নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাফে দেশকে প্রথম(১৯৯৯) স্বর্ণ এনে দেওয়া আলফাজ আহমেদের অবসর!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৫











একে বলতে হয় কচ্ছপ ও খরগোশের দৌর প্রতিযোগীতার মত। কাঠমন্ডুতে সর্ব প্রথম সাফ গেমস ১৯৮৪ সালের ফুটবলে আমাদের বাংলাদেশই ফেভারিট ছিল। ঐ সময় এমিলি, যোশী, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, খোরশেদ বাবুল, চুন্নু সব তারকা পরিপূর্ণ ফুটবলার আমাদের ছিল। রাউন্ড রবিন লীগে স্বাগতিক নেপালকে (সম্ভবত) ৪-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের অনেক উচ্চ ভেবেছিলাম। অনেকটা ইশপের খরগোশের মতই নেপালকে আমরা কচ্ছপ মনে করেছিলাম। পরিণতি ফাইনালে এই নেপালের কাছেই (সম্ভবত) ১-০ গোলে হেরে গেলাম। চুন্নুর এক স্বাক্ষাৎকারে পড়েছি যে নেপালকে বাংলাদেশ খুব হাল্কা ভাবে নিয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় সাফ গেমস ১৯৮৫তে ঢাকায় ফাইনালে ভারতের কাছে টাইব্রেকারে পরাজয়। ১৯৮৯ সালে ইসলামাবাদে ফাইনালে স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়। আবার ১৯৯৩ সালে ঢাকায় রাউন্ড রবিন লীগে নেপালের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়। এর জন্য ব্রাদার্সের আরিফুর রহমান মুন দায়ী ছিল। পেনাল্টি বক্সের কাছেই খামখেয়ালি ভাবে পাস দিতে যেয়ে নেপালী ষ্ট্রাইকারের কাছেই বল তুলে দিয়েছিল। এরপর ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজ সাফ গেমসে ফাইনালে স্বাগতিক ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে যাই। তো এই ভাবেই সাফ গেমস ফুটবলে স্বর্ণ জিততে বার বার বলতে চরম ভাবে ব্যার্থ হচ্ছিলাম :(



এরপরেই আসে ১৯৯৯ সাল। আবার সেই প্রথম ভেন্যু কাঠমন্ডু। এখানেও যেন শংকা ও কৌতুক ভর করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দলের উপর। ঐ দলে আজকে অবসর নেওয়া আলফাজ আহমেদ ছিলেন। কৌতুক এই জন্যেই যে মালদ্বীপকে ১৯৮৫ সালের ঢাকায় এই সাফ গেমসে রাউন্ড রবীন লীগে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যাবধানে যাকে পরাজিত করেছিলাম সেই মালদ্বীপই ১৯৯৯তে ২-১ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়। মনে হয় এই কারণেই আমাদের ফুটবল দল তেতে উঠে। তারপর রাউন্ড রবীন লীগ হতে সেমিফাইনালে উঠে মুখোমুখি হয় ভারতের। ভারতকে আমরা প্রথমবারের মত এই টূর্নামেন্টে যূক্ত হওয়া গোল্ডেন গোলের নিয়মে হারিয়ে ফাইনালে উঠি। বাংলাদেশের পক্ষে গোল করেছিল সাইজুদ্দিন টিপু। গোলটা প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে আচমকা শটে ভারতীয় কিপারকে বোকা বানিয়ে ছিল! :) এরপরে আবার সেই নেপাল। ১৯৮৪এর ফাইনাল এবং ১৯৯৩তে আপসেটের শিকার হওয়া বাংলাদেশ কি পারবে নেপালকে হারাতে? কারণ ততদিনে নেপাল একটি পরিণত ফুটবল দল যারা ২ বার সাফ গেমসে স্বর্ণ জিতে(১৯৮৪ ও ১৯৯৩)। তাই এবার নেপালই ফেভারিট। গোর্খা ও পাহাড়ী হিসেবে তারা খুবই পরিশ্রমী। অনেক দম। আক্রমণ আবার রক্ষণভাগ সবই ভালই সামাল দিত। ঐ সময়ে নেপালের হড়ি খাড়কা বিপদজনক খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সমান তালে নেপালের সাথে লড়ে। অনেক জোরাল আক্রমণ করেও আমরা গোল করতে ব্যার্থ হচ্ছিলাম। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষের দিকে এই আলফাজ আহমেদ আলতো টোকায় গোল করে বসেন। বাংলাদেশ ১ নেপাল ০। পরে দ্বিতীয়ার্ধে নেপাল অল আউট ফুটবল খেলে একের পর এক আক্রমণ করেও আমাদের ডিফেন্ডার এবং কিপার বিপ্লব ভট্টাচার্যে দৃঢ়তায় ব্যার্থ হয়। ঐ ম্যাচে বিপ্লবও একাধিক নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন। বস্তুত এটাই নেপালকে হতাশ করে। শেষে অতিরিক্ত ৩ মিনিটের জায়গায় ৫ মিনিট দিয়েও নেপাল হার এড়াতে পারেনি। ফলে আলফাজের ঐ গোলে ৮৪তে ব্যার্থ হওয়া বাংলাদেশ ঐ দশারথ ষ্টেডিয়ামেই প্রথমবারের মত সাফে স্বর্ণ জিতে আমাদের হতাশা কাটায়। একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি আলফাজ আহমেদের কাছে চির কৃতজ্ঞ! আজকে তিনি ফুটবলার হিসেবে বিদায় নিচ্ছেন তার জন্য কষ্ট পাচ্ছি। তবে আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন আলফাজ আহমেদকে দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য ও সুখে রাখেন, আমিন!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৮

