ন কর্মসূচি যার বর্তমান অবস্থা আপনারা কমবেশি সবাই জানেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই আন্দোলন কি আদৌও সার্থক হবে? হলেও কীসের বিনিময়ে?
এই আন্দোলনকে সার্থক করতেই হবে। যতই বাধা আসুক, যতই চোখ রাঙাক ভয় পেলে চলবে না। মেধার রক্ত তো ঝরেছেই। এই রক্ত, ঘাম, নাওয়া-খাওয়ার জলাঞ্জলি, প্রিয়জনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, দিনরাতের পরিশ্রম, নিঃস্বার্থ এইসব ত্যাগের সম্মান দেওয়ার জন্য হলেও আমাদের সফল হতে হবে।
চলমান আন্দোলনের একটা দুর্বলতা আছে, তা হলো এই আন্দোলন একটি বিষয় কেন্দ্রিকই পরিচালিত এবং প্রবাহিত হচ্ছে। আর শুধু ছাত্র সমাজই এই আন্দোলনের মুল চালিকা শক্তি। কিন্তু শুধু ছাত্রদের দিয়ে এই বিপ্লবের সফলতা ঘটানো কি আদৌ সম্ভব। তাদের ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি দিয়ে বিপ্লব ঘটানো কতটুকু কার্যকর হবে সেটাও ভাবার বিষয়। কারণ ছাত্র-সমাজ আবেগপ্রবণ, তার বাঁধভাঙা জলপ্রবাহের মতো দুর্নিবার। এই প্রবাহকে এখনই সঠিকভাবে পরিচালিত না করতে পারলে এই বিপ্লব পরিণত হবে বিশৃঙ্খলায় সেখান থেকে যুদ্ধ-বিগ্রহে। বিপ্লব তো সফল হবেই না সাথে ঝরে যাবে আরো অনেক মূল্যবান মেধা। আর ছাত্র-সমাজের সম্মান মিশে যাবে মাটিতে। ছাত্র-সমাজ তাদের কাজ করে দিয়েছে। তারা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে সমাজের সব অসংগতি। এখন আমাদের একটাই কাজ, এই ৭ কোটি ২৫ লক্ষ (সূত্র https: //shorturl.at/oR7gm) ছাত্র-সমাজের সাথে আমাদেরও গলা মেলাতে হবে। তবেই কেঁপে উঠবে স্বৈরাচারের ভিত।
তাই সমাজের প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবী এবং বিজ্ঞজনের নেতৃত্বে একে একটি জাতীয় সংকটে পরিণত করতে হবে। তবেই সকল শ্রেনীর মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নেবে। কোটার সাথে সাথে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার অবকাঠামো সংস্কার, বেকারত্বের সমাধান, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রণয়ন, মেধার সঠিক মূল্যায়ন, প্রবাসী মেধা দেশে ফিরিয়ে আনা, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনবল বৃদ্ধির সুপরিকল্পনা, সকলপ্রকার বৈষম্যের বিলুপ্তি এবং চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থার দুর্নীতি সহ আরো বিষয় আছে এই বিপ্লবকে বিস্তৃত করার।
এইক্ষেত্রে সমাজের প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবীসহ যারা এইসকল বিষয়ে জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞ তারা বিষয়গুলোকে একীভূত করে একটি “ন্যায়সংগত আদর্শ” দাঁড় করাতে পারলেই সব-সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এই আন্দোলন। ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যায় সঠিক নেতৃত্বের অভাবে অনেক বিপ্লবের আগুন অঙ্কুরেই নিভে যায়। আমাদের এই আন্দোলনের যখন জ্বলেই গিয়েছে, একে ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের প্রতিটি কোনায়। আমাদের চাই বলিষ্ঠ সেই সাথে চরম ঘাড়ত্যাড়া নেতৃত্ব আর হিমালয়ের মতো দৃঢ় এক আদর্শ। অটল আদর্শের নেতৃত্ব, অদম্য-বিপ্লবী ছাত্র সমাজ আর অকুতোভয় আপামর জনসাধারণের সম্মিলিত প্রতিবাদ। এই পরাশক্তি সাথে নিয়েই এই বিপ্লবকে ছড়িয়ে দিতে হবে ৫৬ হাজার বর্গমাইলে প্রতিটি কোনায়।
