নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I want very active debate
দুই দিন আগে রাশিয়ার উরাল অঞ্চলে হঠাৎই উল্কাপাত ঘটে!
Click This Link
এতে প্রায় হাজার জন আহত হয়;
Click This Link
রাশিয়ানদের যে মহাশূন্য গবেষণা তাতে এই ভাবে বিনা মেয়ে বজ্রপাতের মত উল্কার পতন ঘটার কথা না। রুশ সরকার যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা দেয় নাই তবে সেই দেশের বিতর্কিত নেতা ঝিরিনোভস্কি দাবী করে যে এটা বিশেষ ধরণের মার্কিন অস্ত্রের কাজ;
Click This Link
যদিও এটার উপর কোন জোরাল প্রমাণ নাই। তবে ইদানিং সিরিয়াতে হাজারও চেষ্টার পর মধপ্রাচ্যর দেশ সৌদি, কুয়েত, কাতারদের অর্থ এবং ন্যাটোর সম্মিলিত চেষ্টাতেও আসাদকে টলানো যাচ্ছে না। যদিও বিবিসি, রয়টার্স প্রায়ই বলে যে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বা ঘাটি আসাদের সেনাবাহিনী হতে দখল করছে কয়েকদিন পরে দেখা যায় হয় সেটা মিথ্যা নতুবা আসাদ বাহিনী পুনঃ দখল করছে। স্বভাবতই ন্যাটো বিশেষ করে মার্কিনিরা হতাশ ও ক্ষুদ্ধ। কারণ আসাদের বিমান হামলার জন্য ফ্রি সিরিয়ান আর্মি পেরে উঠছে না। এই দিকে নিরাপত্তা পরিষদেও নো-ফ্লাইজোনের চেষ্টা করেও রুশ ও চীনা ভেটোর কারণে মার্কিন ও ন্যাটো গং ব্যার্থ হচ্ছে। রুশদের কাছে সিরিয়ার তারতুস বন্দর ভূমধ্যসাগরে উপস্থিতির বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন মস্কোর কাছে এটা মান সম্মানের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তাই সে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদকে এখনও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে যাচ্ছে;
Russia boosts arms sales to Syria despite world pressure
Click This Link
হতে পারে এই কারণে মার্কিনিরা মস্কোকে ভয় দেখাতে চাচ্ছে। যার পরিণাম উরালে উল্কাপাত।
কিন্তু রুশরাও হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে না তারাও পাল্টা ব্যাবস্থা নিবে। এরই মধ্যে দুটি রুশ বোম্বার বিমান টিইউ-৯৫ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ গুয়ামের মার্কিন ঘাটির কাছাকাছি চক্কর দিয়েছে। বিষয়টি মার্কিন বিমানবাহিনী নিশ্চিত করেছে;
Air Force confirms Russian jets circled US territory of Guam
Click This Link
মার্কিন বিমান বাহিনী প্রাথমকি ভাবে রুশ বোম্বার বিমানের ঘটনা নিশ্চিত করলেও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলছে না।
এখন বোঝা যাচ্ছে যে এটা স্নায়ু যুদ্ধেরই আলামত। অনেক নতুন টেকনলোজির অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি আছে যা আমরা সহজেই ও এখনই জানতে পারব না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন:
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
টয় বয় বলেছেন: -
রাশিয়ানরা শেষ মুহুর্তে সাদ্দামের সাথে বেঈমানি করে আমেরিকাকে ইরাক আক্রমন করার সুযোগ করে দিয়েছে|
একই ভাবে বাঈমানী করেছে গাদ্দাফীর সাথেও!!