স্বপ্নরাজ বলেছেন:
ভাল লাগল লেখাটা। বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ন মিস মনে নাই , ছোট ছিলাম... পরের সবকটিই বুকে দাগা দিয়ে গেছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫০

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: প্রথমটার সময় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি! তখন বিটিভি এটা লাইভ দেখাতে পারেনি :(

ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩০

রাফিউল আলম ইমন বলেছেন: …এখনো মনে পড়ে… কত খুশিই না হয়েছিলাম! পোস্ট ভালো লাগলো…শুভকামনা :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫০

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ রাফিউল ভাই।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫২

অভি৯১৭৫ বলেছেন: বাংলাদেশের ইয়ো ইয়ো পোলাপান যারা সারাদিন বার্সলোনা-রিয়াল নিয়ে কথা বলে তাদের কাওকেই দেখলাম না একবারের জন্য এই লড়াকু ফুটবলারে জন্য একটা ফেসবুক পোস্ট বা সামুতে পোস্ট দিতে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই বাংলাদেশের ফুটবল বিষয়ে আমি অত্যন্ত আবেগ প্রবণ এবং সেটা ছোটবেলা হতেই। আসলে তখন যে কেবল বিটিভিই ছিল তাই বরং প্রধান কয়েকটি পত্রিকাও দেশীয় ক্লাব ফুটবল ও ফুটবলারদের কাভারেজ ভাল দিত। পরবর্তী প্রজন্মের ক্রীড়া সাংবাদিকরা ফুটবলের বদলে ক্রিকেটকেই বেশী প্রাধান্য দেয়। এখন হিন্দী সহ বিদেশী চ্যানেলগুলোতে কোন কথাই নাই দেশী চ্যানেল গুলোও বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে তেমন সরব না। তাই বর্তমান নতুন প্রজন্ম দেশী ফুটবল নিয়ে ততটা জানে না বা আগ্রহ নেই।

ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

0গাংচিল বলেছেন: :( :(


শুভকামনা রইল আলফাজ আহমেদ এর জন্য।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন...

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৬

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: আলফাজ বাংলাদেশ ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তী। আলফাজকে বিদায়ের ক্ষনে লাল সালাম।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৭

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

ইকবাল পারভেজ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ভাই।

শুধু দুঃখ একটাই আলফাজরা তাদের সেরা সময়টাতে প্রথম শ্রেণীর কোচিং পেলে আর উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা পেলে আরও অনেক দূর যেতে পারত। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বাফুফে মানেই ছিল রাজনীতি; বাদল রায়দের মত লোকদের রাজনীতির জায়গা। এক সালাহউদ্দিন তো আর পুরা বাফুফে না।

তাও আশা রাখি সামনে আলফাজ, আসলাম মানের আরও প্লেয়ার ভবিষ্যতে যাতে উঠে আসে।

আর আলফাজদের অবদান আমরা সব সময়ই স্মরণ রাখব।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ পারভেজ ভাই।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: তাকে বাংলার মানুষ চিরকাল মনে রাখবে ,,

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

ভবঘুরে তানিম বলেছেন: খুব ভাল মানের একজন খেলোয়াড় ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫১

চাচু বলেছেন: বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এই লোকটার নাম - ধাম জানে কিনা সন্দেহ । বাংলদেশ ফুটবলের সেই জৌলুস আর নেই, যা ছিল তাও বোধহয় আলফাজের বিদাইয়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হল । আলফাজ তোমায় সালাম।

তুমিই আমাদের মেসি- রোনালদো ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৭

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চাচু!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.