ছড়িয়ে পড়েছে, বিপ্লবের আলোয় সব অন্ধকার দূর করে নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে মাত্র ৩৬ দিনের মাথায়। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনতন্ত্র মাত্র ৩৬ দিনেই গুড়িয়ে যাবে তা হয়ত বিপ্লবীরাও বুঝতে পারেননি। সবাই ধরেই নিয়েছিল প্রতিরোধ আর প্রতিযোগের এই দ্বন্দ্ব একসময় গৃহযুদ্ধে রূপান্তরিত হবে। অধিকাংশই এই ধারণা নিয়েই মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু ৫ আগস্ট ২০২৫-এ মুজিব কন্যার দেশ ত্যাগের মাধ্যমে দেশের তৎকালীন সংসদের বিলুপ্তি এবং রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে সেনাবাহিনীর জরুরি অবস্থায় ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এখন একমাত্র কাজই হয়ে গেছে, স্বাধীন দেশ বার বার স্বাধীন করা) আন্দোলনকারীদের বিপ্লব সফলতা পায়। ড. ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টার পদ অনুরোধ করে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আদেশ দেন। অতঃপর কার্যত ৩ দিন শাসনব্যবস্থা এবং আইন শৃঙ্খলা বিহীন থাকার পর তাড়াহুড়োয় ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণ করে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যার পরিষদের অনেক সদস্যই বিতর্কিত করেছে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে। অবশেষে নানা রদবদল এবং যোগবিয়োগের মাধ্যমে গত ১৩ মাস এই সরকারের হাতে দেশ পরিচালিত হতে থাকে। এই বিষয় নিয়ে পরে আলাদা বিষয়ে আলোচনা করা দরকার। নইলে লেখাটি বেশী দীর্ঘ হয়ে যাবে। আপাতত এই থাক।
এখন কথা হচ্ছে, বিপ্লবের আলোর যেই উজ্জ্বলতা চব্বিশের আগস্টে ছিল এখন এই ১৪ মাসে তার অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। উৎসাহ উদ্দীপনায় ভাটা পড়েছে। আমরাও প্রায় ভুলতে বসেছি এক বছর আগের সেই বিভীষিকা। কিন্তু সংশোধন এবং পরিবর্তনের আশা দিয়ে যাত্রা শুরু করা নতুন বিজ্ঞ উপদেষ্টা পরিষদ তার কতটুকু সার্থক করতে পেরেছেন এখন এটাই মুখ্য চিন্তার বিষয়। আমি তো কোনো সংশোধিত এবং পরিবর্তিত বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি না। আপনারা কি পারছেন? অন্তত আমার চোখে ধরা পড়েনি কোনো পরিবর্তন। হ্যাঁ, এক রাবণকে হটিয়ে নতুন রাবণকে প্রতিষ্ঠাপিত করেছি সমাজের বিভিন্ন স্তরে। এই এক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। তা ছাড়া তেমন আর কিছুই পরিবর্তন হয়নি। কাদা ছোড়াছুড়ির সেই পুরোনো খেলাই এই একবিংশ শতাব্দীর এক-চতুর্থাংশ পার করেও আমরা খেলে যাচ্ছি। কবি বলেছেন, "খেলারাম খেলে যা”। খেলারাম খেলেই যাচ্ছে, আর আমরা আম জনতা সাধারণ দর্শকের ন্যায় বিনা টিকিটে সেই খেলা দেখেই যাচ্ছি।