সাদ্দাম ও গাদ্দাফীকে জানে বাচানোর চেস্টা টুকুও এই রাশিয়ানরা করে নাই|
মার্কিন কোন ভাল চুক্তি পেলেই রাতারাতি আসাদের সাথেও পল্টি দিবে, করফার্ম|
আমি রাশিয়ানদের বিশ্বাস করি না, ওরা এখন পয়সা পাইলে সব করে|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই বিষয়টা এত সহজ না। অনেকটাই জটিল। সাদ্দাম ছিল বেয়ারা। সে শিয়া শাসিত সিরিয়াতো সহ্যই করতে পারত না উপরন্ত শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের প্রতি হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়। আপনে দেখেন শাহ পালেভীর আমলে ইরাকের সাথে না লাগলেও ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পরের বছরই ৮০ সালে সাদ্দাম ইরান আক্রমণ করে। মার্কিনিরা যতই কুবুদ্ধি দিক সাদ্দামের উচিত হয়নি সেটা শুনা। আমাকে বাইরের কেউ কুবুদ্ধি দিলে সম্পত্তির জন্য আমি নিজ ভাইয়ের সাথে বিবাদে যাব না। নিজ জ্ঞানে ও সৎ ভাবে সিদ্ধান্ত নিব। তাই মস্কো যখন সাদ্দামকে নিবৃত্ত রাখতে ব্যার্থ হল তখনই তারা কৌশলে মার্কিনিদের মুখে তাকে ছেড়ে দিল। ২০০৩ সালে ইরাকে সাদ্দামের পতন হলে শিয়ারাই দেশটির নিয়ন্ত্রক হয়ে যায়। অবশ্য শিয়ারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখন ভৌগলিক ভাবে ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও লেবান এক হয়ে গেল। বাশার যে একলা যুদ্ধ করছে তা নয়। তাকে ইরানী বাহিনী ও ইরাকের শিয়ারাও সাহায্য করছে এবং হিজবুল্লাহও। এটাই মস্কো চেয়েছিল। এখন সে তারতুস বন্দরে তার উপস্থিতি রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর। তাই ন্যাটো হাজার চেষ্টা করেও বড় সাফল্য পাচ্ছে না। অনেকেই বলছে সিরিয়া দ্বিতীয় আফগানিস্তান হবে। এটাই ওয়াশিংটনের মাথা ব্যাথার কারণ।
ধন্যবাদ ভাই।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
শামিল কায়সার বলেছেন: ইনফরমেটিভ +++
ভাবেছিলাম শাহবাগ ইস্যু নিয়া কিছু লেখবেন। সম্ভাবনা আছে?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়া আপাতত ফেসবুকেই চলবে!
ধন্যবাদ।
এরপর আর এই পোষ্ট বিষয়ের বাইরে কোন কথার জবাব দিব না।
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
ইকবাল পারভেজ বলেছেন: ভাই এ খবরটা প্রথম দেখেছিলাম ২/৩ দিন আগে।
কিন্তু ভাই আপনার তো জানার কথা যে আমেরিকার আসলে এই ব্যাপারটাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয় নাই। রাশিয়া এই ধরণের কাজ অনেক দিন ধরে করে আসছে; যদিও তারা এই কাজটা সাধারণত করে আলাস্কান কোস্ট বা ইস্টার্ন সিবোর্ডে। এটা আসলে এক ধরণের দাঁত দেখানোর খেলা।
আর এই খবরটা বড় করে দেখানো হয়েছে শুধুমাত্র একটা কারনেই, আর সেটা হচ্ছে সবাইকে দেখিয়ে দেওয়া যে আমেরিকার বর্তমান সরকার এত দুর্বল হয়ে গেছে যে, রাশিয়ার নিউক্লিয়ার বিমানকে আমেরিকার টেরিটরিতে রাউন্ড দিতে দিচ্ছে। রাশিয়ার আসলে বর্তমানে আমেরিকাকে কিছু করার সাহস কখনই হবে না।
এ ব্যাপারে এক আমেরিকান প্রাক্তন সোলজারের মতামত এখানে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। স্নায়ু যুদ্ধের কথা শুনে ও রেগে গিয়ে কি বলেছিল জানেন-
"যাও ভিজা প্যানটি চেঞ্জ করে শুকনা প্যানটি পর, আর এসব ব্যাপারে আমাদের প্রফেশনালদেরই মাথা ঘামাতে দেও।"
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৭
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শুভ বার্তা