একটাই ভয় আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, বিগত সময় সংঘটিত বিপ্লবগুলোর মতো এই বিপ্লবও যদি মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থ উদ্ধারেই বিনষ্ট হয়ে যায়। তবে নিজেকে হয়ত ক্ষমা করতে পারবো না। জীবনের অর্ধায়ু পার করে এই দেশ, এই সার্বভৌমত্বের সম্মান ক্ষুণ্ন করার আত্ম দংশনে দগ্ধ হয়ে বেঁচে থাকা সত্যিই মূল্যহীন। আর দ্বিধা আমাকে এখন আর বিপ্লবী হতে দেয় না, এই ভয়ই আমাকে অদৃশ্য শেকলে বেধে রাখে। আমি পলাশীর যুদ্ধ দেখিনি, ফকির বিদ্রোহ দেখিনি, সিপাহি বিদ্রোহ দেখিনি, আমি স্বদেশী আন্দোলন দেখিনি, আমি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন দেখিনি, আমি ভাষা আন্দোলন দেখিনি, আমি উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান দেখিনি, আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আমার শৈশবের স্মৃতি। তবে আমি রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীর বিচার আন্দোলন দেখেছি, নিরাপদ সড়কের আন্দোলন দেখেছি। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অংশও নিয়েছি। আবার এইসব বিপ্লবের অকাল মৃত্যুও দেখেছি। দেখেছি রাজনৈতিক কূট কৌশলের কাছে আদর্শের অপমৃত্যু। গুটিকতক স্বার্থবাদী ভেড়ার চামড়া গায়ে নেকড়ের নেতৃত্বে এক এক বিপ্লব পরিণত হয়েছে হাস্য-রসিকতায়। দেখেছি নেপোটিজমের কাছে মেধার পরাজয়।
সুনীলদার লেখা “সেই সময়”-বইতে পড়েছিলাম : “ইংরেজের এই ন্যায়বিচারের প্রতীক ঐ সুপ্রিম কোর্টের চূড়া। লোকে এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ভক্তিভরে সেদিকে তাকায়। এখনো কেউ জানে না যে বিচার ব্যবস্থার এই আড়ম্বর ইংরেজ জাতির একটি বিলাসিতা মাত্র। প্রয়োজনের সময় এইসব বিলাসিতা ছেঁটে ফেলতে তারা একটুও দ্বিধা করে না।”
বিপ্লবের এসব অকাল মৃত্যু নিয়েও আরেকদিন বিশদভাবে লেখা যাবে। আজ আর নেতিবাচক কথা না বাড়াই।
কারন আমি চাই না এই বিপ্লবের উৎসাহে ভাটা পড়ুক। আমি চাই এই বিপ্লব আরো বড়ো হোক। সবকিছুর বিনাশ ঘটলেও আদর্শ অবিনশ্বর।
যাবার বেলায় কবিগুরুর গীতবিতান থেকে বলি,
“শুধু দিনযাপনের শুধু প্রাণধারণের গ্লানি শরমের ডালি,
নিশি নিশি রুদ্ধ ঘরে ক্ষুদ্র শিখা স্তিমিত দীপের ধূমাঙ্কিত কালি,
লাভ-ক্ষতি-টানাটানি, অতি ক্ষুদ্র ভগ্ন-অংশ-ভাগ, কলহ সংশয়--
সহে না সহে না আর জীবনকে খণ্ড খণ্ড করি দণ্ডে দণ্ডে ক্ষয়।”
সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনপূর্বক,
বাঙালি ঋষি, ধানমন্ডি ১২/এ, ঢাকা
রোজ বৃহস্পতিবার
১৭ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২রা অক্টোবর, ২০২৫ ঈসায়ী
৯ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজর
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখাটির শিরোনাম জহির রায়হানের গল্পসমগ্রের কয়েকটি শিরোনাম নিয়ে গঠিত।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২
মৌরি হক দোলা বলেছেন: ওকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১৭
বিজন রয় বলেছেন: যে যার মতো লিখছে, বলছে, ধারনা দিচ্ছে।
কিন্তু ইতিহাস নিজেই নিজের কথা লেখে।
মানুষ ইতিহাস মনে রাখে না।
এই বেয়াদপ শিক্ষিকমুর্খ জাতি তো অতি অবশ্যই।